হাওড়া থেকে ঝাড়খণ্ডের মশানজোড়ে পিকনিক করতে যাওয়ার পথে বাস উল্টে মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। জখম আরও ৩০ জন যাত্রী। শনিবার ভোরে দুর্ঘটনাটি ঘটে সদাইপুরের চিনপাই ঘেঁষা বক্রেশ্বর নদের সেতুর কাছাকাছি, রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম কাঞ্চন পাল (৩০)। বাড়ি হাওড়ার চুনাভাটিতে। হাওড়ার বকুলতলা থেকে ৩৩ জনের একটি দল বাসে করে মশানজোড় যাচ্ছিল। ভোরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বক্রেশ্বর সেতু পেরিয়ে বাঁ দিকে উল্টে যায় বাসটি। আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে সিউড়ি সদর হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। অন্য যাত্রীদের চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হলেও সিউড়ি হসপাতালে মৃত্যু হয় কাঞ্চনবাবুর। বাসটিকে আটক করেছে পুলিশ। তবে বাস চালক পলাতক। সদাইপুরের ওই একই জায়গায় শনিবার দুপুরে একটি দশ চাকা ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হন মিনিট্রাকের চালক। তিনি সিউড়ি হাসপাতালে ভর্তি।
|
টাকা ছিনতাই, গ্রেফতার চার |
পানাগড়-দুবরাজপুর রাজ্য সড়কে পিক-আপ ভ্যান আটকে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় চার জনকে ধরেছে ইলামবাজার থানার পুলিশ। ইলামবাজার থানার ঘুড়িষা মাঝিপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শুক্রবার রাতে একটি বেসরকারি সংস্থার ম্যানেজারের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা ছিনতাই করেছিল তিন দুষ্কৃতী। কাজ হাসিল করে ওই পিক-আপ ভ্যানের চাবি কেড়ে নিয়ে মোটরবাইকে চম্পট দেয়। দুষ্কৃতীরা। তদন্তে নেমে ওই রাতেই আনোয়ার শেখ, সনাতন হাজরা ও মনিরুল মোল্লা নামে তিন দুষ্কৃতীকে ধরে পুলিশ। প্রথম দু’জন ঘুড়িষার বাসিন্দা। অন্য জনের বাড়ি পাড়ুই এলাকায়। পুলিশের দাবি, ওই তিন জনের হেফাজত থেকে পিক-আপ ভ্যানের চাবি ও ৪০ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের জেরা করে ওই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে পিক-আপ ভ্যানের চালক বাবুলাল বাউরিকেও ধরে পুলিশ। শনিবার ধৃতদের বোলপুর আদালতে তোলা হলে দু’দিন পুলিশ হেফাজত হয়।
|
বিশ্বভারতীর ভাষা ভবনের এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু হল শনিবার। মৃতের নাম সুধীর কুমার (২২)। পটনার দুলহিন বাজার থানা এলাকায় তাঁর বাড়ি। রবিবার তাঁর দেহটি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ওই ছাত্র বোলপুরে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। শনিবার শান্তিনিকেতন লাগোয়া দূরদর্শন কেন্দ্র সংলগ্ন এলাকায় সুধীরকে ছটপট করতে দেখেন বাসিন্দারা। মুখ দিয়ে ফেনা বেরচ্ছিল। খবর যায় বিশ্বভারতীর নিরাপত্তা বিভাগ ও বোলপুর থানায়। বোলপুর হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, প্রণয়ঘটিত কারণে ওই ছাত্র বিষাক্ত কিছু খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন।
|
