|
|
|
|
প্রবন্ধ ১... |
বাস্তববাদী কূটনীতির পথিকৃৎ তিনিই |
জার্মানি-ইতালির রাষ্ট্রচরিত্র নিয়ে সুভাষচন্দ্র মাথা ঘামাননি।
শত্রুর শত্রু আমার মিত্র,
এই কৌটিল্য-মতে আস্থা ছিল তাঁর। নেহরুর ‘আদর্শবাদ’
ছেড়ে ভারত শেষ পর্যন্ত সেই বাস্তববাদী কূটনীতিই বরণ করেনি কি?
সেমন্তী ঘোষ |
বার্লিন শহরের বাড়িটিতে পদ্মাসনে বসে তিনি। সামনে বিছানো একটি আস্ত পৃথিবীর মানচিত্র। একাগ্র মনে কী ভাবছেন ব্রিটিশ ভারত থেকে পলাতক, জার্মানিতে আশ্রয়প্রাপ্ত সুভাষচন্দ্র বসু? কী ভাবছেন বোঝা গেল তাঁর জার্মান ভাষা-শিক্ষক গিয়েসলার ওয়্যার্সিং ঘরে ঢুকতেই। তাঁকে একটিও কথা বলার ফুরসত না দিয়ে একনাগাড়ে বলতে শুরু করলেন সুভাষ কত বড় ভুল করছে জার্মানি। সোভিয়েত ইউনিয়ন আক্রমণ করে কত বড় অন্যায় করছে।
সে দিন ১৭ জুলাই, ১৯৪১। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। রোজ বড় বড় হেডলাইন। তবু মাসখানেক আগে, ২২ জুন যে আকস্মিক খবরটি এল, সবাই নতুন করে চমকে উঠল। সোভিয়েত ইউনিয়নে হঠাৎ হানা দিয়েছে হিটলারের জার্মানি। এতই অপ্রত্যাশিত আক্রমণ, এতই অজ্ঞাত এই ‘অপারেশন বার্বাডোসা’র প্রস্তুতি যে গোটা পৃথিবী বিভ্রান্ত হয়ে পড়ল। প্রবল হতাশা ও বিষাদে ডুবে গেলেন সুভাষচন্দ্র। পালিয়ে আসার পর থেকে যে দুরাশায় নিজেকে ডুবিয়ে দিয়েছিলেন, এক খবরের ঘায়ে সেটা যেন ধসে গেল। পরিকল্পনা ছিল, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বশক্তিগুলির একটি কোয়ালিশন তৈরি, যাতে ব্রিটেনকে সাম্রাজ্য গুটিয়ে ফেলতে চাপ দেওয়া সম্ভব হয়। আর এই পরিকল্পনার প্রধান দুই স্তম্ভ-দেশ হিসেবে তিনি ভাবছিলেন জার্মানি ও সোভিয়েত ইউনিয়নকে।
নাতসি জার্মানি ও কমিউনিস্ট সোভিয়েত ইউনিয়নকে একসঙ্গে পাওয়ার আশা করছিলেন সুভাষ? শুনতে বিদঘুটে নয়? না, ১৯৪১ সালে কিন্তু ব্যাপারটা বিদঘুটে ছিল না। বিশ্বযুদ্ধের দুনিয়ায় কে কার সঙ্গে আঁতাঁত করবে, তার একটা যুক্তি নিশ্চয়ই থাকে, তবে সেগুলো প্রায়শই আদর্শতাড়িত যুক্তি নয়। তাই, ১৯৩৮ সালে যখন স্তালিন হাত মেলালেন হিটলারের সঙ্গে, ভারতে ও অন্যত্র কমিউনিস্টদের হৃদয় বিচূর্ণ হয়ে গেলেও ঘটনাটায় বিস্ময়ের কিছু ছিল না। অনাক্রমণ চুক্তির মধ্যে আন্তরিক সৌহার্দ্যের প্রশ্ন থাকে না বিশেষত যুদ্ধ-পরিস্থিতিতে থাকে শুধু রাষ্ট্রিক স্বার্থের প্রশ্ন। সুভাষচন্দ্রের স্তালিন ও হিটলারকে একসঙ্গে পাশে পাওয়ার আশাকে তাই উচ্চাশা বা দুরাশা বললেও বোকামি বলা চলত না সে দিন। দুই দেশের মধ্যে চুক্তি জাজ্বল্যমান তখনও। অবশ্য সেটা বাইরে থেকেই। কয়েক মাস আগেই যখন পলাতক স্বাধীনতা সংগ্রামীটি ভারত সীমান্ত পার করে আফগানিস্তান হয়ে মস্কোর মধ্য দিয়ে ইউরোপের দিকে আসছিলেন, তখনই কাকপক্ষীর অগোচরে চুক্তি ভেঙে ‘অপারেশন বার্বাডোসা’র পরিকল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। কেউ জানতে পারেনি। তখনই যদি শুরু হত আক্রমণ, সুভাষ হয়তো সোভিয়েতেই আটকে যেতেন, পশ্চিম দিকে আর এগোতেই পারতেন না। |
