তুহিন সামন্ত-হত্যা মামলার বিচার কাটোয়া থেকে বর্ধমানে সরানোর আবেদন খারিজ করল জেলা জজ আদালত। মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত তৎকালীন কাটোয়া থানার ওসি দেবজ্যোতি সাহা এই আবেদন করেন জজ আদালতে। তাঁর দাবি, তাঁর হয়ে মামলা লড়ার আইনজীবী পাচ্ছেন না। আদালতে হাজিরা দিতে গেলে প্রাণ সংশয়ের সম্ভাবনাও রয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
২০১০ সালের শেষ দিকে এই আবেদন করেন দেবজ্যোতিবাবু। দু’বছর ধরে শুনানি চলে। নতুন জেলা জজ আশুতোষ কর গত ১৭ জানুয়ারি দু’পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পরে সোমবার ওই আবেদন খারিজ করেন। এই মামলার সরকারি আইনজীবী তথা জেলা কংগ্রেস সভাপতি আজিজুল হক মণ্ডল জানান, আবেদন খারিজ করে জেলা জজ জানিয়েছেন, কাটোয়া আদালতের কোন আইনজীবীকে অভিযুক্ত তাঁর হয়ে মামলা লড়ার আবেদন জানিয়েছিলেন বা সেই সংশ্লিষ্ট আইনজীবী তা প্রত্যাখ্যান করেছেন, সে কথা তিনি আবেদনে উল্লেখ করেননি। আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে অভিযুক্তের শারীরিক ভাবে নিগৃহীত হওয়ার ঘটনাও বেশ পুরনো। তিনি-সহ মোট ৮ জন অভিযুক্ত আপাতত জামিনে মুক্ত রয়েছেন। তাঁরা স্বচ্ছন্দে কাটোয়া আদালতে হাজিরাও দিচ্ছেন। তাতে তাঁরা বাধা পাচ্ছেন, নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন বা প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, এমন কোনও অভিযোগ কাটোয়া আদালতে বা স্থানীয় থানায় জানিয়েছেন বলেও কোনও নথি দেননি। তাই ভবিষ্যতে এমন ঘটবে এ কথা কল্পনা করে পেশ করা আবেদনের ভিত্তিতে একটি মামলা অন্য আদালতে স্থানান্তরের নির্দেশ দেওয়া যায় না।
আজিজুল হক মণ্ডলের দাবি, “মামলা বিলম্বিত করতেই দেবজ্যোতিবাবু আবেদন করেন। অপর সাত অভিযুক্ত এর আগে ২০১০-এর ২২ সেপ্টেম্বর জেলা জজ আদালতে একই রকম আবেদন করেছিলেন। সেটির মতো এই আবেদনও খারিজ করে আদালত বোঝাল, মামলাটির দ্রুত নিষ্পত্তি প্রয়োজন।” |