বধূর মৃত্যু, স্বামীর ৭ বছর জেল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনে এক বধূর আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনায় স্বামীকে দোষী সাব্যস্ত করে সাত বছরের কারদণ্ডের নির্দেশ দিল রামপুরহাট আদালত। মঙ্গলবার রামপুরহাট আদালতের ফাস্ট ট্রাক অতিরিক্ত আদালতের জেলা ও দায়রা বিচারক কুমকুম সিংহ ওই সাজা শোনান। সরকারি আইনজীবী নজফুল হক বলেন, “২০১০ সালের ১৩ ডিসেম্বরের ওই ঘটনায় বধূ নির্যাতন ও পণ আদায়ের জন্য যথাক্রমে সাধন মণ্ডলকে বিচারক যথাক্রমে ৩ ও ৭ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। দু’টি সাজাই একইসঙ্গে চলবে।” উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে অভিযুক্ত শ্বশুর বীরেন্দ্রনাথ মণ্ডল ও শাশুড়ি শোভারানি মণ্ডলকে আদালত বেকসুর খালাস করেছে।”
মাড়গ্রাম থানার সরলপুর গ্রামের সাবিত্রী বিশ্বাসের (২৩) সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম থানার পোড়াপাড়ার সাধন মণ্ডলের। সাবিত্রীদেবীর পরিবারের অভিযোগ ছিল, বিয়ের পর থেকেই অতিরিক্ত পণের দাবিতে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেয়ের উপর চাপ দিচ্ছিলেন। সাবিত্রীদেবীর বাবা বিপদতারণ বিশ্বাসের অভিযোগ, “পণের জন্য জামাই সাধন মণ্ডল, শ্বশুর বীরেন্দ্রনাথ মণ্ডল ও শাশুড়ি শোভারানি মণ্ডল মেয়ের উফর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাতেন।” নজফুলবাবু বলেন, “২০১০ সালের ১০ ডিসেম্বর শ্বশুরবাড়ির লোকজন আট মাসের শিশু-সহ সাবিত্রীদেবীকে চুলের মুঠি ধরে ঘর থেকে বের করে দেয়। তিনি তার পর সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে আসেন।” কিন্তু সাধনবাবু তাঁর স্ত্রীকে আর ফিরিয়ে নিয়ে যাননি। সেই অপমানেই ১৩ ডিসেম্বর সাবিত্রীদেবী কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ। পরে শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে মেয়েকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন বিপদতারণবাবু। এ দিনই সেই মামলার সাজা ঘোষণা হল রামপুরহাট আদালতের ফাস্ট ট্রাক কোর্টে। |