সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে কোচবিহারে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। ১৮ জানুয়ারি কোচবিহার কোতোয়ালির মরিচবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ওই ছাত্রীকে ফালাকাটার ভৈরব এলাকার একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পরের দিন ওই ছাত্রীকে অভিযুক্তের এক সঙ্গী ঘরঘরিয়াহাট এলাকায় নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। ২১ জানুয়ারি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন ছাত্রীর বাবা।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে পরের দিন ছাত্রীর মেডিক্যাল করানো হয়। গত বৃহস্পতিবার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মূল অভিযুক্তের আত্মীয়া আলিমা খাতুনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বাড়ি ফালাকাটার ভৈরব এলাকায়। ওই বাড়িতেই ছাত্রীটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কোতোয়ালি থানার আইসি দেবাশিস ঘোষ বলেন, “এক জনকে ধরা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত-সহ পাঁচজন পলাতক। ঘটনার তদন্ত চলছে।”
মরিচবাড়ি মাদ্রাসা শিক্ষা কেন্দ্রের সপ্তম শ্রেণিক ওই ছাত্রী ২১ জানুয়ারি বিকালে প্রাইভেট টিউশনের জন্য বাড়ি থেকে বার হয়। তার বাবা এক দিনমজুর। রাস্তায় তাদের প্রতিবেশী এক যুবক ও তার সঙ্গীরা ছোট গাড়িতে ছাত্রীটিকে তুলে নিয়ে ফালাকাটার ভৈরব এলাকায় যায় বলে অভিযোগ। সেখানেই রাতে মূল অভিযুক্ত ছাত্রীটিকে ধর্ষণ করে বলে পুলিশকে জানানো হয়েছে। ঘটনার জেরে ছাত্রীটি জ্ঞান হারায়। পর দিন সকালে ছাত্রীটি কান্নাকাটি করলে অভিযুক্তের এক বন্ধু মরিচবাড়ির ঘরঘরিয়া হাটে তাকে নামিয়ে দিয়ে পালায় বলে অভিযোগ। মূল অভিযুক্ত যুবকের এলাকায় মুদির দোকান রয়েছে। পুলিশ তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অপহরণের মামলা রুজু হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণে সাহায্যের অভিযোগে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ছাত্রীর বাবার কথায়, “মেয়েকে খোঁজাখুজি করে না পাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছিলাম। ধর্ষণের ঘটনায় বিধ্বস্ত হয়ে পড়ায় থানায় জানাতে দেরি হয়। জড়িতদের শাস্তি চাই।” |