|
|
|
|
অগ্নি নির্বাপক ছাড়াই চলছে নথিতে ঠাসা দফতর |
কেদারনাথ ভট্টাচার্য • কালনা |
গুরুত্বপূর্ণ নথিতে ঠাসা সরকারি দফতরগুলি। অথচ, নথি সংরক্ষণ থেকে কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা নেই কালনার প্রায় কোনও সরকারি দফতরেই। কয়েকটি জায়গায় অগ্নি নির্বাপক কিছু সিলিন্ডার পড়ে রয়েছে ঠিকই, কিন্তু প্রয়োজনে তা কতটা কাজে আসবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে খোদ দমকল দফতরেরই। এমনকী নিরাপত্তা নেই স্কুলগুলিতেও।
কালনা শহর ও তার আশপাশে রয়েছে মহকুমাশাসকের কার্যালয়, আদালত, ডাকঘর, পুরসভা ভবন, মহকুমার সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কার্যালয়, ব্লক অফিস, পঞ্চায়েত সমিতির ভবন, মহকুমা ভূমি ও ভূমি সংস্থার দফতর, ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্থার দফতর, পঞ্চায়েত ভবন-সহ বেশ কিছু সরকারি কার্যালয়। মহকুমাশাসকের দফতরে সিঁড়ির নীচে ব্যবস্থা বলতে রয়েছে একটি পুরনো অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডার। পাশাপাশি আদালত, জিআরও অফিস, পুলিশ লকআপ, জেলখানারও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নড়বড়ে। জিআরও দফতরে রয়েছে তিন দশকেরও পুরনো সরকারি নথি। আগুন লাগলে মুহূর্তে পুড়ে ছাই হয়ে যেতে পারে তা। ঘরের সামনে অবশ্য ঝুলছে একটা রংচটা সিলিন্ডার। শহরের বাইরে হাটকালনা পঞ্চায়েত এলাকায় মহকুমা কৃষি দফতরের একটি ঘরে প্রচুর নথিপত্র ছাড়াও রয়েছে বেশ কয়েকটি কম্পিউটার। অথচ একটা সিলিন্ডারও নেই এই দফতরে। একই দশা কালনা ১ ব্লক অফিসে। |
|
অবহেলায় ডাঁই হয়ে পড়ে ফাইলপত্র। —নিজস্ব চিত্র। |
কালনা ২, পূ্বস্থলী ১, ২ ও মন্তেশ্বর ব্লকের সরকারি অফিসগুলিরও একই হাল। কালনা শহরেই আগুন লাগলে যেখানে দমকল এসে পৌঁছতে সময়ে লাগে ১০ থেকে ১৫ মিনিট, সেখানে ওই চারটি ব্লকে পৌঁছতে যে ঘণ্টাখানেকের বেশিই লাগতে পারে, তা বলাই বাহুল্য। সেক্ষেত্রে নথি তো বটেই, পুরো দফতরই পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগুন নেভানোর ব্যবস্থা নেই পাশাপাশি বাজার বা স্কুলগুলিতেও। কালনা শহরের পুরনো চকবাজার এলাকার দোকানগুলি একে বারে গায়ে গায়ে লেগে রয়েছে। খোলা জায়গায় রান্নাও করা হয় সেখানে। ফলে প্রতি মুহূর্তে রয়েছে আগুন ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা। আশপাশেই রয়েছে বেশ কয়েকটি উচ্চবিদ্যালয়। সেখানেও কোনও অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা নেই।
সরকারি দফতর, বাজার এলাকা বা স্কুলগুলিতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার অপ্রতুলতার কথা স্বীকার করেছেন দমকলের ওসি অরিন্দম দেবনাথ। তিনি বলেন, “দমকলের উদ্যোগে বিভিন্ন জায়গায় সচেতনতা শিবির করা হয়। সেখানে এই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনাও করা হয়। কিন্তু অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা সম্পর্কে মহকুমার বেশিরভাগ এলাকাতেই কোনও সচেতনতা গড়ে ওঠেনি।” দমকলের কালনা শাখার আর এক আধিকারিকের কথায় “নার্সিংহোম-সহ কয়েকটি জায়গায় অগ্নি নির্বাপক সিলিন্ডার রয়েছে। তবে বিপদের সময়ে তা কতটা কাজে আসবে, সে ব্যাপারে আমাদেরও সন্দেহ রয়েছে।” |
|
|
|
|
|