|
|
|
|
প্রতি পঞ্চায়েতে শিবির করে ধান কেনার দাবি কংগ্রেসের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে শিবির করে ধান কেনার দাবি তুলল কংগ্রেসও। দলের উদ্যোগে সোমবার থেকে মেদিনীপুর শহরে ‘প্রতীকী অনশন’ শুরু হয়েছে। চলবে আজ, মঙ্গলবার পর্যন্ত। শহরের গাঁধী মূর্তির পাদদেশে এই কর্মসূচি চলছে। কংগ্রেসের হুঁশিয়ারি, দাবি খতিয়ে দেখে প্রশাসন উপযুক্ত পদক্ষেপ না- করলে পরবর্তীকালে আরও বৃহত্তর আন্দোলন হবে।
বস্তুত, প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে শিবির করে ধান কেনার দাবি জানিয়ে ক’দিন আগেই খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সিপিএম সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য। |
|
গাঁধী মূর্তির পাদদেশে প্রতীকী অনশন। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
চিঠি দিয়েছিলেন জেলাশাসক এবং জেলা খাদ্য নিয়ামককেও। জেলা পরিষদের বক্তব্য, সহায়ক মূল্যে ধান কেনার কাজে গতি নেই। এরফলে অভাবী বিক্রি শুরু হয়েছে। একই বক্তব্য কংগ্রেসেরও। দলের দাবি, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ৩ লক্ষ ৭৮ হাজার মেট্রিক টন। তবে জানুয়ারির ১০ তারিখ পর্যন্ত মাত্র ৩০ হাজার মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। খাতায়-কলমে জেলায় ৬৪টি চালকল রয়েছে। তবে এর মধ্যে ২০টিই বন্ধ। জঙ্গলমহল এলাকার অনেক ব্লকে চালকলই নেই। ফলে, চাষিদের সমস্যায় পড়তে হয়। জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অনিল শিকারিয়া বলেন, “সর্বত্রই অভাবী বিক্রি চলছে। এর ফলে চাষিরা কৃষিকাজে উৎসাহ হারাবেন।” তাঁর কথায়, “জেলাশাসক- মহকুমাশাসক-বিডিওরা প্রচুর সরকারি প্রকল্পের ভারে ব্যস্ত রয়েছেন। ফলে দু’তিনটি ধান সংগ্রহের শিবির করা ছাড়া তাঁদের উপায় নেই। এই অবস্থায় চাষিদের স্বার্থে জেলার ২৯০টি গ্রাম পঞ্চায়েতে ধান সংগ্রহের শিবির করা প্রয়োজন।” |
|
|
|
|
|