|
|
|
|
জনসংযোগে জোর ডিএমের
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক আরও নিবিড় করতে সাধারণ মানুষের কাছে আহ্বান জানালেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত। জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে শুক্রবার জেলা কালেক্টরেটে আয়োজিত সভায় জেলাশাসক বললেন, “আপনারা নিজেকে প্রশাসনেরই একটা অঙ্গ হিসেবে মনে করুন। প্রশাসন-মানুষের মধ্যে কোনও ভেদ নেই। আমাদের মধ্যে যেন সমন্বয়ের অভাব না-থাকে।” এদিনের অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন। কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপস্থিত শিক্ষকদের উদ্দেশে জেলাশাসক বলেন, “আপনারা যেমন আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে এসেছেন, আপনারা ডাকলে আমরাও আপনাদের স্কুলে যাব। শিবির করব। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে নিয়ে আলোচনাসভা করব। উচ্চশিক্ষার নানা সুযোগ নিয়ে সেখানে আলোচনা করা যেতে পারে। এর ফলে ছাত্রছাত্রীরা উপকৃত হবে।”
পশ্চিম মেদিনীপুরের একটা বড় অংশ জুড়েই রয়েছে জঙ্গলমহল। একটা সময় এই এলাকার অধিকাংশ মানুষ পুলিশের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছিলেন। শুরু হয়েছিল ‘পুলিশ বয়কট’। স্থানীয় মানুষের সঙ্গে পুলিশের দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। এখন অবশ্য সেই পরিস্থিতি নেই। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানুষকে আরও কাছে পেতে নানা পদক্ষেপ শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে পুলিশের উদ্যোগে ফুটবল টুর্নামেন্ট হয়েছে। রক্তদান শিবির, স্বাস্থ্য শিবির হচ্ছে। কমছে দূরত্ব। পাশাপাশি জনসংযোগে জোর দিচ্ছে প্রশাসনও।
ভোটার দিবস উপলক্ষে এ দিন নতুন ভোটারদের হাতে সচিত্র পরিচয়পত্র তুলে দেওয়া হয়। জেলাশাসকের পাশাপাশি কালেক্টরেটের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন দুই অতিরিক্ত জেলাশাসক অরিন্দম দত্ত ও সুমন ঘোষ, জেলা পরিকল্পনা ও উন্নয়ন আধিকারিক প্রণব ঘোষ, মেদিনীপুর আইন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ মানস রায় প্রমুখ। জেলাস্তরে পোস্টার লেখা এবং ক্যুইজ প্রতিযোগিতায় সফলদের হাতে এ দিন পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। জেলাশাসক বলেন, “আমাদের সকলেরই উচিত, গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করা। ভোট দানে অংশ গ্রহণ করা।” জেলাশাসককে কাছে পেয়ে ছাত্রছাত্রীরাও নানা প্রশ্ন করেন। জেলাশাসক সেই সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি জানান, কারও কোনও প্রস্তাব বা মতামত থাকলে তা যে কোনও সময় লিখিত ভাবে জেলা প্রশাসনে পাঠিয়ে দিতে পারে। জনগণের আবেদন-আর্জি গুরুত্ব সহকারেই খতিয়ে দেখবে জেলা প্রশাসন। |
|
|
|
|
|