হু ল্লো ড়
বিপাশা অনেক পরিণত
সানি লিওনের ‘জিসম ২’ প্রযোজনা করার পর আবার কোথায় হারিয়ে গেলেন?
কোথাও না। আমি এখানেই আছি। বিভিন্ন কাজ নিয়ে ব্যস্ত।

‘জিসম ৩’র প্রযোজনা করছেন?
না।

এত হিট ছবির পরেও এমনটা কেন?
এরকম কোনও নিয়ম নেই যে, ‘জিসম ২’-এর সিক্যুয়েলে আমাকে প্রযোজক হতেই হবে। পূজা ভট্ট ‘জিসম’ যার সঙ্গে বানিয়েছিল, ‘জিসম ২’ তার সঙ্গে বানায়নি। এইটুকু স্বাধীনতা তো পূজার থাকতেই পারে, যে ও ‘জিসম ৩’ অন্য কারও সঙ্গে বানাবে।

ইচ্ছা করেনি ‘জিসম ২’তে অভিনয় করতে?
ইচ্ছে ছিল অরুণোদয় সিংহের চরিত্রটা করতে। পূজা সেটা জানত।
কী হল তা হলে?
সব ইচ্ছে সত্যি হয় কি? তবে ‘জিসম ২’ প্রযোজনা করে এখন আমি আরও বেশি পরিণত।


২০১৩-র ক্যালেন্ডার কী বলছে?
তিনটে স্ক্রিপ্ট রয়েছে। তার মধ্যে দু’টোর প্রযোজনার কাজ শুরু করব এ বছর। একটা হরর, একটা রোমান্টিক কমেডি। আর একটা থ্রিলার। সমসাময়িক একটা ঘটনা নির্ভর থ্রিলার বানাচ্ছি।

এটা কি দিল্লি রেপ কেস নিয়ে?
বিষয়টা বলব না। কারণ আপনি লিখলেই আইডিয়াটা চুরি হতে পারে। সেই রিস্ক কেন নেব?

ডিনো মোরিয়াকে কি এখন মনে করিয়ে দিতে হয় যে তিনি এককালে অভিনেতা হতে এসেছিলেন?
(হাসি) আরে না। অভিনয় আমার প্রথম প্রেম। শেষ অভিনয় করেছি ‘অ্যাসিড ফ্যাক্টরি’তে। বেশ অনেক দিন হয়ে গেছে। এখন দায়িত্ব আরও বেড়ে গেছে চরিত্র পছন্দ করার ক্ষেত্রে। লোকে বলবে এত দিন পর ফিরে এল, তাও আবার এমন একটা রোলে! এমন চরিত্র চাই যা দর্শককে নাড়া দেবে। বেশ কয়েকটি ছবির অফার নিইনি। বুঝেছিলাম যে ওগুলো সেরকম প্রভাব ফেলবে না। আমাকে বলা হয়েছিল অতিথি শিল্পী হিসাবে কাজ করতে। তাও আবার ‘ফেবার’ হিসাবে। আমি ইন্ডাস্ট্রিতে ‘ফেবার’ করতে আসিনি।

সোনি রাজদানের নানাবতী হত্যাকাণ্ড নিয়ে ছবিটার কী হল?
ওটা আমি করছি না। হয়তো ছবিটা হবেও না।

প্রযোজক ডিনো মোরিয়া কি একজন ধুরন্ধর ব্যবসায়ী?
আমি শূন্য থেকে শুরু করেছিলাম। ভাল ব্যবসায়িক বুদ্ধি না থাকলে এত কিছু করতে পারতাম না। সেই কবে মুম্বইতে ‘ক্রেপ স্টেশন’ (একটা খাওয়ার দোকান) দিয়ে শুরু। সেটা এখন ভাল চলছে। ই-কমার্স এরও ব্যবসা রয়েছে। সামনেই একটা ফিটনেস প্রোজেক্ট শুরু করছি। নাম ‘ডিএম ফিটনেস’। মানে ডিনো মোরিয়া ফিটনেস। অনুমতি পেলেই মুম্বইতে শুরু করব।


কলকাতাতে শাখা খুলবেন?
অবশ্যই সেই ইচ্ছে আছে। গোটা ভারতেই ব্রাঞ্চ খুলতে চাই।

কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, বলিউডে অনেক অভিনেতা/মডেলরা স্টেরয়েড নিয়ে শরীর চর্চা করেন...
অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। ফিটনেস আর দেখতে ভাল হওয়া এক নয়। অনেকে ভুল পথে মানুষকে চালনা করে। ফুড সাপ্লিমেন্টস্ পাওয়া যায়। সেগুলো যদি ঠিকঠাক খাওয়া যায়, তাহলে ক্ষতি হয় না। স্টেরয়েড কিন্তু কখনওই ব্যবহার করা উচিত নয়।


