|
|
|
|
তৃণমূল-সিপিএম সংঘর্ষ, পিংলায় আহত পুলিশও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
তৃণমূল ও সিপিএমের মধ্যে সংঘর্ষ বাধল পিংলার গোগ্রামে। জখম হলেম এক তৃণমূল কর্মী। চোট লেগেছে সুনীল পাত্র নামে পুলিশের এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টরেরও। ঘটনার সূত্রপাত রবিবার রাতে। সোমবার সকালেও সংঘর্ষ হওয়ায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। দু’দলের চার জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী বলেন, “পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। মারামারির অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
তৃণমূলের অভিযোগ, সিপিএম একতরফা আক্রমণ করেছে। আর সিপিএমের পাল্টা অভিযোগ, তৃণমূল নিজেরা মারামারি করে দোষ চাপাচ্ছে তাদের ঘাড়ে। তৃণমূল নেতা শেখ মফিজুল বলেন, “রবিবার স্থানীয় কর্মীরা এলাকার মাঠে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেন। ১০-১২ জন কর্মী মাঠের ধারেই তা নিয়ে আলোচনার সময় কয়েকজন সিপিএম কর্মী লাঠি, রড নিয়ে হামলা চালায়। শশাঙ্ক দোলুই নামে আমাদের কর্মী গুরুতর আহত হন।” সিপিএমের পিংলা জোনাল সম্পাদক নয়ন দত্তের অবশ্য বক্তব্য, “রবিবার তৃণমূলের ১০-১২ জন মিলে ওখানে একটি মিছিল করে। মিছিলের সময় একটি বাড়ির অ্যাসবেসটসও ভাঙে। শশাঙ্ক দোলুইয়ের সঙ্গে আমাদের কর্মী বিশ্বজিৎ জানা কথা বলার সময় বিশ্বজিৎকে একজন লাঠি দিয়ে মারতে যায়। বিশ্বজিৎ একটু ঘুরে যেতেই সেই লাঠির আঘাত পড়ে অন্যজনের উপর। এখন তার দায় চাপানো হচ্ছে সিপিএমের উপর।”
ওই গ্রাম পঞ্চায়েত সিপিএমের দখলে। সিপিএমেরই দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই ওখানে ৬০-৭০ শতাংশ মানুষ তাদের সঙ্গেই রয়েছেন। এলাকায় প্রভাব বাড়াতে মিছিল করছিল তৃণমূল। তা নিয়েই রবিবার দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। রাতেই পুলিশ সিপিএমের দুই সমর্থককে গ্রেফতার করে। সোমবার সকালেই শ’খানেক তৃণমূল সমর্থক জড়ো হয়ে সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের গ্রেফতারের দাবি জানান। সেই সময় দু’পক্ষের মধ্যে ফের মারামারি শুরু হয়।
এ দিন সংঘর্ষ থামাতে গিয়েই আহত হন পুলিশ কর্মী সুনীল পাত্র। তাঁকে পিংলা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত তৃণমূল কর্মীকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে কলকাতায়। সিপিএমের অভিযোগ, “এলাকায় অশান্তি ছড়াতে তৃণমূল ইচ্ছে করে সংঘর্ষ বাধানোর চেষ্টা করছে।” অন্য দিকে তৃণমূলের দাবি, “সিপিএম সন্ত্রাস সৃষ্টি করে মানুষকে দাবিয়ে রেখেছিল। এখন মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে তৃণমূলের দিকে আসছে দেখে আতঙ্কিত হয়ে ফের সন্ত্রাস চালাচ্ছে তারা।” যাতে ফের সংঘর্ষের ঘটনা না ঘটে, সে জন্য এলাকায় পুলিশি টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। |
|
|
|
|
|