টুকরো খবর
ধর্ষণের চেষ্টায় জওয়ানের ৩ মাসের জেলে অসন্তোষ
কিশোরীর শ্লীলতাহানি করার দায়ে এক জওয়ানকে তিন মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করল সেনা আদালত। কিন্তু এমন অপরাধে এত কম সাজায় ক্ষুব্ধ অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনির কাছে অভিযোগ জানাতে চলেছেন তিনি। গত ১৩ জুলাই শিবসাগরের ডোলোপার জঙ্গলে কাঠ কাটতে যাওয়া এক কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিলেন অনিলকুমার উপাধ্যায় নামে ওই ল্যান্স নায়েক। মেয়েটির চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা হাতে নাতে উপাধ্যায়কে ধরে ফেলে। তাকে মারধরও করা হয়। পরে সেনাবাহিনী গিয়ে উপাধ্যায়কে উদ্ধার করে নিতাইপুখুরি শিবিরে নিয়ে আসে। জাতীয় এবং রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা মেয়েটির জবানবন্দি নেন। পরে সেনাবাহিনী মেয়েটিকেও শিবিরে নিয়ে যায়। গ্রামবাসীরা অভিযোগ তোলেন, শিবিরে মেয়েটির উপরে বক্তব্য বদলাবার জন্য জোর করা হয়েছিল। ফের প্রতিবাদ শুরু হয়। অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি ওঠে। কিন্তু সেনাবাহিনী, সেনা আদালতেই উপাধ্যায়ের বিচার চালায়। শিবসাগরের জেলাশাসক জে এন লহকর জানান, সেনা আদালত উপাধ্যায়কে তিন মাস সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি তার পদাবনতির আদেশও দিয়েছে। ফলে তার চাকরির মেয়াদ ছ’বছর কমল। এই শাস্তিতে মোটেই সন্তুষ্ট নয় মেয়েটি ও তাঁর পরিবার। তরুণ গগৈও প্রশ্ন তোলেন, গোটা দেশ যখন এই ধরণের অপরাধে কড়া শাস্তি চাইছে, তখন রক্ষক হয়েও ধর্ষকের ভূমিকা নেওয়া জওয়ান মাত্র তিন মাসের কারাদণ্ডে পার পেয়ে যান কী ভাবে? তিনি বিবৃতি পাঠিয়ে জানান, এ নিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কাছে তিনি প্রতিবাদ জানাবেন।

ঝাড়খণ্ডে ব্লক অফিসে তালা বিজেপির
জামশেদপুরের ব্লক অফিসে চলছে আন্দোলন। ছবি: পার্থ চক্রবর্তী।
রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির বিরোধিতা করে আজ ঝাড়খণ্ডের ২৩০টি ব্লক অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিলেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা ভেঙে দিয়ে ভোটের দাবি জানিয়েছিলেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। কিন্তু তা করার পরিবর্তে রাজ্যপালের সুপারিশ ক্রমে বিধানসভা জিইয়ে রেখে আপাতত রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। লক্ষ্য, এখনই রাজ্যকে ভোটের দিকে না ঠেলে দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলিকে সরকার গড়ার সুযোগ দেওয়া। এরই বিরোধিতায় বিজেপি আজ তালাবন্দি আন্দোলন হাতে নেয়। বিভিন্ন ব্লকের সরকারি অফিসে আজ প্রতীকী তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার পরে সরকারি কাজকর্ম বন্ধ করে দেন বিজেপি কর্মীরা। এই আন্দোলনের জেরে বিভিন্ন ব্লক থেকে প্রায় চার হাজার বিজেপি কর্মী গ্রেফতার বরণ করেন বলে জানান রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র প্রদীপ সিংহ। বিজেপি নেতারা জানিয়েছেন, ব্লকগুলিতে এই ভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে একেবারে সাধারণ মানুষের কাছে তাঁরা নিজেদের বক্তব্য পৌঁছে দেবেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দীনেশানন্দ গোস্বামী বলেন, “রাষ্ট্রপতি শাসনের বিরোধিতা করে আমরা এ ভাবেই একের পর এক আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাব। এই রাজ্যে নির্বাচন করানোর জন্য আমরা রাজ্যপালকে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করতে বাধ্য করব।”