চ্যানেল ভি-র ইন্ডিয়া ফেস্ট-এ বেস্ট স্টাড প্রতিযোগিতা জাজ করলেন...
কলেজ পড়ুয়াদের বিচারক হয়ে খুব ভাল লাগল। নিজের কলেজের দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেল। সে সময় স্টাড কনটেস্ট হত না। ভাল করতাম স্পোর্টস-এ। মেডেলগুলো এখনও রয়েছে। বাস্কেটবল, ফুটবলের মেডেল। ১০০ মিটার স্প্রিন্টার ছিলাম। তখন ডিনো ছিল ‘ভাগ ডিনো ভাগ’।


রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরা সেই অবতারটা দেখলে মিলখা সিংহের রোলটা আপনাকেই দিতেন কি?
(হেসে) আলবাত দিতেন। তবে সিরিয়াসলি বলছি, ফারহান (আখতার) খুব ভাল অভিনয় করেছে ছবিটিতে

আগেকার মতো আজকাল পুরুষ সুপার মডেল পাওয়া যায় না কেন?
আছে। ভাল দেখতে পুরুষরা আছেন। তবে সেভাবে তাঁরা ‘বাজ’ তৈরি করেন না। আমাদের সময় সবার মধ্যে একটা ওরিজিনালিটি ছিল। নিজস্ব ব্যক্তিত্ব। এখন কি সেটা আছে? জানি না। তবে আমি সেভাবে খোঁজও রাখি না।

জন আব্রাহাম-এর সঙ্গে আপনার কেমন সম্পর্ক?
ওকে চিনি। যাকে বলে অ্যাকোয়েন্টেন্স। এর থেকে বেশি কিছু নয়। ও আমার জিগরি ইয়ার নয়। চিনি ওকে আমার সহকর্মী হিসেবে।


কোনও দিন জনকে দোষী মনে হয়েছিল বিপাশার সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার জন্য?
না না। বিপাশা আর আমার ছাড়াছাড়ি হওয়ার প্রায় আট মাস পরে ওরা ডেট করতে শুরু করে। আমার জন-এর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। ছিলও না কোনও দিন। আমি বরঞ্চ ওদের সম্পর্কটাকে এনকারেজ করতাম।

জনও তো একটা জিম খুলছেন। নাম ‘জেএ ফিটনেস’। জানেন এ কথা?
না, আমি এ বিষয়ে খোঁজ রাখি না।

আর বিপাশা?
আমরা এখন দারুণ ভাল বন্ধু।


পুরোনো প্রেমিকার সঙ্গে আবার বন্ধুত্ব পাতানোর মন্ত্রটা কী?
ম্যাচিওরিটি লাগে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল সময়। কিছু দিন পরে নিজেদের আলাদা পার্টনার থাকে। সেই পার্টনারদের সম্মান করাটাও সময়ই শিখিয়ে দেয়।


আজও কি বিপাশাকে নিয়ে খুব প্রোটেক্টিভ আপনি?
হ্যাঁ, ঠিক যে ভাবে আমার অন্য বন্ধুদের নিয়ে আমি প্রোটেক্টিভ। বিপাশা আমার অন্য বন্ধুদের চেনে। তাই আমাদের সম্পর্কটা আজও এত সুন্দর।

আগের আর এখনকার বিপাশার মধ্যে তফাতটা কী?
ও অনেক বেশি পরিণত এখন। জীবন দেখেছে। তাই অনেক বেশি অভিজ্ঞ।


কোনও কিছু মনে হয় যেটা ও না করলেই ভাল করত?
জীবনের সব কিছুর একটা শিক্ষণীয় দিক আছে। বিপাশা কী করবে না করবে, সেটা তো ওরই ব্যাপার। আমার বলাটা কি ঠিক?

ইন্ডাস্ট্রির লাইমলাইটের মধ্যে কি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা আরও কঠিন?
হয়তো হয়। আমার বেশ কয়েকটা সম্পর্ক ছিল। তবে সবটাই পরিস্থিতি আর পার্টনারের উপর নির্ভর করে। লেখালিখি প্রচুর হবে। প্রথমে দরকার নিজের পার্টনারের সঙ্গে ভাল বোঝাপড়া থাকার। জানা দরকার আমরা ঠিক কী চাই বা না চাই। তাহলেই মিডিয়া গসিপ বা ইন্ডাস্ট্রির লাইমলাইট রিলেশনশিপে ভাঙন ধরাতে পারবে না।


বলিউডে তো এখন বিয়ের মরসুম। ২০১৩তে কি আমরা মিসেস ডিনো মোরিয়াকে দেখতে পাচ্ছি?
(হেসে) হয়তো। জানি না। তবে আমি এ কথাটা প্রত্যেক বছর বলি।


ডিজাইনার নন্দিতা মেহতানি কেন আপনার বিশেষ কেউ হয়ে উঠেছেন?
কিছু মনে করবেন না, আমি ওর সম্পর্কে কিছু বলতে চাই না। আমার ব্যক্তিগত জীবনটা গোপনই রাখতে চাই।


এত সম্পর্ক ভাঙাগড়ার মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন। আজ ডিনো মোরিয়া একটা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে কী করবেন?
চার্মিং, সাহসী আর বিশ্বাসী হতে হবে। ভরসা থাকতে হবে। ভরসা অর্জন করতে হবে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.