ফেডারেশন ওকোলি ওডাফাকে বড় শাস্তি থেকে রেহাই দেওয়ায় মোহনবাগান উদ্দীপ্ত। খুশি ইস্টবেঙ্গলও!
কলঙ্কিত ডার্বি নিয়ে দুই প্রধানের কর্তাদের মধ্যে যে বিবৃতির যুদ্ধ-ই চলুক, ওডাফা ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আই লিগে নামতে পারবেন জেনে যুবভারতীতে মঙ্গলবার সকালে যেমন ট্রেভর মর্গ্যান তাঁর হাত ধরে বলে গেলেন, “আবার তোমার খেলা আমরা উপভোগ করব।” তেমনই লাল-হলুদ কোচের এক নম্বর স্ট্রাইকার এডে চিডি বললেন, “এই ম্যাচের ঘটনার জন্য ওডাফা নয়, রেফারিই দায়ী। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান হাই ভোল্টেজ ম্যাচ পরিচালনা করার মানসিক শক্তি রেফারির ছিল না। ওডাফা এমন কিছু করেনি যার জন্য ওকে এত শাস্তি পেতে হবে।”
|
বন্ধু দেখা হবে। যুবভারতীতে ঢোকার পথে ওডাফাকে শুভেচ্ছা চিডির। |
ওডাফার পাশে ফের খেলতে পারবেন ভেবে খুশি টোলগেও। ক্লাবের দুঃসময়ে মনোমালিন্য দূরে সরিয়ে রেখে বাগানের অস্ট্রেলীয় স্ট্রাইকার বললেন, “ওডাফার বড় শাস্তি না হওয়ায় আমরা খুশি হয়েছি। ইউনাইটেড স্পোর্টসের বিরুদ্ধে ওকে পাশে পেলে আরও ভাল হত।” হয়তো কাকতালীয়। কিন্তু এ দিন ওডাফা-টোলগেরা যখন অনুশীলন সেরে বেরোচ্ছেন তখনই যুবভারতীতে প্র্যাক্টিস করতে ঢোকে মর্গ্যান ব্রিগেড।
ওডাফা সোমবার রাতে দিল্লি থেকে ফিরে মঙ্গলবারই অনুশীলনে চলে আসেন। মনে হল, একেবারেই চাপমুক্ত। বললেন, “ঈশ্বরের প্রতি আমার আস্থা ছিল!” পরের দু’টো ম্যাচে নিজে না খেললেও দলের অবনমন নিয়ে প্রচণ্ড চিন্তিত বাগান অধিনায়ক ওডাফা। এক বার বললেন, “সত্যি কি আমি সে দিন এত বড় দোষ করেছিলাম?” |
সই করে বেরোচ্ছেন চিডিদের নতুন সহযোদ্ধা বরিসিচ। |
পরক্ষণেই আবার পুরনো প্রসঙ্গ ভুলে বলতে শুরু করলেন, “এখন ভাল খেলে দলকে অবনমনের হাত থেকে বাঁচাতে হবে। এটাই আমাদের সবার একমাত্র লক্ষ্য।” এ দিকে করিমের অনুরোধে ফের ফুটবল বিভাগের দায়িত্বে ফিরলেন অর্থ সচিব দেবাশিস দত্ত।
সিকিম আর ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে টোলগের সঙ্গে কাকে খেলাবেন করিম তার অনেকটাই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে এ দিনের অনুশীলনে। স্ট্যানলি এখনও পুরো সুস্থ নন। টোলগের পাশে স্ট্রাইকারে নবির খেলার সম্ভাবনা বেশি। এ দিন অনুশীলন ম্যাচেও নবিকে ফরোয়ার্ডে খেলালেন মোহন-কোচ। পরে বললেন, “স্ট্যানলির এখনও চোট। ফরোয়ার্ডে নবি খেলতেই পারে।”
|