|
|
|
|
শিলাবতীর পাড় খালি করতে ফের উদ্যোগী সেচ দফতর
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
ফের শিলাবতী নদীর পাড়ে বেআইনি দোকান, বাড়ি ভেঙে ফেলতে উদ্যোগী হল সেচ দফতর। শুরু হয়েছে মাইকে করে প্রচারও। সেচ দফতরের ঘাটাল মহকুমা আধিকারিক নমিত সরকার বলেন, “দ্রুত নদীর পাড় সংস্কার এবং রাস্তা চওড়া করা হবে। সেই জন্য নদীর পাড় ফাঁকা করতে মাইকে করে প্রচার করা হচ্ছে। যাঁরা নদীর পাড় দখল করে রয়েছেন, তাঁদের নোটিস দিয়ে সরকারি এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হবে।”
এ দিকে, এই প্রচার শুরু হতেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে ঘাটাল শহরে। বৃহস্পতিবার নদীর পাড়ে সরকারি জমি দখল করে থাকা ব্যবসায়ীরা মিছিল করে ঘাটাল পুরসভার চেয়ারম্যানের কাছে ডেপুটেশনও দিয়েছেন। পুরপ্রধান জগন্নাথ গোস্বামী তা স্বীকার করে বলেন , “জমি পুরসভার নয়, তা সেচ দফতরের। তবে আলোচনা করব, যাতে কেউ নিরাশ্রয় না হয়।” |
শিলাবতীর পাড়ে বেআইনি নির্মাণ। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
ঘাটাল শহরের কোন্নগরের একাংশ, প্রতাপপুর, হরিশপুর-সহ বিভিন্ন এলাকায় শিলাবতী নদীর পাড়ে সেচ দফতরের জমির দখল করে বেআইনি নির্মাণ রয়েছে। এখনও নদীর পাড়ে সরকারি ওই জমিতে বড় বড় বাড়ি তৈরি হচ্ছে। কেউ বসবাস করছেন, অনেকে আবার নদীর পাড়ে বাড়ি তৈরির সরঞ্জাম রেখে ব্যবসাও করছেন। পাশাপাশি ভারী যান চলাচলে নদীর পাড় ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে। অভিযোগ, প্রায় তিন দশকের বেশি সময় ধরে একের পর এক বাড়ি তৈরি হলেও সংশ্লিষ্ট দফতরের তরফে কোনও বাধা দেওয়া হয়নি। বেআইনি নিমার্ণের জেরে এখন নদীর পাড় বলেই আর কিছু নেই। সে জন্য ফি বছর বন্যা হলেই কোথাও বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে আবার কোথাও বা বড় বড় ফাটলের সৃষ্টি হচ্ছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেচ দফতর উদাসীন থাকায় নদীর পাড়ের এই অবস্থা।
পাড়ের উপর প্রায় শতাধিক বেআইনি বাড়ি (পাকা ও মাটির) কী ভাবে তৈরি হল? সেচ দফতরের মহকুমা আধিকারিক নমিত সরকার বলেন, “আমি এই ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না। এখন আমাদের নদীর বাঁধ সংস্কার ও রাস্তা চওড়া করা হবে তাই সবাইকে সরে চলে যেতে বলা হচ্ছে।” যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেচ দফতরের এক কর্তা বলেন, “এর আগেও একবার ঠিক হয়েছিল সব অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হবে। কিন্তু রাজনৈতিক দলের নেতাদের বাধায় আমরা সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছিলাম।” |
|
|
|
|
|