যখন সে জাপানে এসেছিল, বয়স মাত্র দুই। এর পর কেটে গিয়েছে আরও ৬৪ বছর। বয়সের হিসেবে সেই এখন বিশ্বে তৃতীয় প্রবীণতম, আর দেশে প্রথম। রেকর্ড গড়ল এ বছরই। তবু তার জনপ্রিয়তায় চিড় ধরেনি এতটুকু। তাই ‘হানাকো’ হাতির জন্মদিনে উৎসবের মেজাজে ‘ইনোকাশিরা পার্ক’ চিড়িয়াখানা।
হানাকোকে ‘হ্যাপি বার্থডে’ জানাতে প্রায় ৮০০ লোকের ভিড় হয়েছিল। ওর প্রিয় পাউরুটি আর ফল দিয়ে একটা বিশাল কেক বানানো হয়। হানাকো-ও খুব খুশি জন্মদিনের উপহার পেয়ে। এ দিকে, ও দিকে কোমর দুলিয়ে নাচ দেখিয়েছে সবাইকে। “ওর যে এত বয়স হল, বোঝার উপায় নেই। এখনও কী প্রাণবন্ত!” উচ্ছ্বসিত তার গুণমুদ্ধ, ১০ বছরের ছেলে আকিকো ইয়োকোই। |
আকিকোর সঙ্গে এক্কেবারে একমত চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ এতসুও নারুশিমাও। বললেন, “ও আমাদের স্টার। সবাই ওকে খুব ভালবাসে।” সত্যিই তো। সেই ১৯৫৪ থেকে হানাকোর ঠিকানা ইনোকাশিরা পার্ক। ব্যাঙ্ককে জন্ম হলেও জীবনের বেশিটাই তো কেটেছে এখানে।
হানাকোর জন্মের আসল দিনটা জানা নেই নারুশিমার। তাই প্রত্যেক বছর ১ জানুয়ারি জন্মদিন পালন করা হয়। গত বছর সুওয়াকো-র রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলে সে। তৃতীয় স্থানটা এত দিন সুওয়াকোই দখল করে রেখেছিল। ২০০৮ -এ সে মারা যায়। হানাকোর নতুন রেকর্ড নিয়ে উত্তেজিত নারুশিমা জানালেন, তাঁর চিড়িয়াখানার স্টারের জন্মদিনে প্রার্থনা করেছেন, যেন খুদে ভক্তদের জন্য আরও অনেক দিন বাঁচে হানাকো। আরও অনেক রেকর্ড গড়ে। |