|
দিশারি। ইন্দিরা গাঁধী, জওহরলাল নেহরু, সুভাষচন্দ্র বসু, ১৯৩৮। |
শেষ পর্যন্ত জুনে যখন আক্রমণ ঘটল, জার্মানিতে পৌঁছে সুভাষ তাঁর ‘কাজ’ শুরু করে দিয়েছেন। জার্মানির বিদেশমন্ত্রী জোয়াকিম ভন রিবেনট্রপ-এর সঙ্গে অনেক আলোচনা হয়েছে তাঁর। রিবেনট্রপ সহানুভূতির সঙ্গে শুনেছেন, কিন্তু পাকা কথা দেননি। এমন সময়ে সোভিয়েত-আক্রমণের খবর পেয়ে দুটো বড় সমস্যায় পড়লেন সুভাষ। প্রথমত, দেশের সঙ্গে তাঁর স্থলপথের সংযোগ বন্ধ হল। দ্বিতীয়ত, মস্কোকে বোঝাবার কোনও পথই খোলা রইল না। (পথ খোলা না থাকলেও আশাটা অবশ্য রয়েই গেল। চার বছর পর, অনেক অবিশ্বাস্য পথ ঘুরে, আবারও এক বার সোভিয়েত ইউনিয়নের সহায়তা পাওয়ার চেষ্টা করবেন তিনি, পুব দিক দিয়ে ঢুকতে চাইবেন সে দেশে, তাইওয়ান থেকে। তাইপে-র মাটি ছেড়ে কি উঠেছিল সোভিয়েত-মুখী বিমান? উঠেই ভেঙে পড়েছিল ১৯৪৫ সালে ১৮ অগস্ট?)
নেতাজি-রচনা ও গবেষণার বিপুলতার মধ্যেও এত দিন অবধি একটা ফাঁক থেকে গিয়েছিল। যে দুই দফায় তিনি ইউরোপে ছিলেন (১৯৩৩-৩৬ এবং ১৯৪১-৪৩), তাঁর কর্মব্যস্ত দিনযাপনের বিষয়ে আমরা বেশি কিছু জানতে পারিনি। সম্প্রতি শূন্যস্থান পূর্ণ হল সুগত বসুর নেতাজি-জীবনী এবং তার পর-পরই প্রকাশিত ইয়ান কুলমান-এর গবেষণায়। জানা গেল জরুরি খুঁটিনাটি, জানা গেল কী ভাবে শিক্ষক ওয়্যার্সিং-এর কাছে বিষোদ্গারের পর মন্ত্রী রিবেনট্রপকেও শাসিয়েছিলেন তিনি: যুদ্ধবাহিনী নিয়ে জার্মানরা যতই ভারতের দিকে এগোবে, ভারতীয় জনসাধারণ ততই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠবে, ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে এগোলেও সেই বাহিনীকে ভারতীয়রা শত্রু বলে মনে করবে কেবল সোভিয়েত-আক্রমণের কারণেই, will be regarded as the approach not of a friend, but of an enemy (সুগত বসু)। জানতে পারি, রোমে বসে ‘অপারেশন বার্বাডোসা’র খবর পেয়ে বার্লিনে ফিরতে ইচ্ছেই ছিল না তাঁর, তবু ফিরতে হল, ফেরার আগে জার্মান আন্ডারসেক্রেটারি অব স্টেট ওরমানকে লিখলেন, The public reaction in my country to the new situation in the East is unfavourable towards your government (ইয়ান কুলমান)।
কুলমান অবশ্য সতর্ক করেছেন, জার্মানি বা ইতালির উপর সুভাষের আলাদা কোনও টান ছিল না, এ কথা যেমন ঠিক, তেমনই এও ঠিক যে মস্কোয় আসার অনেক আগে, ১৯৪০ সালেই, কলকাতায় ইতালির কনসাল জেনারেল-এর সঙ্গে বৈঠক করেন সুভাষ, জানতে চান, ইতালিতে গিয়ে আশ্রয় পেতে পারেন কি না। অর্থাৎ এমন নয় যে মস্কোই তাঁর প্রথম পছন্দ ছিল। এমন পরস্পর-বিসংযুক্ত দেশের সমর্থন কুড়োতে চাইছিলেন যে মানুষটি, নাতসিজম ফ্যাসিজম কমিউনিজম, কোনওটির প্রতিই তাঁর আদর্শগত ‘কমিটমেন্ট’ ছিল না, অন্তত বিদেশনীতির ক্ষেত্রে তার ছাপ পড়তে দিতে তিনি রাজি ছিলেন না।
