প্রায় এক বছর ধরে ক্লাস্টার ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ। ফলে সমস্যায় পড়েছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর-১ ব্লকের অধীনে কৃষ্ণচন্দ্রপুর পঞ্চায়েতে রাঘবপুর গ্রামে রয়েছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কার্যকরী সঙ্ঘ। ৬টি গ্রুপ নিয়ে সঙ্ঘের সদস্যসংখ্যা ৮৫ জন। ওই মহিলাদের এক জায়গায় বসে হাতের কাজ করার জন্য ২০১১ সালে জেলা গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্প থেকে একতলা ক্লাস্টার ভবন নির্মাণের জন্য ৬ লক্ষ টাকা অনুমোদন হয়। ওই ভবন নির্মাণের দায়িত্ব নেন পঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধান। সেই মতো প্রথম দফায় ৩ লক্ষ টাকার কাজ শুরু হয় ২০১২ সালের প্রথম দিকে। প্রায় ২ শতক জমিতে দিন-পনেরো কাজ চলার পরই তা বন্ধ হয়ে যায়। রাঘবপুর প্রগতি কার্যকরী সঙ্ঘের সদস্য গীতা ভট্টাচার্য বলেন, “ক্লাস্টার ভবনটি আমাদের সদস্যদের জরি ও বুটিকের কাজ করার জন্য এবং সেই সঙ্গে সভা করার জন্যও তৈরি হচ্ছিল। কিন্তু এত দিনেও ভবনের কাজ শেষ না হওয়ায় সকলকেই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।” |
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ভবন নির্মাণের টাকা কিছু খরচের পরেই বাকিটা উধাও হয়ে গিয়েছে। এ ব্যাপারে পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান জড়িত থাকতে পারেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। কাজ আপাতত বন্ধ। ওই সঙ্ঘের সম্পাদক শঙ্করী হালদার জানান, “প্রধান ও উপপ্রধান দুজনে মিলেই ক্লাস্টার ভবনটি নির্মাণের দায়িত্ব নিয়েছেন। এই কাজ শুরু করার জন্য কত টাকা খরচ হয়েছে বা কত টাকা পড়ে আছে, তা কিছুই জানি না। তবে শীঘ্রই কাজ শুরু হবে বলে শুনেছি।”
কৃষ্ণচন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান সাধনা হালদার ও উপপ্রধান রমেশ কয়ালের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের বহু চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি। পরে পঞ্চায়েতে যোগাযোগ করা হলে উপপ্রধান বলেন, “আমি কিছু বলতে পারব না। যা বলার প্রধান বলবেন।” অন্য দিকে প্রধানের বক্তব্য, “আপনি কী অভিযোগ পেয়েছেন তা লিখিত আনুন। তবেই জবাব দেব।”
বিডিও সৌমেন মাইতি বলেন, “ওই ক্লাস্টার ভবন নির্মাণের বিষয়ে সব কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর্থিক দুর্নীতি প্রমাণিত হলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |