|
|
|
|
বিধিভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত মানিক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের বিরুদ্ধে ‘নির্বাচনী আচরণবিধি’ লঙ্ঘনের অভিযোগ আনল বিরোধী কংগ্রেস। সম্প্রতি বামফ্রন্টের নির্বাচনী জনসভায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের বিভিন্ন বক্তব্য প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেসের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একই সঙ্গে মিথ্যাচার এবং উস্কানিমূলক বক্তৃতা দেওয়ার অভিযোগ দিল্লিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনের (সিইসি) কাছে জানানো হয়েছে। কংগ্রেস মুখপাত্র অশোক সিন্হার অভিযোগ, ‘‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ১৯৮৮-তে রাজীব গাঁধী, মিজোরামের লালথানওয়ালা এবং আইএনপিটির বিজয় রাংখল যড়যন্ত্র করে ত্রিপুরায় উগ্রপন্থী তাণ্ডব চালিয়েছিলেন। সাধারণ মানুষকে খুন করেছেন।’’ তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর এই ‘ভিত্তিহীন’ অভিযোগ ‘নির্বাচনী আচরণ বিধি’-কে লঙ্ঘন করেছে।
মানিকবাবু তাঁর ভাষণে বলেন, ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৩ সালে, কংগ্রেস-উপজাতি সমিতির জোট সরকারের আমলে রাজ্যে ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট’ হয়েছিল। রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ত্রিপুরা সরকার কোনও ইতিবাচক ভূমিকা নেয়নি। বরং, বিরোধী দলের তরফে সিপিএম কর্মীরাই রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য উদ্যোগী হয়। কংগ্রেস মুখ্যপাত্র বলেন, “এ ধরনের ‘ভিত্তিহীন ঘটনা’ জনসভায় প্রচার করে মুখ্যমন্ত্রী ‘উস্কানিমূলক’ মন্তব্য করছেন, যা ‘নির্বাচনী আচরণবিধির’ পরিপন্থী।” উল্লেখ্য, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন এ ছাড়াও, কয়েক দিন আগে মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী কেন্দ্র, ধনপুরে স্থানীয় এক সরকারি অফিস থেকে গ্রামের মানুষ তথা এলাকার ‘বেনিফিসিয়ারি’-দের মধ্যে সরকারি প্রকল্পের জন্য ‘চেক’ বিলি করা হচ্ছিল। কংগ্রেস সমর্থকরা এই ঘটনায় তীব্র আপত্তি জানান। সরকারি ‘চেক’ বিলি বন্ধও হয়ে যায় বলে জানান রাজ্যের নির্বাচন দফতরের এক আধিকারিক। ধনপুরের এই ‘ঘটনা’ দিল্লিতে সিইসি-র গোচরে আনা হয়েছে বলে অশোকবাবু জানান। তাঁর দাবি, কয়েকটি ‘চেক’ বিলি করা হয়েছে। এ দিকে, রাজ্যের নির্বাচন দফতরের মিডিয়া অফিসার চন্দন সরকার জানান, ‘‘এখনও পর্যন্ত নির্বাচনী আচরণ বিধি সংক্রান্ত কোনও অভিযোগের কথা দিল্লি থেকে তাঁদের জানানো হয়নি। এ বিষয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশন রাজ্যের নির্বাচন দফতরকে কোনও নির্দেশও এখনও পাঠায়নি।’’ |
|
|
|
|
|