মেঘ মল্লারের আমন্ত্রণে সায়েন্স সিটিতে সরোদ বাজিয়ে গেলেন আমান আলি খান। সঙ্গে তবলায় ছিলেন শুভঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। আমানের প্রথম চয়ন শ্রী। রাগটির বেদনাময় অভিব্যক্তি আমানের অসাধারণ আলাপে প্রকাশ পায়। এ ক্ষেত্রে কোমল ঋষভ এবং তীব্র মধ্যমের অসামান্য প্রয়োগ লক্ষণীয়। আলাপের পর ঝাঁপতালে এই রাগেরই বন্দিশ শোনান। মিড়ের কাজ, তবলার সঙ্গে তাঁর তাল মিলে গত জমে ওঠে। এর পরের পরিবেশনা রাগেশ্রীতে দু’টি বন্দিশ। |
প্রথমটি তিনতালে, দ্বিতীয়টি আড়া চৌতালে। বন্দিশ দু’টির রচনাকার তাঁর পিতা আমজাদ আলি খান। সমান দক্ষতায় আমান বিস্তার ও তানে রাগের ছবিটি তুলে ধরেন। আড়া চৌতালে তবলার সঙ্গে তাঁর বিচিত্র তেহাই, সাথ সঙ্গত ও সওয়াল জবাবের ব্যবহার তাঁর ঘরানার এক যোগ্য উত্তরসূরি বলে তাঁকে প্রতিষ্ঠিত করে। এর পরে একতালে চারুকেশী এবং তিনতালে কলাবতী পেশ করেন আমান। দু’টি রচনাই সুখশ্রাব্য হয়ে উঠতে সময় নেয়নি। সব শেষের উপহারে পল্লিগীতির সুরে ‘একলা চলো রে’-র ব্যবহারে অনুষ্ঠান হয়ে ওঠে অনবদ্য। এ রকম একটি উচ্চাঙ্গের বাজনার সঙ্গে যে ধরনের সঙ্গত হওয়া উচিত
শুভঙ্কর তার ষোলো আনা চাহিদা মিটিয়ে দিয়েছে। |