কংগ্রেস ও বিজেপি-র বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে চিঠি দিয়ে গোর্খাল্যান্ডের দাবি বিবেচনা করতে আর্জি জানালেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ। কেন্দ্র ও রাজ্যের উপরে চাপ তৈরি করতে তিনি এই চিঠিগুলি পাঠিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাতে তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা জিটিএ গঠন করলেও গোর্খাল্যান্ডের দাবি থেকে কখনও সরেননি। সে কথা জিটিএ নিয়ে ত্রিপাক্ষিক চুক্তিতে লেখাও রয়েছে বলে গুরুঙ্গ উল্লেখ করেছেন। এর পরেই গুরুঙ্গ অনুরোধ করেছেন, তেলেঙ্গানা পৃথক রাজ্য হলে দার্জিলিং পাহাড়ের শতবর্ষের পুরানো দাবি মেনে গোর্খাল্যান্ড গড়ার কথাও ভাবতে হবে।
গুরুঙ্গ মঙ্গলবার ওই চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ, কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী, সহ সভাপতি রাহুল গাঁধী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার সিন্দের সঙ্গে বিজেপি-র নিতিন গডকরী সহ সুষমা স্বরাজ, রাজীবপ্রতাপ রুডি, অরুণ জেটলি এবং যশোবন্ত সিংহকে। তবে রাজ্য সরকারের কোনও মহলেই চিঠি দেওয়া হয়নি। মোর্চা নেতারা জানান, জিটিএ-র সভায় আলাদা রাজ্যের দাবি বিষয়টি পাশ করিয়ে তা রাজ্যের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এতে রাজ্যের উপর আরও প্রশাসনিক চাপ বজায় রাখা যাবে ধারণা মোর্চার। সেই সময় রাজ্য যাতে ওই দাবিপত্রে সম্মতি জানায় তার জন্যও কেন্দ্রকে অনুরোধ করা হবে।
মোর্চার সহকারী সাধারণ সম্পাদক জ্যোতিকুমার রাই বলেন, “আমাদের সভাপতি দিল্লিতে কংগ্রেস, বিজেপি নেতাদের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের কাছে আলাদা রাজ্যের দাবিকে সমর্থন করার আবেদন করেছেন। আলাদা তেলেঙ্গানা রাজ্য তৈরির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে আমাদের দাবি জোরদার করতেই চিঠিগুলি পাঠানো হয়েছে।” তিনি জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারকে পরে বিষয়টি জানানো হবে। |