পদ ফাঁকা, টাকা নেই, তবু নতুন ২৭ কলেজ
রকারি কলেজগুলিতে অন্তত ৪০ শতাংশ শিক্ষকের পদ খালি। কলেজগুলির পরিকাঠামোর উন্নতি ঘটানো যাচ্ছে না টাকার অভাবে। এই অবস্থাতেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আরও ২৭টি নতুন সরকারি কলেজ তৈরির কথা ঘোষণা করে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এতেই শেষ নয়, শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণা, রাজ্যে একটি বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ও তৈরি করতে চায় রাজ্য সরকার।
রাজ্যের সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতির ৪১তম বার্ষিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “রাজ্যের প্রান্তিক জেলাগুলিতে উচ্চশিক্ষা দফতর আরও ২৭টি নতুন সরকারি কলেজ খোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করতে চলেছে। এর কয়েকটি মহিলা কলেজ।” শিক্ষামন্ত্রীর এই ঘোষণা কতটা বাস্তবসম্মত সেই প্রশ্ন উঠেছে শিক্ষকমহলে। বর্তমানে রাজ্যে ১৭টি সরকারি কলেজ রয়েছে, সেখানে বহু পদ খালি পড়ে রয়েছে। শিক্ষক সমিতির হিসেবে, খালি পদের সংখ্যা অনুমোদিত পদের অন্তত ৪০ শতাংশ হবেই। কাজেই শিক্ষকদের অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, ফাঁকা পদগুলিতে নিয়োগ না করেই আরও সরকারি কলেজ তৈরির কথা ভাবা হচ্ছে কী করে। তা ছাড়া, এতগুলি কলেজ তৈরি করার মতো আর্থিক সংস্থানও রাজ্যের আছে কি?
পঞ্চায়েত ভোটে ফায়দা তুলতে রাজ্য সরকারের এই ঘোষণা কি না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন এ দিন সম্মেলনে উপস্থিত শিক্ষকদেরই অনেকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকার সময়ে রাজ্যে ১৩টি রেল কারখানা তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু আড়াই বছরে তার বেশ কয়েকটির কাজ এখনও শুরুই হয়নি। ক্ষমতায় বসার পরে তৃণমূল যে সব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার বড় একটা অংশ এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। সেই প্রসঙ্গ তুলে এ দিন সম্মেলনে উপস্থিত সরকারি শিক্ষকদের কারও কারও মন্তব্য, “পঞ্চায়েত ভোটের মুখ চেয়েই এই অবাস্তব প্রতিশ্রুতি।”
শিক্ষামন্ত্রী যদিও বোঝাতে চেয়েছেন, ভাল কাজের জন্য আর্থিক সঙ্কট কোনও সমস্যা নয়। তিনি বলেছেন, “আর্থিক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমরা কলেজ শিক্ষকদের জন্য ‘কেরিয়ার অ্যাডভ্যান্সমেন্ট স্কিম’ (ক্যাস) চালু করেছি। যে গুটিকয়েক রাজ্য এমনটা করতে করতে পেরেছে তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ অন্যতম।” ২০১২ সালের নভেম্বর মাস থেকে রাজ্যে ক্যাস কার্যকর হবে বলে ঘোষণা করেন ব্রাত্যবাবু। কিন্তু সম্মেলনে উপস্থিত শিক্ষকদের অনেকেই মন্ত্রীর এই দাবির সঙ্গে সহমত নন।

নয়া সম্পাদক
রাজ্য কৃষকসভার সম্পাদক নির্বাচিত হলেন নৃপেন চক্রবর্তী। মালাদায় তিন দিনের রাজ্য সম্মেলনের পর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের জায়গায় নৃপেন চৌধুরী সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন। কঙ্কালকাণ্ড মামলার পর থেকে তৎকালীন রাজ্য সম্পাদক তরুণ রায় ফেরার ছিলেন। ওই সময় নৃপেন চৌধুরী ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এ বার তরুণবাবু সহ-সভাপতি মনোনীত হয়েছেন। সভাপতির হিসেবে পুনরায় মদন ঘোষ মনোনীত হয়েছেন। রাজ্য কৃষকসভায় নতুনমুখ বর্ধমানের সিপিএমের জেলা সম্পাদক অমল হালদার ও বাঁকুড়া জেলার সম্পাদক অমিয় পাত্র।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.