|
|
|
|
মমতার অপেক্ষায় বসে থেকে মেঘালয়ের বিক্ষুব্ধরা সপা-য় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
দিদির উপরে আর ভরসা নেই। তাই মুলায়মেই আস্থা মেঘালয়ের বিক্ষুব্ধ কংগ্রেসী নেতা-মন্ত্রীদের। মমতার দলের অপেক্ষায় বসে থেকেও সাড়া না পেয়ে, মুলায়মের দলে যোগ দিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন মন্ত্রী অগাস্টিন ডি মারাক, প্রবীণ কে রাসওয়াইরা। ত্রিপুরার মতোই মেঘালয়েও সম্ভবত ভোটযুদ্ধে নামছে না তৃণমূল।
গত বছর মণিপুর ভোটে লড়েই ৭টি আসন পেয়েছে তৃণমূল। এর আগে অরুণাচলে মিলেছিল ৬টি আসন। তুলনায় মন্দ ফল অসমে। ২০১১-এর ভোটে ১০১টি আসনে লড়ে একটি মাত্র আসনে জিতেছে তারা। এ বার ছিল ত্রিপুরা-মেঘালয়ের পালা। এর আগে ২০০৪-এর লোকসভা ভোটে তুরায় জিতেছিল তৃণমূল। অবশ্য প্রার্থী ছিলেন সেই পূর্ণ সাংমা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। মণিপুরে খোদ ভোট-প্রচারে এসে দাপিয়ে গিয়েছেন। তাই মহিলা প্রধান সমাজের মেঘালয়ে দলবদলে আগ্রহী বেশ কিছু নেতা-নেত্রীর ভরসা ছিলেন দিদি।
গত নভেম্বরে তৃণমূল নেতা মুকুল রায়, যুব তৃণমূল নেতা সৌরভ চক্রবর্তী ও অসমের তৃণমূল সভাপতি দীপেন পাঠক শিলং-এ এসে বিভিন্ন দলের ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতা-বিধায়ক-মন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। মুকুল তখন বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম সুপরিচিত। তাই জনমত পেতে সমস্যা হবে না। মণিপুরে ‘বিক্ষুব্ধ’ কংগ্রেসিদের দৌলতেই তৃণমূল ভাল ফল করে। প্রদেশ কংগ্রেস প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার পরে মেঘালয়েও বাড়তে থাকে ‘বিক্ষুব্ধ’-র সংখ্যা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সেই সুযোগ নিতে কোনও আগ্রহই দেখালেন না মমতা।
তৃণমূল নেতারা আসাবেন ডি শিরাকে দলের আহ্বায়ক করে সেই যে কলকাতায় ফিরে গেলেন, আর এ মুখো হননি। এ দিকে, শিরা, সারমিনা ডি মারাক, তিলক দাশগুপ্ত, ওয়ানসুয়া নোংটডু, আব্রাহাম সাংমারা দিদির নামে অফিস খুলে হাজারো জিজ্ঞাসার জবাব দিতে দিতে জেরবার। বছরের প্রথম থেকে শিরা কলকাতায় ঘাঁটি গেড়ে ছিলেন। কিন্তু তৃণমূলের কোনও বড় নেতাই মেঘালয়ের প্রতি আগ্রহ দেখাননি। শনিবার তিলকবাবুরা তৃণমূল ছেড়ে সপা-য় যোগ দিয়েছেন। দিল্লিতে মুলায়মের সঙ্গে বৈঠক সেরে অগাস্টিন বলেন, “শাসক দলের প্রতি ক্ষোভ থাকা নেতারা ঠিক করেছি নির্দল হিসাবে লড়ার চেয়ে সমাজবাদী পার্টির পতাকায় যৌথভাবে লড়াই করাই ভাল। ইতিমধ্যে আমরা ১৩ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছি। ১১টি জেলাতেই আমরা লড়তে চাই।” |
|
|
|
|
|