উত্তর-পূর্বের মাওবাদী নেতা ধৃত অন্ধ্রপ্রদেশে
উত্তর-পূর্বে মাও ঘাঁটি সম্প্রসারণের ভারপ্রাপ্ত মাও নেতা আনন্দ বক্সি সম্প্রতি বিশাখাপত্তনমে গ্রেফতার হয়েছে। মাওবাহিনীর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আনন্দকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অসমে আনা হতে পারে বলে জানিয়েছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেটিং এজেন্সি (এনআইএ)। অসম তথা উত্তর-পূর্বে মাও ও মণিপুরি জঙ্গিগোষ্ঠী পিএলএ-র যোগাযোগ নিয়ে এনআইএ তদন্ত করছে। এনআইএ সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গের আনন্দ বক্সি, পিএলএ ও মাওবাদীদের মধ্যে যোগাযোগের অন্যতম পাণ্ডা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা ও পুলিশ ইতিমধ্যেই ধরেছে পিএলএ নেতা, এন দিলীপ সিংহ, সেনজাম ধীরেন সিংহ, আর্নল্ড সিংহ, ইবোতোম্বি এবং মাওবাদী নেতা পল্লব বরবরা, ইন্দ্রনীল চন্দকে। সম্প্রতি ধরা পড়ে আনন্দও। ইন্দ্রনীলকে গত এপ্রিলে কলকাতা থেকে ধরা হয়। পল্লব, বাংলার মাওবাদীদের সঙ্গে অসমের সংগঠন ও ডিমাপুরের অস্ত্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। ইন্দ্রনীল ছিল মাওবাদী ও পিএলএ-র মধ্যে সেতু। ধীরেন, আর্নল্ডরা মূলত অস্ত্র সরবরাহ ও ভিন রাজ্যে মাওবাদীদের অস্ত্র ও বিস্ফোরক প্রশিক্ষণের বিষয়গুলি দেখত। মাও-পিএলএ যোগসাজশের বিষয়ে আরও জানতে ইতিমধ্যেই গুগ্ল কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠিয়েছে এনআইএ। এনআইএ সূত্রে খবর, ইন্দ্রনীলের পাশাপাশি, আনন্দও বহুবার অসমে এসেছে। পল্লব ধরা পড়ার পরে, অসমে মাওবাদী ঘাঁটি বিস্তারের ভার তার উপরেই ছিল।

কুকিরা ফের আন্দোলনে
কেন্দ্রের ‘বিশ্বাসঘাতকতা’-র প্রতিবাদে প্রজাতন্ত্র দিবস বয়কটের পাশাপাশি ২৪ জানুয়ারি থেকে ‘কুকিল্যান্ড ছাড়ো’ আন্দোলন শুরু করছে পৃথক কুকিরাজ্য দাবি কমিটি। পৃথক কুকিরাজ্যের দাবিতে গত বছর থেকে আন্দোলন চলছে মণিপুরে। তৈরি হয়েছে স্বতন্ত্র কুকি রাজ্যের মানচিত্রও। আসিয়ান কার র্যালি রাজ্যে ঢুকতে না দেওয়ার হুমকিও দেয় কুকিরা। উপায় না দেখে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক লিখিতভাবে তাদের দাবি নিয়ে আলোচনার প্রতিশ্রুতি দেয়। কুকি জঙ্গি সংগঠনগুলির যৌথমঞ্চের সঙ্গে আলোচনারও অঙ্গীকার করা হয়েছিল। এরপর অবরোধ ওঠে। কার র্যালিও ভালয় ভালয় মিটে যায়। কিন্তু অঙ্গীকারের পরে এক মাস কেটে গেলেও আলোচনা শুরু হয়নি। তাই দাবি কমিটি ঘোষণা করেছে, ২৪ জানুয়ারি থেকে সব অ-কুকিকে কুকি অধ্যূষিত জেলাগুলি থেকে বের করে দেওয়া হবে। কুকিভূমিতে উড়বে না ভারতের পতাকা। কোনও সরকারি অনুষ্ঠানও হতে দেবে না তারা। প্রজাতন্ত্র দিবস বয়কটের সঙ্গে চলবে অর্থনৈতিক অবরোধও। দাবি কমিটির দাবি, কুকি রাজ্য প্রয়োজন কি না, তা নিয়ে আম কুকি জনতার ভোট নেওয়া হোক। কুকিরা গত কাল এক সমাবেশ করেন। কুকি জঙ্গিদের যৌথমঞ্চের সভাপতি পি এস হাওকিপও সভায় ছিলেন।

চার মণিপুরি জঙ্গি নিহত
যৌথবাহিনীর গুলিতে চার জঙ্গির মৃত্যু হল। মণিপুরের চূড়াচাঁদপুর জেলার এই ঘটনা সম্পর্কে পুলিশ জানিয়েছে, ইউএনএলএফ ও পিএলএ জঙ্গিদের একটি দল প্রজাতন্ত্র দিবসে বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা করে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও আসাম রাইফেল্স চূড়চাঁদপুরে অভিযান চালায়। গত কাল রাত ৩টে নাগাদ দুই পক্ষে গুলির লড়াই শুরু হয়। জওয়ানদের গুলিতে চার জঙ্গি মারা গিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় দু’টি একে সিরিজের রাইফেল, দু’টি পিস্তল, কার্তুজ ও বিস্ফোরক।