তা হলে কী ছিল তাঁর চালিকা-নীতি? যা ছিল, সেটাকে আমরা বলতে পারি প্রয়োগবাদিতা, ‘প্র্যাগম্যাটিজম’। আর তাই, বাছবিচার ছাড়াই নাতসি বা ফ্যাসিস্ট দেশগুলির অপকর্মের বিষয়ে চোখ বন্ধ করে নিজের অ্যাজেন্ডা নিয়ে নানা দেশের দ্বারে দ্বারে ঘুরছিলেন তিনি, যেখান থেকে যা পাওয়া যায় নেবেন বলে: সমালোচকের যুক্তি হবে এই। আর সমর্থকের যুক্তি ঘুরে যাবে একশো আশি ডিগ্রি: কেমন খোলা মনে ইউরোপে এসেছিলেন সুভাষ, যেখানে যখন যতখানি সুযোগ মেলে, স্বদেশের স্বাধীনতার স্বার্থে তার সদ্ব্যবহার করবেন বলে।
স্বাধীনতার আগে থেকেই সুভাষচন্দ্র বিষয়ে ভারতীয়দের মত একেবারে আড়াআড়ি ভাগ হয়ে গেল। জাতীয় কংগ্রেস ও কমিউনিস্টদের খুব কম বিষয়ে মতৈক্য, বিশেষত জাতীয়তা-স্বাধীনতার প্রশ্নগুলিতে, কিন্তু এ ক্ষেত্রে তারা সমস্বর: ইনি আস্ত কুইসলিং, তোজোর কুকুর। নরওয়ে-তে ভিদকুন কুইসলিং যেমন অক্ষশক্তির আক্রমণের সুযোগে তাদেরই সহায়তায় দেশের প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন, সুভাষও জার্মান কিংবা জাপানি বাহিনী নিয়ে ব্রিটিশ ভারতের দিকে এগোচ্ছেন নিজে ক্ষমতার শীর্ষে বসবেন বলে: নেতৃমহল থেকে উৎসারিত ছিছিক্কার নিচুমহলের রাজনীতিতেও যথেষ্ট ছড়াল। স্বাধীন ভারতেও সরাসরি বামে দক্ষিণে নেমে এল এই উত্তরাধিকার, বিশেষত বাঙালি সমাজে। এখনও পর্যন্ত শিক্ষিত বুদ্ধিমান বাঙালির পক্ষে নেতাজিকে হেয় না করে কথা বলাটা চূড়ান্ত আনফ্যাশনেব্ল।
উল্টো দিকে অনেকের কাছেই নেতাজি এক নম্বর হিরো, কেননা ‘যে কোনও উপায়ে’ একমাত্র তিনিই ব্রিটিশকে শায়েস্তা করতে পারেন। আজাদ হিন্দ ফৌজ তৈরির সময় গ্রামে-গঞ্জে রেডিয়োয় কান পেতে থাকত বড়রা, আর ছোটদের বইয়ের ভাঁজে, ড্রয়ারের কোণে, এমনকী ফটো-স্ট্যান্ডে সৌম্য রবীন্দ্র-মুখের পিছনে লুকোনো থাকত কাগজ-কাটা নেতাজি-মুখ! আশাময়তার এমন ঘূর্ণিপাক আমরা আজ কল্পনাও করতে পারি না, তবে বুঝতে পারি ‘ক্ষমতার হিসেব’ কিংবা ‘ফ্যাসিবিরোধী রাজনীতির বিচ্যুতি’, এ সব জন-আবেগের মধ্যে মোটেও জায়গা পায়নি। রাজনীতির জগৎ যতই নেতাজি ও তাঁর পথকে ব্রাত্য করে দিল, সাধারণ সমাজ ততই তাঁকে ঘিরে উন্মথিত হয়ে উঠল। এই প্রবল দ্বিখণ্ডিত পরিচিতিতেই নেতাজিকে পেল উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত।
আবেগপ্রাবল্যে অনেক সময় অনেক ভাবনা হারিয়ে যেতে বসে। পর পর এই দুইটি হাতে-গরম বই তেমন কয়েকটা ভাবনা ফিরিয়ে আনে। যেমন, নেতাজির বিদেশি সহায়তা-ভিক্ষার তথ্য থেকে নতুন করে ভাবা যায় তাঁর রাষ্ট্রসম্পর্ক চিন্তার ধরনটা নিয়ে। বাস্তবে যদি সে দিন নেতাজি জাপানি বাহিনী নিয়ে পৌঁছতেন ভারতের মূল ভূখণ্ডে, কী হত? জাপানিরা জিতলে, এ দেশ কি জাপানি উপনিবেশ হয়ে পড়ত? কাগজে-কলমে এ সম্ভাবনা ছিল কম, হিটলার নাকি মনে করতেন, ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য শেষ হলে আর কোনও সাম্রাজ্যই হালে পানি পাবে না। তা ছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় জাপান যে অঞ্চল উপনিবেশ-মুক্ত করেছিল, সেগুলির কোনওটিতেই তারা নিজেরা উপনিবেশ গেড়ে বসেনি। তবে কিনা, ভারতের মতো আকর্ষণীয় জমি বিষয়ে তারা কি উদাসীন থাকতে পারত? সে দিনের প্রেক্ষিতে নেতাজির আশার যাথার্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। কিন্তু আরও একটি গুরুতর প্রশ্ন ওঠে: নেতাজির নৈতিকতা নিয়ে, সুবিধাবাদী রাজনীতির ঘরানা নিয়ে।
এই দ্বিতীয় প্রশ্নটি কিন্তু এ বার ‘অতীত’ হয়ে যাওয়ার সময় এসেছে, একুশ শতকের ভারতে। সি পি আই এম যেমন নেতাজি বিষয়ে তাদের এতকালের অচ্ছুতপনার পাপক্ষালন সেরে ফেলেছে, তেমনই সমগ্র ভারতীয় রাষ্ট্রও একটা ভ্রম-সংশোধন করতে পারে এ বার। এ দেশে ‘রিয়্যালিস্ট’ বা বাস্তববাদী কূটনীতির নতুন ধারা যে ভাবে হৃষ্টপুষ্ট হচ্ছে, নৈতিকতার বোঝা মাথা থেকে নামিয়ে স্বার্থ-নির্দিষ্ট আন্তর্জাতিক সম্পর্কের আদর্শ বিকশিত হচ্ছে, তাতে আর এই সংশয় কি পাঠ্যবইয়েও উঁকি দিতে পারে যে, নেতাজি ভ্রষ্ট পথে বিচরণ করছিলেন? স্বাধীন ভারতে এই পথের নিশানা প্রথম এসেছিল ১৯৬২ সালের ভারত-চিন যুদ্ধের পর। নেহরুর অত্যধিক আদর্শতাড়িত বিদেশনীতিই দেশকে বিপদের সামনে ছুঁড়ে ফেলেছিল, এই আত্মধিক্কার থেকে। অর্ধশতক পর সেই নীতি আজ প্রত্যয়ী পূর্ণকলায় বিকশিত। যে যুক্তিতে আজ নয়াদিল্লি মায়ানমারে সামরিক শাসনের অত্যাচার অবজ্ঞা করে জুণ্টা সরকারের সঙ্গে মিত্রভাব বজায় রাখে, যে যুক্তিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের লেকচার অগ্রাহ্য করে ইরানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক মিত্রতায় টোল পড়তে দেয় না, যে যুক্তিতে সিরিয়ার একনায়ক গোটা জাতিকে মেরে-পিটিয়ে জাহান্নমে পাঠিয়ে দিলেও ইউরোপ-আমেরিকার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পাল্টা-মারে নামতে অস্বীকার করে— সুভাষচন্দ্র তো সেই যুক্তিই দিয়েছিলেন। জার্মানি বা ইতালির অভ্যন্তরীণ ঘটনাবলি বিষয়ে তিনি সহানুভূতি-পরায়ণ তো ছিলেনই না, তা নিয়ে তাঁর বিশেষ হেলদোলও ছিল না। কেবল পরাধীন ভারতের স্বার্থের প্রিজম্ দিয়ে তিনি দেখছিলেন সম্পর্কগুলিকে: শত্রুর শত্রু আমার মিত্র, এই কৌটিল্য-মতে আস্থা রাখছিলেন। ব্রিটেন আমেরিকা সোভিয়েত ইউনিয়ন সকলেই রেখেছিল বিশ শতকের কোনও না কোনও পর্বে!
স্বার্থচালিত পথই কি কূটনীতির সেরা পথ? তর্ক উঠুক। কিন্তু নেতাজির স্বার্থ-যুক্তির বিরুদ্ধে যে নৈতিকতার যুক্তি, তা দিতে পারত নেহরুর ভারত, নেহরু-উত্তর ভারতের আর সেই অধিকার নেই। বরং স্বীকার করা হোক, দেশের জাতীয় সংগীত কিংবা জাতীয় প্রতীক যেমন নেতাজির ভাবনা থেকেই আহরিত হয়েছে, আমাদের বর্তমান কূটনীতিও তাঁরই পরোক্ষ দান!
|
ঋণ: ইয়ান কুলমান, নেতাজি ইন ইউরোপ, রেনলাইট/রূপা, ২০১২। সুগত বসু, হিজ ম্যাজেস্টি’জ অপোনেন্ট, অ্যালেন লেন/পেঙ্গুইন, ২০১১। |
|
|
|
|
|