আর্তি, আর্তনাদ, বিলাপ! আর প্রশ্ন, “কী অন্যায় করেছিলাম আমি?” শিকাগোর শারলি চেম্বারসের এই প্রশ্নের অবশ্য কোনও জবাব নেই স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। নিজের তিন সন্তানকে আগেই হারিয়েছেন শারলি। শনিবারের ঘটনায় হারালেন নিজের চতুর্থ সন্তানকেও। এবং চার সন্তানেরই মৃত্যুর কারণ এক। বন্দুকবাজের হানা। শারলির কনিষ্ঠ সন্তান রনি ছাড়াও শনিবার শিকাগোয় একাধিক বন্দুকবাজের হানায় মারা গিয়েছেন আরও চার জন।
শিকাগো পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার শহরের ওয়েস্ট সাইডে এক বন্দুকবাজের হানায় নিহত হন রনি চেম্বারস। আহত হয়েছেন বছর একুশের এক তরুণও। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শহরের সাউথ সাইডে এক রেস্তোরাঁয় এলোপাথাড়ি বন্দুক চালাতে শুরু করে বন্দুকবাজ। সেখানে মারা যান দু’জন। আহত এক জন। শনিবার বিকেলে আর এক বন্দুকবাজের হানায় মৃত্যু হল বছর তিরিশের এক যুবক ও এক কিশোরের। সব মিলিয়ে শিকাগোয় শনিবারের বন্দুকবাজদের বিক্ষিপ্ত হানার বলি পাঁচ। পুলিশ অবশ্য এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি।
অথচ কানেক্টিকাটের স্যান্ডি হুক স্কুলের স্মৃতি বেশ স্পষ্ট। এমনকী অস্ত্র আইনে বদল আনার প্রতিশ্রুতির কথা কিছু দিন আগেও শোনা গিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মুখে। কিন্তু কথাই সার। একের পর এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে চলেছে মার্কিন মুলুকে। কখনও বা আততায়ী চিহ্নিত, কখনও বা আত্মঘাতী। আর কখনও বা অধরা। স্থান, কাল, পাত্র বদলালেও পরিণতি বদলাচ্ছে না। আর তাই বোধহয় প্রাণ হারাতে হচ্ছে রনি চেম্বারস কিংবা তাঁর ভাই-বোনদের।
যেমন শারলির বড় ছেলে কার্লোস। ১৯৯৯-তে বচসার জেরে নিজেরই সহপাঠীর গুলিতে প্রাণ হারান। বয়স? মাত্র আঠারো। মেয়ে লাতোয়া এবং ছেলে জেরোমও বন্দুকবাজের হানায় মারা যায়। তা-ও এক মাসের ব্যবধানে। সময়টা ২০০০ সাল। শারলির স্পষ্ট মনে আছে, মাত্র পনেরো বছরেই লাতোরের জীবনে দাঁড়ি টেনেছিল আততায়ীর গুলি।
পরের বারো বছর সব ঠিক ঠাকই চলছিল। রনিকে নিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছিলেন শারলি। কিন্তু শনিবারের পর বদলে গেল পুরো ছবিটাই। ৩৪ বছরের তরতাজা ছেলেরও প্রাণ নিল বন্দুকবাজের গুলি। শেষ সম্বল হারিয়ে শারলির বিলাপ, “রনি আমার একমাত্র জীবিত সন্তান ছিল।” কেউ কেউ অবশ্য শারলির ঘটনাকে কাকতলীয় বলছেন। রয়েছে বিরোধী মতও। কিন্তু শারলির ঘটনার প্রসঙ্গে আরও এক বার পরিষ্কার হয়ে গেল, অল্প সময়ের ব্যবধানে এই ধরনের নৃশংস হত্যালীলা ঘটেই চলেছে মার্কিন ভূখণ্ডে।
দায় কার? জবাব নেই। শারলিরা কিন্তু হারিয়েই চলেছেন। সম্পদ থেকে সম্বল সব কিছুই।
|
ভোটের ঘোষণা পাকিস্তানে
সংবাদসংস্থা • ইসলামাবাদ |
পাকিস্তানে রাজনৈতিক সঙ্কট আরও তীব্র হল। তথ্যমন্ত্রী কামার জামান কাইরা রবিবার ঘোষণা করেছেন, ১৬ মার্চের মধ্যে জাতীয় আইনসভা ভেঙে দিয়ে দেশে নির্বাচন করা হবে। এ দিন থেকে ১০ দিনের মধ্যে দিনক্ষণ ঘোষণা করে ৯০ দিনের মধ্যেই নির্বাচন করা হবে। এ দিকে সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বাদানুবাদের পরে রবিবার ইস্তফা দিয়েছেন দুর্নীতি-দমন শাখা ন্যাব-এর প্রধান ফাসি বোখারি। সু্প্রিম কোর্ট প্রধানমন্ত্রী রাজা পারভেজ আসরাফকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিলে বোখারি সাফ জানিয়েছিলেন, দুর্নীতির প্রমাণ না থাকায় তিনি তা করতে পারছেন না। |