নতুন ভোটারদের ভোটদানে আগ্রহী করতে এ বার ছৌ’কে হাতিয়ার করছে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন। ভোটার তালিকায় নাম তোলা থেকে ভোটদান— প্রতিটি স্তরকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে ছৌ-র মাধ্যমে। শুক্রবার জাতীয় ভোটার দিবসের অনুষ্ঠানে পুরুলিয়া ২ ব্লকের শিল্পীরা জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সামনে পরীক্ষামূলক ভাবে ওই নৃত্য পরিবেশন করেন। আর তা দেখে উচ্ছ্বসিত জেলা কর্তারা। তাঁদের ইচ্ছা, শুধু এই জেলাই নয়, ওই শিল্পীদের দিয়ে রাজ্যে তো বটেই, দেশের অন্যত্রও যাতে নির্বাচন কমিশন প্রচারে নামায়, সেই প্রস্তাব দেওয়া হবে। সে জন্য তাঁরা আধ ঘণ্টার অনুষ্ঠানটি ভিডিও রেকর্ডিং করে রাখলেন।
এই বীররসের নাচের কদর সারা দেশেই রয়েছে। বিদেশেও এর খ্যাতি কম নয়। সরকারি বিভিন্ন সচেতনতামূলক প্রচারে আগেও ছৌ-কে ব্যবহার করা হয়েছে। এ বার তার সাহায্য নিচ্ছে নির্বাচন দফতর। পুরুলিয়ার জেলা নিবার্চন আধিকারিক শুভজিৎ বসু বলেন, “ছৌ-র মূল আঙ্গিকের কোনও বদল না ঘটিয়ে আমরা মূল পরিকল্পনা তৈরি করেছি। ছৌ-নৃত্যে যেমন পুরাণের বিভিন্ন পালা অনুসারে বিভিন্ন চরিত্র থাকে, তেমনি এখানেও সাধারণ ভোটার, প্রশাসনিক আধিকারিক, নিবার্চন কমিশনের প্রতিনিধি, নিরাপত্তা রক্ষীদের মতো চরিত্র থাকছে। সেই অনুযায়ী মুখোশও রয়েছে।” তিনি জানান, কমবেশি আধ ঘন্টার এই নৃত্যে ভোটার তালিকায় নাম তোলা থেকে নির্ভয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ পর্যন্ত প্রতিটি স্তরই দর্শকদের সামনে উপস্থাপিত করা হবে।
ছৌ-নৃত্যে ধামসা, সানাই, মাদল-সহ যে সমস্ত বাদ্যযন্ত্র ব্যবহৃত হয়, এখানেও সেই বাদ্যযন্ত্রগুলি একই ভাবে বাজানো হবে। এই অনুষ্ঠানের পুরো পরিকল্পনার কথা ইতিমধ্যেই পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন রাজ্য নির্বাচন দফতরের আধিকারিকদেরও জানিয়েছেন। শুভজিৎবাবু বলেন, “আমরা এই নাচের গোটা পর্বটি ক্যামেরাবন্দি করে রাজ্য নির্বাচন দফতরে পাঠাব। গোটা রাজ্যে ছৌ-র মাধ্যমে এই প্রচার আলাদা মাত্রা যোগ করবে।” |