উৎসবের মধ্যে দিয়েই উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে বর্ধমান পুরসভা। এ বারের ১৪তম বর্ধমান উৎসবের থিমও ‘এই সময়, এই শহর’। তাই শহরের পানীয় জলের প্রকল্প, খেলার মাঠ উন্নয়ন বা সাংস্কৃতিক জগতের নানা হাল-হকিকত- সবই শোনাচ্ছে উৎসবের প্যাভেলিয়ন। এর সঙ্গেই পুরসভার উদ্যোগে যে ঐতিহাসিক স্থাপত্যগুলির সংস্কার করা হয়েছে, তাদের ছবিও দেওয়া হয়েছে।
এ দিন প্যাভেলিয়নে দেওয়া বিবরণে দাবি করা হয়, রাস্তা সংস্কার থেকে, পানীয় জল সরবরাহ সবেই উন্নতি করেছে পুরসভা। ১৯৮৮ সালে যেখানে বর্ধমান শহরে মাত্র ১২টি গভীর নলকূপ ছিল, সেখানে এই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪টিতে। গড়ে প্রতিদিন ৭২ লক্ষ গ্যালন জল সরবরাহ করে হচ্ছে শহর জুড়ে। অধিকাংশ রাস্তার দশাও চলাচলযোগ্য।
সংস্কার করা হয়েছে শহরের কয়েকটি খেলার মাঠও।
এছাড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে ৭০ ও জেলা বাস্কেট ও ভলিবল সংস্থাকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথাও জানিয়েছে এই প্যাভেলিয়ন। প্রতিবছর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধমিকে স্থানীয় কৃতিদের প্রায় ৫০ জনকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয় বলেও জানানো হয়েছে। এছাড়া নিয়মিত দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীদের আর্থিক সাহায্য করা হয় বলেও দাবি করা হয়েছে। সবুজায়ন ঘটিয়ে বর্ধমান টাউনহল সংস্কার করেছে পুরসভা। সংস্কার করা হয়েছে ঐতিহাসিক বারোদুয়ারি, শাহী জুমা মসজিদ, ময়ূরমহল গেট, বিজয়তোরণ, সর্বমঙ্গলা মন্দির, জোড়বাংলা মন্দিরেরও। তবে এই কাজে আরও অর্থের প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বর্ধমানের পুরপ্রধান আইনুল হক। তাঁর কথায়, “আমরা রাজ্য সরকারের কাছে সংস্কার বাবদ আরও অর্থ প্রত্যশা করি। যা এখনও সে ভাবে মেলেনি। তাই পুরসভাকে নিজেদের সাধ্যমতই স্থানীয় ইতিহাস রক্ষায় এগোতে হয়েছে।” |