ছোট্ট ঘরে গাদাগাদি করে থাকছেন ১০-১৫ জন। কোনও ঘরে সংখ্যাটা আরও বেশি। তার উপর রয়েছে পানীয় জল, শৌচাগারের সমস্যা। ৭৩তম আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়া ক্রীড়াবিদরা এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে পাঁচদিনের এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। দেশের ১৫১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২৩০০ খেলোয়াড় বিভিন্ন বিভাগে অংশ নিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, আয়োজকেরা এত বড় একটি প্রতিযোগিতার আয়োজনে চূড়ান্ত অপেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছে। থাকার জায়গার বেহাল দশার পাশাপাশি মাঠেরও হাল খারাপ। |
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। —নিজস্ব চিত্র। |
এবড়ো খেবড়ো মাঠে ছোটা যায় না বলে অভিযোগ খেলাড়ুদের। জহরলাল নেহেরু টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া দলের ম্যানেজার অনিল কুমার বলেন, “খেলোয়াড়দের থাকার ঘরের অবস্থা ভালো নয়। তার উপর পানীয় জলের সমস্যা তো রয়েইছে। এর আগেও জাতীয় পর্যায়ে খেলার জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছি। কিন্তু এ রকম অব্যবস্থাপনা কোথাও দেখিনি।” প্রতিযোগীদের সমস্যার কথা কার্যত মেনে নিয়েছেন প্রতিযোগিতার পরিচালন কমিটির সম্পাদক মাধব চন্দ্র ঘোষ। তিনি বলেন, “খেলোয়াড়দের থাকার জন্য ঘর চেয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে আবেদন করলেও তাতে সার্বিকভাবে সাড়া মেলেনি। মাত্র ১২০টি ঘর পাওয়া গিয়েছে। এতে কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে। তবে বিভিন্ন জায়গায় পানীয় জল ও খাবার স্টলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।” অন্য দিকে রাজ্যের ক্রীড়া মন্ত্রী মদন মিত্র বলেন, “এত বড় একটি প্রতিযোগিতার আয়োজনে কিছু সমস্যা থাকলেও আন্তরিকতার খামতি নেই। সরকার এ জন্য ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছে।” |