অবশেষে জিন্দল গোষ্ঠীর ইস্পাত প্রকল্পের চুক্তি সই সংক্রান্ত টানাপোড়েন মিটতে চলেছে।
চূড়ান্ত চুক্তির খসড়া জিন্দল গোষ্ঠীর কাছে ইতিমধ্যেই পাঠিয়েছে রাজ্য। এক মাসের মধ্যেই শালবনিতে ১ কোটি টনের ইস্পাত কারখানার জন্য জিন্দল গোষ্ঠীর সঙ্গে নয়া চুক্তি সই করতে পারে তারা। প্রসঙ্গত, যে-বিষয়টি নিয়ে সহমত হতে পারছিল না রাজ্য ও জিন্দল গোষ্ঠী, চূড়ান্ত চুক্তিতে সেই ‘ডিফল্ট ক্লজ’ থাকছে না। অর্থাৎ প্রাকৃতিক-সহ যে-কোনও দুর্যোগে প্রকল্পের কাজ পিছোলে সংস্থার উপর দায় চাপানো হবে না। প্রকল্প তৈরির জন্য চার বছর সময় দিয়েছে রাজ্য। এর মধ্যে ব্যাঙ্ক ঋণ জোগাড়ে জন্য এক বছর। বাকি তিন বছর নির্মাণের জন্য সময়।
পাশাপাশি, মিটতে চলেছে প্রকল্পের জমি লিজ সংক্রান্ত সমস্যাও। সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের দেওয়া জমির লিজ চুক্তিও এ বার সই হবে। আগে ১৮৯.৬২ একর জমি পাট্টা মালিকদের থেকে কেনে নিগম। জিন্দলরা সরাসরি ২৯৪ একর কিনেছিল। ঊর্ধ্বসীমা আইন সংক্রান্ত জটিলতায় এই জমির লিজ চুক্তিও আটকে ছিল। গত সপ্তাহে তা-ও সই হয়েছে। বেঙ্গল লিডস্-এর মঞ্চ থেকেই এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
বাম আমলে জিন্দলদের সঙ্গে চুক্তি সই করে রাজ্য। কিন্তু তাতে প্রকল্পের খুঁটিনাটি ও পুনর্বাসনের নির্দিষ্ট তথ্য ছিল না। সংস্থা সূত্রে খবর, এ বার তা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। প্রকল্পের কয়লা ও জল কোথা থেকে আসবে, জমিহারাদের ক্ষতিপূরণ খাতে প্রকল্পের শেয়ার কতটা দেওয়া হবে, ইত্যাদি স্পষ্ট করে বলা হয়েছে। তবে আকরিক লোহা কোথা থেকে আসবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
প্রথম পর্যায়ে উৎপাদন ৩০ লক্ষ টন। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান প্রায় ১০ হাজার। এ ছাড়া ৩০০ মেগাওয়াটের নিজস্ব বিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ার কথা। |