পাকা জেটিঘাট তৈরি হয়নি, প্রাণান্তকর পরিস্থিতি যাত্রীদের
রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায় • সাঁকরাইল
জেটিঘাট না-থাকায় সাঁকরাইলের মানিকপুর ফেরিঘাটে নৌকায় ওঠানামা করতে গিয়ে নিত্যযাত্রীদের নাকাল হতে হচ্ছে। পলি, কাদা মেখে হাঁটু জলে দাঁড়িয়ে তাঁদের নৌকায় উঠতে হচ্ছে। একই অসুবিধা হচ্ছে নৌকা থেকে নামার সময়ে। এতে তাঁদের জীবনেরও ঝুঁকি থাকছে বলে নিত্যযাত্রীরা জানান।
এই ফেরি পরিষেবা ব্যবহার করে নিত্যযাত্রীরা যাতায়াত করেন উল্টোদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার আকড়াতে। আকড়ায় জেটিঘাট থাকায় অবশ্য নিত্যযাত্রীদের সমস্যা হয় না। প্রতিদিন বহু কারখানা শ্রমিক, ছাত্র-ছাত্রী, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা মানিকপুর ফেরি পরিষেবা ধরে আকড়া হয়ে কলকাতায় যাতায়াত করেন।
—নিজস্ব চিত্র।
এই ফেরি পরিষেবা ধরে কলকাতায় যাতায়াতে তাঁদের অনেক সুবিধা হয় বলে জানালেন নিত্যযাত্রীরা। কিন্তু এক হাঁটু কাদা ভেঙে হুগলি নদীর চর পার হয়ে নৌকায় ওঠা-নামা করা তাঁদের পক্ষে প্রাণান্তকর হয়ে দাঁড়ায়। তার ফলে নৌকা এড়িয়ে অনেকে হাওড়া হয়ে কলকাতায় যাতায়াত করেন। কিন্তু এই ভাবে ঘুর পথে কলকাতায় যাতায়াতে তাঁদের অনেক সময় লেগে যায় বলে নিত্যযাত্রীরা জানান।
মানিকপুরের বাসিন্দা বাপন মালিক বলেন, “ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য আমাকে কলকাতায় যাতায়াত করতে হয়। নৌকায় চেপে গেলে কম সময়ে যাতায়াত করা যায়। কিন্তু কাদার জন্য নৌকায় উঠতে খুব অসুবিধা হয়। কী আর করা যাবে” বেশ অসুবিধায় পড়েন মহিলারা। অবিলম্বে জেটিঘাট তৈরির দাবি জানান নিত্যযাত্রীরা।
মানিকপুর পঞ্চায়েতের প্রধান বর্ণালী নস্কর বলেন, “অনেকে জেটি তৈরির জন্য আমাদের কাছে এসে দরবার করছেন। কিন্তু এটা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। জেটিঘাট করার কথা জেলা পরিষদের। তাদের কাছে আমরা নিত্যযাত্রীদের দাবিটি জানিয়ে দিয়েছি।” হাওড়া জেলা পরিষদ আবার জানিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদকে জেটিঘাটটি তৈরি করতে হবে। কারণ মাণিকপুর-আকড়া ফেরি পরিষেবাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের অধীনে রয়েছে।
সাঁকরাইলের বিধায়ক শীতল সর্দার বলেন, “আমি খোঁজ-খবর করে দেখেছি জেটিঘাট তৈরি করতে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার প্রয়োজন হবে। বিভিন্ন মহলে কথা বলে দেখছি যদি ওই টাকার জোগাড় করে জেটিঘাটটি বানানো যায়।”
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website
may be copied or reproduced without permission.