হাতির হানায় মৃত্যু
বার হাতির তাণ্ডব শুরু হল দক্ষিণ বাঁকুড়ায়। দাঁতালের হানায় মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ের। জমির ফসল নষ্টের পাশাপাশি দু’টি বাড়ি ভেঙে তছনছ করল হাতির দল।
রবিবার রাতে হাতির দলের এই হামলার জেরে বাঁকুড়ার রাইপুর থানার কাটলদা গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। মৃতের পরিচয় অবশ্য জানা যায়নি। সোমবার সকালে পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া মেডিক্যালে পাঠায়। বাঁকুড়া দক্ষিণ বনবিভাগের ডিএফও সুধীরচন্দ্র দাস বলেন, “পশ্চিম মেদিনীপুরের রামগড়ের জঙ্গল থেকে কয়েকটি হাতি সারেঙ্গা হয়ে রাইপুর থানা এলাকায় ঢুকে হামলা চালিয়েছে। তবে, হাতির আক্রমণে ওই প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে কি না, তা খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। আপাতত হাতির দল যাতে সীমানা পেরিয়ে লোকালয়ে ঢুকে হামলা চালাতে না পারে, তার জন্য বনকর্মীদের নজর রাখতে বলা হয়েছে।”
হাতির হানায় ভেঙে যাওয়া বাড়ি। —নিজস্ব চিত্র।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রামগড়ের জঙ্গল থেকে রবিবার রাতে ২৫-৩০ টি হাতির দল সারেঙ্গার গড়গড়িয়া এলাকায় ঢুকে পড়ে। সেখান থেকে কংসাবতী নদী পেরিয়ে কাটলদা গ্রামে হামলা চালায়। ওই গ্রামের বাসিন্দা কালোবরণ ষন্নিগ্রহী, সুভাষ আগন, কার্তিক বাগ বললেন, “হাতির দল গ্রাম লাগোয়া জমিতে নেমে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। প্রায় ৩০ বিঘে জমির আলু, সর্ষে নষ্ট করেছে ওরা। ফেরার সময় গ্রামের রাস্তার ধারে গাছতলায় শুয়ে থাকা ভবঘুরে এক প্রৌঢ়কে একটা হাতি পা দিয়ে থেঁতলে মারে।” গ্রামবাসী মধুসূদন গুঁই, শুকলাল হেমব্রম বলেন, “রাতে হাতির ডাক শুনে আমরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ি। তখন ৪-৫ টা হাতি আমাদের বাড়িতে ঢুকে পড়ে বাড়ির দেওয়াল ভেঙে, ধান খেয়ে পালায়।”
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, হাতির দল মাঝে মাঝেই পশ্চিম মেদিনীপুরের সীমানা অতিক্রম করে বাঁকুড়ায় ঢুকে হামলা চালাচ্ছে। ফলে রাতে আতঙ্কের মধ্যে তাদের দিন কাটছে। রাতে মশাল জ্বেলে তাড়া করতেই হাতির দল যে পথে এসেছিল, সেই পথেই পশ্চিম মেদিনীপুর ফিরে যায়।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.