মোদী প্রশ্নে জোট বেসুরো, শিবসেনার পছন্দ সুষমা
রেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী পদের প্রার্থী করার দাবিতে দলে যখন সুর চড়া হচ্ছে, সেই সময় বিজেপির সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ও পুরনো শরিক শিবসেনা তুলে আনল সুষমা স্বরাজের নাম।
নরেন্দ্র মোদীকে একশো শতাংশ ধর্মনিরপেক্ষ বলে দাবি করে রাজ জেঠমলানী আজ বলেন, “মোদীই প্রধানমন্ত্রী পদের প্রার্থী হওয়ার পক্ষে সবচেয়ে যোগ্য নেতা।” পাশাপাশি, যশবন্ত সিন্হাও গত কালের পরে আজ ফের এক দফা সওয়াল করেন মোদীর হয়ে। পটনায় তিনি বলেন, “আমি তো যেখানে যাই, সেখানেই মানুষের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে, মোদীই সব থেকে জনপ্রিয় আকর্ষক নেতা।” মোদী-ঘনিষ্ঠ সি পি ঠাকুর এ-ও জানিয়ে দেন যে, রাজ্য বিজেপি এ ব্যাপারে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর নামই সুপারিশ করে পাঠাবে দলের সংসদীয় বোর্ডের কাছে। তাঁর দাবি, “মোদী প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হোন, এটা জনতার ইচ্ছে। তাঁকে সামনে রেখে এগোলে লোকসভা ভোটে ভাল ফল করবে দল।” নীতীশ মন্ত্রিসভার অন্যতম মোদী-সমর্থক গিরিরাজ কিশোরও বলেন, “এমন নেতাকেই তো প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা উচিত।”
বিজেপির এই সব নেতারা যতই মোদীকে ধর্মনিরপেক্ষ নেতা হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা চালান, জোট শরিকদের কাছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতার প্রশ্নটিও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। নীতীশ কুমারের জেডিইউ তো মোদী-প্রশ্নে স্পষ্ট আপত্তি জানিয়ে রেখেছে, এ বার বিজেপির সবচেয়ে পুরনো শরিক শিবসেনার সঞ্জয় রাউতও আজ জানিয়ে দিলেন, বালাসাহেব ঠাকরে বলে গিয়েছেন, সুষমা স্বরাজই প্রধানমন্ত্রী পদের শ্রেষ্ঠ দাবিদার। এবং শিবসেনা বালাসাহেবের মতকেই শেষ কথা বলে মনে করে।
বিজেপির শীর্ষ নেতারা অবশ্য বলছেন, এখনই কাউকে প্রধানমন্ত্রী পদের প্রার্থী ঘোষণা করার কথা ভাবা হচ্ছে না। তবে এটাও ঠিক যে, এই মুহূর্তে দলে শ্রেষ্ঠত্বের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন মোদীই। যে কারণে নিজেদের ভবিষ্যতের ভিত মজবুত করতে তাঁর হয়ে সওয়াল চালাচ্ছেন যশবন্ত, জেঠমলানীরা। রাজ্যে মুসলিম ভোট ধরে রাখার স্বার্থে নীতীশ যতই মোদী-বিরোধী অবস্থান নিন না কেন, তার জেরে এনডিএ থেকে বেরিয়ে এলে হিন্দু উচ্চ বর্ণের ভোট হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা থাকছে। ফলে নীতীশের দল এখন ভরসা রাখছেন রাজনাথ সিংহের ঘোষণার উপরে। তা হল, প্রধানমন্ত্রিত্ব নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে দলের সংসদীয় বোর্ডে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে বিজেপির শীর্ষ নেতারাও প্রধানমন্ত্রিত্ব নিয়ে জোটের মধ্যে নানা রকম মতকে এখনই বিরোধ হিসেবে দেখতে চাইছেন না। মোদী নিয়ে নীতীশের অবস্থান জানা। শিবসেনা আজ সুষমার পক্ষে সওয়াল করলেও শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন উদ্ধব ঠাকরে। তিনি বা নীতীশ বেঁকে বসলেও মোদীর নামে জয়ললিতা, রাজ ঠাকরের মতো নতুন শরিককে পাওয়ার পথ খোলাই থাকছে। রাজ ঠাকরের সঙ্গে মোদীর ঘনিষ্ঠতা আছে। আর সেটা দেখেই বালাসাহেব সুষমার নাম ঘোষণা করেছিলেন। যদিও তার পিছনে খোদ সুষমারও সচেতন প্রচেষ্টা ছিল। লালকৃষ্ণ আডবাণী যখন সভাপতি পদের জন্য তাঁর নাম আরএসএসের কাছে প্রস্তাব করেন, তখনও লোকসভার বিরোধী দলনেত্রী তা খারিজ করে দেন। কারণ, সভাপতি পদে বসলে তাঁর প্রধানমন্ত্রী পদের প্রার্থী হওয়ার হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে যেতে পারে। এই সব হিসেব-নিকেশ, বিবৃতি-পাল্টা বিবৃতির মধ্যেই বিজেপির এক শীর্ষ নেতা আজ, বিজেপির একটি বিশেষ দিকের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। তা হল, এ দলে শেষ মুহূর্তে কী ঘটবে, কিচ্ছু বলা যায় না। বিদায়ের দিন সকালেও কি নিতিন গডকড়ী জানতেন বিকেলে কী হতে চলেছে!


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.