কালিয়াগঞ্জ থেকে বুনিয়াদপুর রেলপথ তৈরির কাজে রেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগে কালিয়াগঞ্জ নাগরিক অধিকার রক্ষা কমিটির আমরণ অনশন সোমবার দ্বিতীয় দিনে পড়ল। এ দিন মঞ্চে গিয়ে আন্দোলনকে নৈতিক সমর্থন জানান কালিয়াগঞ্জের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক ননীগোপাল রায়। কমিটি সম্পাদক তথা বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ সরকার বলেন, আশ্বাস না-মিললে অনশন তোলা হবে না।” সিপিএম নেতা ননীগোপালবাবুর যাওয়াকে কটাক্ষ করে জেলা কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দের অভিযোগ, “বিজেপি রেলের সঙ্গে আলোচনা না করে রাজনৈতিক স্বার্থে উন্নয়ন আটকাতে অনশনে বসেছেন। ননীগোপালবাবুরা তা সমর্থন করায় সিপিএম-বিজেপি আঁতাত প্রকাশ্যে এল।” সিপিএমের জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য অপূর্ব পাল জানান, ননীগোপালবাবু মানবিক কারণেই সেখানে যান। অনশনে না গিয়ে কমিটি রেলমন্ত্রীকে দাবির কথা জানাতে পারত। কংগ্রেস ঘোলাজলে রাজনীতি করছে। সিপিএমের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক নেই।” তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক অসীম ঘোষ কমিটির সদস্যদের উন্নয়নের স্বার্থে অনশন তুলে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “রেল নিয়ম মেনেই ক্ষতিপূরণ দেবে।’’ উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশন ডিআরএম অরুণ শর্মা জানান বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। জেলাশাসক পাসাং নরবু ভুটিয়া এ দিন বলেন, “কমিটির সদস্যরা প্রশাসনকে জানিয়ে অনশনে বসেননি। তবুও আলোচনার মাধ্যমে অনশন তোলার চেষ্টা হচ্ছে।”
|
১০০ দিনের কাজে মজুরি বাড়ানোর দাবিতে এবং বছরে ২০০ দিন কাজের দাবিতে সরব সারা বাংলা জব কার্ড হোল্ডার মজুর সমিতি। সোমবার এই সংগঠনের তরফে হলদিবাড়ির দক্ষিণ বড় হলদিবাড়ি পঞ্চায়েতের প্রধানের কাছে। এই দুটি দাবি সমেত মোট দশ দফা দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। অন্য দাবি ছিল, মজুরদের তালিকা তৈরি করে তাদের সবাইকে জবকার্ড দিতে হবে। প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের জব কার্ড দিতে হবে, ১০০ দিনের কাজে সমস্ত পঞ্চায়েতে সচেতনতার শিবির করতে হবে। প্রধান অমিত সরকার বলেন, “ওদের দাবিগুলি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।”
|
পূর্ব পরিচিত এক বিবাহিতার বাড়ির সামনে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাফেরার অভিযোগে এক যুবককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন বাসিন্দারা। রবিবার রাতে কোচবিহার কোতোয়ালির পুন্ডিবাড়ি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানায়, জেরার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। |