থানা আক্রমণ আলফার
ভীর রাতে থানায় হামলা চালাল পরেশপন্থী আলফা জঙ্গিরা। চালালো গুলি। ঘটানো হল বিস্ফোরণ। ঘটনাটি ঘটেছে শিবসাগরের নামতলায়। পুলিশ জানায়, গত কাল রাতে নামতলা থানার সামনে একটি আইইডি বিস্ফোরণ হয়। তাতে থানার সামনে রাখা কয়েকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শব্দ পেয়ে পুলিশকর্মীরা বাইরে আসতেই অন্ধকারে গা-ঢাকা দেওয়া জঙ্গিরা গুলি চালাতে থাকে। জখম হন এক কনস্টেবল। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। তবে কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। আজ সকালে এক বিবৃতি পাঠিয়ে পরেশপন্থী আলফার তরফে অরণ্য অসম ঘটনার দায় স্বীকার করেন। তিনি জানান, তিনসুকিয়ায় নিরীহ যুবককে হত্যার প্রতিবাদ এবং ভারতের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিবাদী কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবেই থানায় এই আক্রমণ চালানো হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রজতন্ত্র দিবস বয়কট করবে আলফা।

হরিয়ানায় এনসিপি-তে ভাঙন ধরাল তৃণমূল
হরিয়ানায় বড়সড় ধাক্কা খেল এনসিপি। মঙ্গলবার এনসিপি-র অস্থায়ী সভাপতি দীনেশ জোশী তৃণমূলে যোগ দিলেন। তাঁর সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন দলের বহু সদস্য ও পদাধিকারীও। তৃণমূলে দীনেশ জোশীকে স্বাগত জানান দলের রাজ্যসভার সাংসদ কে ডি সিংহ। সাংসদের দাবি, হরিয়ানায় তৃণমূল খুব দ্রুত সংগঠন বিস্তার করছে। রাজ্যের কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূলকেই মানুষ যোগ্য বিকল্প হিসেবে দেখছেন। এ দিন দীনেশ জোশীর সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দিলেন রাজ্যের জনা পনেরো নেতা।

এফডিআই নিয়ে প্রশ্ন কোর্টের
খুচরো ব্যবসায় প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নি অনুমোদনের পরে ছোট ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা নিয়ে আগেই প্রশ্নের মুখে পড়েছিল কেন্দ্র। এ বার এই বিষয়ে কেন্দ্রের মনোভাব জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট। এফডিআই নীতির বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়। মঙ্গলবার তারই শুনানির সময়ে নানা প্রশ্ন তুলেছে কোর্ট। এফডিআই নীতি ঘোষণার পরে আদৌ কোনও বিনিয়োগ এসেছে কি না তা জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত। বেঞ্চের প্রশ্ন, পুরো বিষয়টিই রাজনৈতিক ধাপ্পাবাজি কি না। যদি বড় সংস্থাগুলি ব্যবসার ন্যায়সঙ্গত পথে না হাঁটে তবে ছোট ব্যবসায়ীদের স্বার্থরক্ষা হবে কী ভাবে। অ্যাটর্নি-জেনারেল জি ই বাহনবতী জবাবে বলেন, এফডিআই নীতি রাজনৈতিক ধাপ্পা নয়, সংস্কারের অঙ্গ।

আদিবাসীদের সমস্যা শুনব
মাওবাদীরা আদিবাসীদের যে সব সমস্যার কথা বলছে সেগুলি অগ্রাহ্য করার উপায় নেই। বরং সেগুলিকে নিয়ে সচেতন হওয়া উচিত। মঙ্গলবার এই মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী জয়রাম রমেশ। তাঁর বক্তব্য, সব দিক থেকেই পিছিয়ে আছেন আদিবাসীরা। দলিত বা মুসলিমদের মতো তাঁদের সমস্যা নিয়ে কোনও রাজনৈতিক দল বেশি কথাও বলে না। মাওবাদীরা আন্দোলন না করলে আদিবাসীদের সমস্যা নিয়ে কেউ সচেতন হতেন না।

বাধা পেরিয়ে
বাবা অটোচালক। কিন্তু জীবনের সব বাধা পেরিয়ে মেয়ে প্রেমা জয়কুমার সর্বভারতীয় চ্যাটার্ড অ্যাকাউন্টেসি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। গত নভেম্বরে পরীক্ষা হয়েছিল। সোমবার পরীক্ষার ফল ঘোষণা হয়। ৮০০ নম্বরের পরীক্ষায় প্রেমা পেয়েছে ৬০৭।

মেয়েদের রামপুরি
প্রয়াত বালাসাহেব ঠাকরের জন্মদিনেই শিবসেনার প্রায় তিন হাজার মহিলা সমর্থককে রামপুরি ছুরি বিলি করবেন দলের নেতারা। শিবসেনা নেতা অজয় চৌধুরি বলেন, “বাল ঠাকরে বলতেন সুরক্ষার জন্য মহিলাদের ব্যাগে লিপস্টিকের বদলে রামপুরি ছুরি রাখা উচিত।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.