সিপিএম কাউন্সিলরের বাড়ি ভাঙচুর হলদিয়ায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
আগুন লেগেছিল গুড়ের দোকানে। আসলে তাদের দলীয় কার্যালয় পোড়ানোর চেষ্টা হচ্ছিল, এই অভিযোগ তুলে স্থানীয় সিপিএম কাউন্সিলরের বাড়িতে চড়াও হলেন তৃণমূলের লোকজন। চালানো হল ভাঙচুর। ঘটনাস্থল হলদিয়া।
সোমবার রাতে ওই গুড়ের দোকান পুড়ে যাওয়ার পর মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ ক্ষুদিরামনগরে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর দুলাল জানার বাড়ির কাছে সামনে জড়ো হন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। |
|
ভাঙা জানলার সামনে সস্ত্রীক। ছবি: আরিফ ইকবাল খান। |
নেতৃত্বে ছিলেন পুরসভার বিরোধী দলনেতা দেবপ্রসাদ মণ্ডল। অভিযোগ, তারপরই ইট ছুড়ে দুলালবাবুর বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। দুলালবাবুর অভিযোগ, “পুরবোর্ড ভাঙার জন্য আমাকে ওরা বহু বার প্রলোভন দেখিয়েছে। আমি রাজি না হওয়ায় এ দিন বাড়িতে হামলা চালাল।” দেবপ্রসাদবাবুর অবশ্য বক্তব্য, “আমরা প্রতিবাদ মিছিল করেছি। কারও বাড়িতে করা ভাঙচুর হয়নি।”
হলদিয়া পুরভোটে বামেদের জয়ের পর থেকেই দফায় দফায় অশান্তি চলছে শিল্পশহরে। পুরসভায় তৃণমূলের বিক্ষোভের সময়ও দুলালবাবুকে গাড়ি থেকে টেনে-হিঁচড়ে নামিয়ে হেনস্থা করা হয়েছিল। সেই রিপোর্ট রাজ্যপালকে পাঠিয়েছেন পুরপ্রধান তমালিকা পণ্ডা শেঠ। ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ক্ষুদিরামনগরে সিপিএমের জোনাল পার্টি অফিসের বিপরীতেই তৈরী হয়েছে তৃণমূলের ওয়ার্ড কমিটির অফিস। সোমবার রাতে ওই পার্টি অফিসের অদূরে গুড়ের দোকানে আগুন লাগে। তৃণমূলের অভিযোগ, গুড়ের দোকানে আগুন লাগাতে এসে তৃণমূলের পার্টি অফিস পোড়ানোর চেষ্টা করেছিল সিপিএমের লোকজন। তারই জেরে এ দিন সকালে দুলালবাবুর বাড়িতে হামলা চলে। এ প্রসঙ্গে প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠের প্রতিক্রিয়া, “সন্ত্রাসের বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের রায়ে বামফ্রন্ট পুরবোর্ড গড়েছে। এ ভাবে মারধর, প্রলোভন দেখিয়ে মানুষের রায় ভাঙা অসম্ভব।” |
|