দুষ্কৃতী দলের সঙ্গে পুলিশের গুলি বিনিময়ের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল কুমারগ্রামের কামাখ্যাগুড়ি এলাকায়। সোমবার গভীর রাতে কামাখ্যাগুড়ি চৌরঙ্গীর একটি সোনার দোকানে দেওয়াল ভেঙে লুটপাট চালানোর সময় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতী দলটিতে ছয়জন ছিল। দুই পক্ষে ছয় রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়েছে। দুষ্কৃতীরা গুলি চালাতে চালাতে হাট কলোনি হয়ে আটিয়ামোচর জঙ্গলের দিকে পালিয়েছে। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই। ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া বলেন, “দুষ্কৃতীরা চার রাউন্ড গুলি চালিয়েছে। পুলিশ দুই রাউন্ড গুলি চালায়। দুষ্কৃতী দলের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত দেড়টা নাগাদ দুষ্কৃতীরা সুদাম দেবনাথ নামে এক সোনার ব্যবসায়ীর দোকানের পিছনের অংশ ভাঙতে শুরু করে। এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা বিষয়টি টের পেয়ে সুদামবাবুকে টেলিফোন করে জানান। তিনি স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেন। খবর পেয়ে কামাখ্যাগুড়ি ফাঁড়ির ওসি সনাতন সিংহ ঘটনাস্থলে আসেন। ততক্ষণে দুষ্কৃতীরা সুদামবাবুর দোকানে ঢুকে লুঠপাট শুরু করেন। পুলিশকে দেখেই দুষ্কৃতীরা গুলি চালানো শুরু করে। সনাতনবাবুও গুলি চালান। দুষ্কৃতীরা অন্ধকারের মধ্যে জঙ্গলের দিকে পালায়।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দুটি কার্তুজের খোল, দুটি লোহার শাবল, কয়েকটি কাঠের টুকরো উদ্ধার করেছে। তবে পালানোর আগে দুষ্কৃতীরা ছয় ভরি সোনার গয়না নিয়ে গিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। সুদামবাবু বলেন, “পুলিশ না এলে যে কী হত কেন জানে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।” দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার ও ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার দাবিতে সরব কামাখ্যাগুড়ি ব্যবসায়ী সমিতি। সংগঠনের সম্পাদক অনিরুদ্ধ বিশ্বাস জানান, এর আগেও বাজারে চুরির ঘটনা ঘটে। গত ২২ ডিসেম্বর একটি সোনার দোকানে লুটপাট চালিয়ে লক্ষাধিক টাকার গয়না নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। ১৬ ডিসেম্বর চিকলিগুড়ি বাজারে আরেকটি সোনার দোকানে লুঠ করতে এসে সাতজন ব্যবসায়ীকে মারধর করে পালায় দুষ্কৃতীরা। এ দিনের ঘটনার পর ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত। তাইপুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
সাইকেল চুরি। এক ছাত্রীর সাইকেল চুরির ঘটনাকে ঘিরে অধ্যক্ষকে বিক্ষোভ দেখাল ছাত্র পরিষদ। মঙ্গলবার দুপুর থেকে প্রায় তিন ঘন্টা আলিপুরদুয়ার কলেজে ঘটনাটি ঘটে। আলিপুরদুয়ার কলেজের অধ্যক্ষ সুব্রত পঞ্চানন বলেন, “দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের টেস্ট পরীক্ষা চলাকালীন এক ছাত্রীর সাইকেল কলেজ চত্বর থেকে খোয়া যায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিছু ছাত্র প্রায় তিন ঘণ্টা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায়। সাইকেল চুরি যাওয়ায় আমি করব বুঝতে পারলাম না। তাঁদের থানায় যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।” ছাত্র পরিষদ নেতা সঞ্জয় সরকার জানান, এক ছাত্রীর সাইকেল খোয়া যায়। কলেজ থেকে কিছু চুরি হলে তার দায় কলেজ কর্তৃপক্ষের। ঘটনার ক্ষোভ প্রকাশ করেন আলিপুরদুয়ার অভিভাবক মঞ্চের সদস্যরা। |