পাঁচটি সরকারি এজেন্সিকে মাঠে নামিয়ে ধান কিনছে রাজ্য সরকার। কিন্তু চাষিরা কি আদৌ সরকারি
শিবিরে ন্যয্য মূল্যে বিক্রি করতে পারছেন ধান? না কি খোলাবাজারে অভাবী বিক্রিই ভবিতব্য? |
আনসারি কেরি
বড় চাষি
গ্রাম কদমপুকুর, থানা কাটোয়া উৎপন্ন ধান ৬০ কুইন্টাল। খুব কাছেই চালকল রয়েছে। কোনও সমবায় বা শিবির থেকে ধান কেনার খবর এখনও নেই। চালকলে ধান দিতে গেলে বড় হয়রানি। এ বার স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছেই ধান বেচব।
|
|
আব্দুর রহমান
প্রান্তিক চাষি
গ্রাম দুরমুট, থানা মঙ্গলকোট
উৎপন্ন ধান ৬ কুইন্টাল। চালকল কাছেই আছে, তবে শিবিরের কথা জানি না। হাতেহাতে চেক পাওয়া যাচ্ছে না বলে মঙ্গলকোট বিডিও দফতর থেকে ধান বিক্রি করার তারিখ পেলেও বিক্রি করব না। |
|
সাক্ষীগোপাল মণ্ডল
সমবায় কর্তা
রেঞ্জ ২ কনসিউমার কোঅপারেটিভ সোসাইটি এই সমবায়ের সদস্য সংখ্যা ২০০-র কিছুটা বেশি। এ বছর ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা এখনও স্থির হয়নি। ধান কেনার শিবির শুরু হয়েছে, তবে সেখানে চাষিদের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য নয়।
|
|
অমর কুণ্ডু
চালকলের মালিক
কান্দরা, থানা কেতুগ্রাম
৫ হাজার কুইন্টাল ধান ও ১০ হাজার কুইন্টাল চাল মজুত করার ক্ষমতা রয়েছে। এখনও ১৮ হাজার কুইন্টাল চাল কেনা হয়েছে। ১ লক্ষ কুইন্টাল ধান কেনা হবে। তবে চাষিদের চেক দিতে ২-৩ দিন সময় লাগছে।
|
|
ধান বিক্রির বিষয়টি সরাসরি প্রশাসনের কর্তারা দেখছেন। তাঁরাই কবে
শিবির হবে
তা ঠিক করছেন। আমরা শুধু সাহায্য করছি। ফলে পুরো
বিষয়টাই ব্লক কর্তারা ভাল ভাবে
বলতে পারবেন।
অসীমকুমার নন্দী, খাদ্য নিয়ামক
কাটোয়া মহকুমা |
|