কারচুপি করে জমির মালিকানা বদলের অভিযোগ উঠল সরকারি দফতরের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের জেলা নিবন্ধীকরণ দফতরে। ওই দফতরের রেকর্ড রুম থেকে বেআইনি লেনদেনের মাধ্যমে এক ভাইয়ের জমি অন্য ভাইয়ের নামে রেকর্ড করে দেওয়ার অভিযোগ সামনে আসতে সরব দফতরের ভারতীয় মজদুর সংঘের নেতৃবৃন্দ। জেলা নিবন্ধকের কাছে বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনার প্রশাসনিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক দুর্গাদাস গোস্বামী।
জেলা নিবন্ধক বলরাম আধিকারী বলেন, “রেকর্ড রুম থেকে জমির রেকর্ড বদল হওয়ার কথা নয়। কিন্তু এক্ষেত্রে লক্ষাধিক টাকার সম্পত্তির মালিকানা অন্যের নামে রেকর্ড হয়েছে। ওই অনিয়মের সঙ্গে রেকর্ড রুমের যে সমস্ত কর্মী জড়িত তাঁদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে বালুরঘাট থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।” পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “জেলা নিবন্ধীকরণ দফতরের রেকর্ড বিভাগ থেকে জমির মালিকানা সংক্রান্ত নথিতে কারচুপির অভিযোগ জমা পড়েছে। বালুরঘাট থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।”
জেলা নিবন্ধীকরণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ জেলার বংশীহারি ব্লকের হরিরামপুর মৌজার ২৫ শতক আয়তনের একটি জমি রেকর্ড করার জন্য বিনিয়াদপুর মহকুমার অতিরিক্ত নিবন্ধীকরণ দফতর থেকে বালুরঘাটের জেলা দফতরে পাঠানো হয়। এর পরে ওই জমির দলিলের দুটি নকল গত ১৫ মে এবং ৩১ মে রেকর্ড বিভাগ থেকে দেওয়া হয়। ওই নথি থেকে দেখা যায়, ওই জমির মালিক প্রেমচাঁদ গুপ্ত। অথচ জমির মূল দলিলে মালিকের নাম রয়েছে দাদা প্রেমানন্দ গুপ্তের। কিন্তু রেকর্ডের বলে ভাই প্রেমচাঁদ গুপ্ত ওই জমি তাঁর বলে দাবি করেন। জালিয়াতির অভিযোগ করে দাদা প্রেমানন্দ ঘটনার প্রতিবাদ জানান। ভাই প্রেমচাঁদবাবু দাবি করেন, “রেকর্ডে আমার নামে ওই জমির মালিকানা চিহ্নিত হয়েছে। ফলে জমিটি আমার বলে দাবি করি।” তাঁর কাছে থাকা জমির দলিল দেখে জেলা নিবন্ধক কারচুপি বুঝতে পারেন বলে প্রেমানন্দবাবু জানান। ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘের সম্পাদক দেবব্রত সরকারের অভিযোগ, “রেকর্ড রুম এমন একটি বিভাগ সেখানে সাধারণ মানুষ প্রবেশ করতে পারেন না। ওই বিভাগের কিছু কর্মী লেনদেনে জমির রেকর্ড বদলের সঙ্গে জড়িত। একটি ঘটনায় বিষয়টি সামনে এসেছে। ” |