পথ দুর্ঘটনায় মৃত ও আহত আদিবসী যুবকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানাল বীরভূম জেলা আদিবাসীদের একটি সংগঠন। এই দাবিতে, দুপুর থেকে রামপুরহাট-দুমকা সড়কে, রামপুরহাট থানার বড়মেশিয়া মোড়ের কাছে অবরোধ হয়। সংগঠনের কর্মী অর্জুন হাঁসদার দাবি, “কয়েক দিন আগে পাথরশিল্পাঞ্চল এলাকায় একটি ডাম্পারের ধাক্কায় বিকুল সোরেন নামে এক যুবকে মৃত্যু হয়েছিল এবং জয়কান্ত সোরেন নামে এক জন আহত হয়ে কলকাতায় চিকিৎসাধীন। ক্ষতিপূরণের জন্য পাথর ব্যবসায়ী মালিক সমিতির কাছে আবেদন জানিয়েছিলাম। সদুত্তর না মেলায় অবরোধ করেছি।” অবরোধ করার পাশাপাশি দুপুরে বড়পাহাড়ি, দিঘলপাহাড়ি, বারমেসিয়া-সহ সমস্ত ক্রাসার, খাদান বন্ধ করে দেয় তারা। ক্রাসার, খাদান চালু থাকুক, এই দাবিতে এ দিন সন্ধ্যায় মালিকপক্ষ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। আলোচনা করে সমস্যা মেটানো হবে বলে মালিকপক্ষের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
|
কথা বলতে গেলে কখনও হাসছিল, আবার কখনও কান্নাকাটি করছিল তরুণী। হাঁটাচলার মধ্যেও জড়তা ছিল। নলহাটি থানার জ্যেষ্ঠা গ্রামের বাসিন্দাদের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা পুলিশে খবর দেন। ঘটনাটি ১৬ জানুয়ারির। পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে রামপুরহাটের নিশ্চিন্তপুর এলাকার একটি স্বল্পকালীন হোমে ওই তরুণীকে রাখার ব্যবস্থা করে। ওই তরুণী তার পরিচয় জানাতে না পারায় সমস্যা পড়েছে হোম কর্তৃপক্ষ। হোমের সম্পাদক সত্যব্রত ভট্টাচার্য বলেন, “মানসিক ভারসাম্যহীন ওই তরুণীকে ডাক্তার দেখানো হয়েছে। তার ভাল চিকিৎসার প্রয়োজন। তবে এখানে তার মতো রোগীকে রাখার পরিকাঠামো নেই। মহকুমাশাসকের মাধ্যমে জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।” জেলা সমাজকল্যাণ আধিকারিক প্রদীপকান্তি কুমার বলেন, “সাময়িক ভাবে তাকে ওখানে রাখা হয়েছে। হোম কর্তৃপক্ষের আবেদনের ভিত্তিতে এই ধরনের রোগীকে মানসিক হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করব।”
|
প্ল্যাটফর্মে ট্রেন দাঁড় করাতে গিয়ে সাহেবগঞ্জগামী রামপুরহাট-গয়া প্যাসেঞ্জারের পিছন দিকের একটি কামরার চাকা লাইনচ্যুত হয়ে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটল সাহেবগঞ্জ-বর্ধমান লুপ লাইনে। রবিবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে লুপ লাইনের রামপুরহাট স্টেশনে ঢোকার আগে ছ-ফুঁকো রেলব্রিজ ও আউটার কেবিনের মাঝে। ঘন্টা দু’য়েক পরে মেরামতির পরে স্বাভাবিক হয় ট্রেন চলাচল। এই ঘটনার জন্য আপ ও ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। হাওড়াগামী মালদহ-ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস দেরিতে ছাড়ে, বর্ধমান-মালদহ প্যাসেঞ্জার মল্লারপুর স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে। অন্ডাল-রামপুরহাট প্যাসেঞ্জারকে সাঁইথিয়া পর্যন্ত এনে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।
|
অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পুনরায় নিয়োগ করার ক্ষেত্রে আপত্তি জানাল পশ্চিমবঙ্গ গ্রাম পঞ্চায়েত কর্মী সমিতি। শনি ও রবিবার রামপুরহাটে হওয়া এই সমিতির ৮তম রাজ্য সম্মেলনে এই আপত্তি তোলা হয়। সম্মেলন শুরুর আগে সকালে রামপুরহাট শহরে মিছিল হয়। সম্মেলনে আরও নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। |