জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবিতে কালিয়াগঞ্জ নাগরিক অধিকার রক্ষা কমিটির আমরণ অনশন বুধবার চতুর্থ দিনে পড়ল। কালিয়াগঞ্জ-বুনিয়াদপুর রেলপথ তৈরির কাজে জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে উপযুক্ত দাম এবং পরিবার পিছু এক জনকে চাকরি দেওয়ার দাবি তুলেছেন তারা। রবিবার থেকে কমিটির ১৮৭ জন সদস্য স্থানীয় ধনকল মোড় এলাকায় অনশন শুরু করেন। সোমবার ১৬৭ জন অনশন তুলে নিলেও বাকি ২০ জন আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। কালিয়াগঞ্জ ও দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশুমন্ডি ও বংশিহারি ব্লকের বাসিন্দা ২০ জন পেশায় কৃষক। সমস্যা সমাধানে রেল কর্তৃপক্ষ বা জেলা প্রশাসনের তরফে এখনও আশ্বাস মেলেনি।
এদিন মেডিক্যাল টিম অনশনকারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। ওষুধ নেওয়ার অনুরোধ করলেও অনশনকারীরা রাজি হননি। তাঁদের তরফে জেলাশাসকের কাছে চিঠি পাঠিয়ে দাবির বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষকে নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের আর্জি জানানো হয়েছে। প্রশাসনের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলাশাসক কালিয়াগঞ্জ ব্লক প্রশাসনের মাধ্যমে কমিটির সদস্যদের অনশন তুলে নিতে এ দিন অনুরোধ করেন। কমিটির সদস্যরা তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম অরুণ শর্মার দাবি, রেলের নির্মাণ বিভাগের আধিকারিকরা বিষয়টি খতিয়ে দেখে খুব শীঘ্রই উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছেন। কমিটির অভিযোগ, রেল উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ঘোষণা না করেই ৩৪ কিলোমিটার রেলপথ তৈরির জন্য প্রায় ৬০০ একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। কমিটির সম্পাদক তথা বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ সরকার বলেন, “চিহ্নিত জমির ১১৩৪ জন চাষিই জানিয়ে দিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ জমির উপযুক্ত দাম এবং পরিবার পিছু একজনকে চাকরির নিশ্চয়তা না দেওয়া পর্যন্ত তাঁরা এক ইঞ্চি জমি দেবেন না।” রেল কর্তৃপক্ষ বা জেলা প্রশাসন দাবি পূরণে উদ্যোগী না-হওয়া পর্যন্ত অনশন চলবে। কারও মৃত্যু হলে তার দায় রেল, প্রশাসনকেই নিতে হবে। |