প্রজাতন্ত্র দিবসে এ বারও উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্যারেডে অংশগ্রহণ করবে রায়গঞ্জের সূর্যোদয় মূক ও বধির হোমের আবাসিক কিশোর কিশোরীরা। স্থানীয় স্টেডিয়ামে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে ওঁরা ‘গার্ড অফ অনার’ জানাবে জেলাশাসককে। পরে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও সামিল হবে। ওই কিশোর কিশোরীরা প্রত্যেকে চতুর্থ থেকে সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে মহড়া। জেলাশাসক পাসাং নরবু ভুটিয়া বলেন, “সূর্যোদয়ের আবাসিকদের দক্ষতা ও উৎসাহ নিয়ে সংশয় নেই। এবারও প্যারেড ও নাচে অংশগ্রহণ করবে। প্রস্তুতি চলছে।” হোম সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৯ জন মূক ও বধির আবাসিক কিশোর প্যারেডের প্রস্তুতি শেষ করেছে। এখন ২০ জন মূক ও বধির কিশোরী নাচের মহড়া দিচ্ছে। হোমের শিক্ষক ও শিক্ষিকারা প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। হোমের অধ্যক্ষ পার্থসারথী দাস বলেন, “শিক্ষক শিক্ষিকারা সারাবছর ব্যান্ড বাজিয়ে আবাসিক কিশোরদের প্যারেডের প্রশিক্ষণ দেন। |
উচ্চস্বরে গান বাজিয়ে ইশারায় কিশোরীদের গান ও নাচের প্রশিক্ষণ দেন। মূক ও বধির হলেও অনুশীলনের জেরে ওদের রপ্ত করতে সমস্যা হয় না।” প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্যারেড ও নাচ পরিবেশনের সময় সাধারণ ছেলে মেয়েদের মধ্যে মূক ও বধির আবাসিকদের বুঝতে যেন অসুবিধা না হয় সে জন্য ওদের কানে শ্রবণযন্ত্র লাগানো থাকবে। জেলা শিশুকল্যাণ কমিটির চেয়ারপার্সন সুনীলকুমার ভৌমিক বলেন, “ওই ছেলেমেয়েদের উৎসাহ দেখার মতো। ওদের স্বনির্ভর করতে রাজ্য সরকারের কাছে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কোর্স চালুর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।” প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, সূর্যোদয়ের আবাসিক ছাড়াও প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে এনসিসি, বিএসএফ, পুলিশ ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহ রায়গঞ্জের বিভিন্ন স্কুল কলেজের ৪০টির বেশি দল অংশ নেবে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোক্তার আলি সর্দার বলেন, “সূর্যোদয়ের আবাসিকদের প্যারেড ও নাচ দেখতে মাঠে যাব।” |