|
|
|
|
‘সিপিএম কর্মীকে’ গুলি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গোপালনগর |
গুলি করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল এক যুবককে। রবিবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানার শ্রীপল্লি এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানায়, জখম ওই যুবকের নাম আবদুল রসিদ মণ্ডল। বাড়ি স্থানীয় বালিয়াডাঙা গ্রামে। এলাকায় সিপিএম কর্মী হিসাবেই পরিচিত সে। তবে তাঁর বিরুদ্ধেও খুন-সহ নানা অসামাজিক কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে পুরনো শত্রুতা এবং রাজনৈতিক কারণেই এই খুনের চেষ্টা হয়েছে।” পুলিশ জানায়, রসিদের বুকে ও পিঠে দু’টি গুলি লেগেছে। কলকাতার আরজিকর হাসাপাতালে তাকে ভর্তি করানো হয়েছে। রসিদের জবানবন্দি নিয়েছে পুলিশ। তার ভিত্তিতে ১১ জনের নামে মামলা শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। রসিদের স্ত্রী সফেদা বিবির অভিযোগ, সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন, সেই কারণেই তার স্বামীর উপর হামলা করা হয়েছে। তাঁর দাবি, হামলাকারীরা তৃণমূলের লোক। রবিবার রাতেই বালিয়াডাঙা এলাকা থেকে হাকিম মণ্ডল নামে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসাবেই পরিচিত তিনি। তৃণমূলের পক্ষ থেকে অবশ্য তাদের কোনও কর্মীর এই ঘটনায় যুক্ত থাকার কথা অস্বীকার করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে ওই এলাকায় খুন হন তৃণমূল নেতা ইয়ান নবি। ওই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত রসিদ। তিনি জামিনে মুক্ত ছিলেন। রবিবার সন্ধ্যায় শ্রীপল্লি বাজার থেকে বনগাঁ-বাজিতপুর সড়ক ধরে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। পথে একটি সেতুর উপর কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ধরে গুলি চালায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় বোমাবাজি করে। রক্তাক্ত অবস্থায় সেতুতেই লুটিয়ে পড়েন রসিদ। পরিবারের লোকেরা গুলির আওয়াজ শুনে ছুটে আসেন এবং তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
তবে রসিদকে সরাসরি দলীয় কর্মী হিসাবে মানতে নারাজ সিপিএম। সিপিএমের বনগাঁ লোকাল কমিটির সম্পাদক পঙ্কজ ঘোষ বলেন, “রসিদ বামপন্থায় বিশ্বাসী। এলাকায় কৃষক সভার হয়ে কাজ করেন। কয়েক বছর আগে বামেদের প্যানেলে স্কুল ভোটে দাঁড়িয়ে জয়ী হন। তবে কি কারণে কারা তাঁকে খুনের চেষ্টা করল তা প্রশাসন তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।”
বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক তৃণমূলের বিশ্বজিৎ দাসের অভিযোগ, “সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীদের নিজেদের মধ্যে বিবাদেই এই ঘটনা ঘটেছে।” |
|
|
|
|
|