অবাধ ভোট হলে জিতবে সিপিএম, দাবি লক্ষ্মণের
জেলায় গণতান্ত্রিকভাবে শান্তিপূর্ণ ও অবাধ ভোট হলে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের বিপুল ভোটে জয়ের ইঙ্গিত দিলেন সিপিএম নেতা লক্ষ্মণ শেঠ। নন্দীগ্রাম নিখোঁজ মামলায় মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আদালতে হাজিরা দিতে এসে এ কথাই বললেন সিপিএমের প্রাক্তন এই বিধায়ক। নির্বাচনে জেলার দলের সাংগঠনিক প্রস্তুতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তৃণমূল নেতারা প্রকাশ্য সভায় বলছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিএম যাতে প্রার্থী দিতে না পারে। তার মানে তৃণমূল আমাদের প্রার্থী দিতে বাধা দেবে। যদি তাই হয় তাহলে আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাব। প্রয়োজনে আদালতের দ্বারস্থ হব।” পাশাপাশি লক্ষ্মণবাবুর দাবি, “জেলায় গণতান্ত্রিকভাবে শান্তিপূর্ণ ও অবাধ ভোট হলে জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি-সহ গ্রামপঞ্চায়েতে আমরা বিপুল ভোটে জিতব।”
আদালত চত্বরে লক্ষ্মণ শেঠ। —নিজস্ব চিত্র।
মঙ্গলবার নন্দীগ্রাম নিখোঁজ মামলায় হাজিরা দিতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আদালতে আসেন সিপিএম নেতা লক্ষ্মণ শেঠ, অমিয় সাহু, অশোক গুড়িয়ারা। তবে মামলায় অভিযুক্ত জামিনে থাকা যাদব সাউ অসুস্থতার কারণে ও সাগর দাস, স্বপন দাস ব্যক্তিগত কারণে এ দিন আদালতে হাজির ছিলেন না। তাই পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা ও দায়রা বিচারক মধুমিতা মিত্র আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন। ফলে পিছিয়ে গেল মামলার বিচার পর্বের শুনানি শুরুর দিন। নন্দীগ্রাম নিখোঁজ-কাণ্ডের তদন্ত করে গত বছর জানুয়ারি মাসে তমলুকের প্রাক্তন সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠ, অমিয় সাহু, অশোক গুড়িয়া-সহ দলের ৮৮ জনের বিরুদ্ধে হলদিয়া মহকুমা আদালতে চার্জশিট জমা দেয় সিআইডি। গত বছর মার্চ মাসে সিআইডি’র হাতে গ্রেফতার হন লক্ষ্মণ শেঠ, অমিয় সাহু, অশোক গুড়িয়া। লক্ষ্মণ শেঠ-সহ ১৯ জন অভিযুক্ত আদালতের নির্দেশে জামিনে রয়েছেন। নন্দীগ্রামের সিপিএম নেতা অশোক বেরা, খেজুরির বিজন রায়-সহ ১০ জন জেল হেফাজতে রয়েছেন। বাকিরা পলাতক। ওই মামলার বিচার পর্ব শুরুর জন্য পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আদালতে মামলা সোপর্দ করেছিল হলদিয়া মহকুমা আদালত। এই সংক্রান্ত বিষয়ে এ দিন জেলা আদালতে শুনানির কথা ছিল।
এ দিন লক্ষ্মণ শেঠের সঙ্গে দেখা করতে আসেন স্ত্রী তমালিকা শেঠ। হলদিয়া পুরসভার কাজে বাধা দেওয়া নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন হলদিয়ার পুরপ্রধান তমালিকা দেবী। লক্ষ্মন শেঠ অভিযোগ করেন, “হলদিয়ার পুরসভার কাউন্সিলরদের অফিসে ঢুকতে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল। তৃণমূলের নেতারা প্রকাশ্য সভায় বামফ্রন্ট পুরবোর্ড ভেঙ্গে দেওয়ার কথা বলছেন। ভোটে হেরে যাওয়া সত্ত্বেও পুরসভা দখল করতে চায় তৃণমূল।” আরও বলেন, “জেলায় আমাদের নেতা-কর্মীদের উপর আক্রমণ হচ্ছে, দলীয় অফিসে হামলা হচ্ছে। অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও পুলিশ-প্রশাসন কিছু করছে না।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.