|
|
|
|
ছাত্রী ধর্ষণে তিন অভিযুক্তই গ্রেফতার
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ‘ফেরার’ তিন তরুণকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
ধৃত খোকন মাহাতো, বিদ্যাধর মাহাতো ও হলধর পাত্রের বাড়ি জামবনির শিরষা গ্রামে। গত ১৮ জানুয়ারি ওই ঘটনার পরে মঙ্গলবার জামবনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ধর্ষিতা কিশোরীর দাদা। তিন দিনের মধ্যেই অভিযুক্তদের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজের অফিসে এক সাংবাদিক বৈঠক করেন ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ। তিনি জানান, এ দিন দুপুরে এসডিপিও (ঝাড়গ্রাম) সন্তোষকুমার মণ্ডল ও জামবনি থানার আইসি নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে ঝাড়খণ্ড রাজ্য লাগোয়া জামবনির দু’টি জঙ্গল থেকে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। সাংবাদিক বৈঠকে ধৃতদের কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে হাজির করে পুলিশ। ধৃতদের সঙ্গে সাংবাদিকদের কোনও কথা বলতে দেওয়া হয়নি। এসপি জানান, শনিবার ধৃতদের ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে তোলা হবে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুব শীঘ্রই আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে বলে জানান ভারতীদেবী। |
এসপি অফিসে সাংবাদিক বৈঠকে ধৃতেরা।—নিজস্ব চিত্র। |
গত শুক্রবার ১৮ জানুয়ারি বিকেলে টিউশন পড়ে নিজের বাড়িতে ফিরছিল বছর পনেরোর কিশোরীটি। সেই সময়ই শিরষা গ্রামের ওই তিন যুবক তাকে জোর করে কাছের একটি জঙ্গলে টেনে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। অভিযোগ ওই কিশোরীকে ধর্ষণের পর খুন করতে চেয়েছিল ধর্ষকেরা। তাদের হাতে-পায়ে ধরে নিজের প্রাণরক্ষা করে ওই কিশোরী। ধর্ষকেরা কিশোরীকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, ঘটনার কথা জানাজানি হলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে। ভয় পেয়ে ছাত্রীটিও বাড়ি ফিরে এসে পরিবারের লোকেদের প্রথমে কিছু বলেনি। পরে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি জানা যায়।
মঙ্গলবার বিকেলে ছাত্রীটির দাদা জামবনি থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অভিযুক্তরা ফেরার হয়ে যায়। মঙ্গলবার রাতে ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়। ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণও মেলে। বুধবার ঝাড়গ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুপর্ণা রায়ের কাছে ধর্ষিতা ছাত্রীটি গোপন জবানবন্দি দেয়। ঘটনার প্রতিবাদে এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার ওই পরীক্ষার্থীর নিজের স্কুল-সহ এলাকার বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়ারা মৌনী পদযাত্রা করে। একই দাবিতে জামবনি ব্লক তৃণমূলের পক্ষ থেকে এলাকায় পোস্টার সাঁটানো হয়। এদিন ওই কিশোরীর দাদা বলেন, “অভিযুক্তরা ধরা পড়ায় বিচার পাওয়ার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। অভিযুক্তদের কঠিনতম শাস্তি চাই।” তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কার্যকরী সভাপতি নির্মল ঘোষ বলেন, “দ্রুততার সঙ্গে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করায় ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই।” |
|
|
|
|
|