নিজস্ব সংবাদদাতা • বলাগড় |
বাঁশবেড়িয়ার পরে এ বার বলাগড়ে টাটা ম্যাজিক গাড়ির বিরুদ্ধে সরব হলেন অটোচালকেরা। মঙ্গলবার দুপুর ১টা থেকে অসম লিঙ্ক রোডের জিরাট মোড়ে সার দিয়ে অটো দাঁড় করিয়ে অবরোধ করেন তাঁরা। ঘণ্টাখানেক অবরোধ চলে। পুলিশ ও যুগ্ম বিডিও ঘটনাস্থলে আসেন। তাঁদের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, বলাগড়ে পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায় মোট ৯০টি অটো চলে। গত ১৫ জানুয়ারি থেকে ১৪টি টাটা ম্যাজিক গাড়ি যাত্রী পরিবহণ করা শুরু করে। এর মধ্যে মিলনগড় বাজার থেকে মহিপালপুর পর্যন্ত ৮টি এবং বলাগড়-ইনছুরা রুটে ৬টি গাড়ি চলছে। অটোরিকশার তুলনায় এই গাড়ি বেশি যাত্রিবহন করতে পারে। অটোচালকদের অভিযোগ, আরটিও দফতরের অনুমোদন ছাড়াই স্রেফ পঞ্চায়েত সমিতির সম্মতিতে এবং তাদের স্টিকার সেঁটে বেআইনি ভাবে ওই সমস্ত গাড়ি চলাচল করছে। এতে অটোচালকেরা মার খাচ্ছেন। তাঁদের রোজগারে টান পড়ছে। বলাগড় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং বিভিন্ন পঞ্চায়েতের প্রধানদের উপস্থিতিতে ওই সমস্ত গাড়ি চলাচলের সূচনা হয়। অটোচালকদের পক্ষ থেকে বিষয়টি পঞ্চায়েত সমিতি থেকে শুরু করে বিডিও, জেলাশাসক, আরটিও সব দফতরেই জানানো হয়। কিন্তু সুরাহা হয়নি। বলাগড় অটোরিকশা ইউনিয়নের সম্পাদক দীপঙ্করচন্দ্র বিশ্বাস বলেন, “আমাদের রুটে ওই গাড়িগুলি অবিলম্বে বন্ধ না করা হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।” পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অসীম রায় বলেন, “বেকার কিছু যুবক এই গাড়ি চালাচ্ছে। আমরা মৌখিক অনুমতি দিয়েছি। জটিলতার বিষয়টি আমরাও আরটিও দফতরে জানিয়েছি। প্রশাসন যা সিদ্ধান্ত নেবে, তাই মানা হবে।” জেলার আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক (আরটিও) সৈকত দাস বলেন, “পঞ্চায়েত সমিতি বা অন্য কোনও সংস্থার অনুমোদনে গাড়ি চলাচল আইনবিরুদ্ধ। সব ক্ষেত্রেই আরটিও দফতরের অনুমোদন থাকা জরুরি। ওই গাড়িগুলি যদি বেআইনি ভাবে চলাচল করে, আমাদের দফতর নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবে।” |