|
|
|
|
শিন্দের মন্তব্য নিয়ে আসরে হাফিজ সইদ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
উদ্দেশ্য ছিল, দেশের মাটিতে রাজনৈতিক ফায়দা তোলা। তা করতে গিয়ে উল্টে সমস্যায় পড়ল মনমোহন সিংহের সরকার।
কংগ্রেসের চিন্তন শিবিরের মঞ্চ থেকে গতকাল বিজেপি-আরএসএসের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের অভিযোগ তোলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল শিন্দে। তাঁর অভিযোগকে হাতিয়ার করে মাঠে নেমেছে ভারত-বিরোধী পাক সংগঠনগুলি। যার নেতৃত্বে রয়েছে ২৬/১১ হামলার প্রধান ষড়যন্ত্রী হাফিজ সইদ। হাফিজের কথায়, “ভারতের পাক বিরোধী প্রচার এত দিনে ফাঁস হয়েছে। নিজের দেশের জঙ্গি সংগঠনগুলিকে লুকোতে ভারত এত দিন এই প্রচার চালিয়েছে।”
শুধু বিবৃতি দিয়েই থামেনি হাফিজ এবং তার সংগঠন লস্কর-ই-তইবা ও জামাত-উদ-দাওয়া। আরএসএসের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ শিবির, ত্রিশূল বা লাঠি হাতে সঙ্ঘের সংগঠনগুলির আন্দোলন, এমনকী নরেন্দ্র মোদীর ছবি দিয়েও প্রচার শুরু করেছে তারা।
হাফিজের মনোভাব স্বাভাবিক ভাবেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তথা গোয়েন্দা-কর্তাদের চাপ বাড়িয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, বর্তমান পরিস্থিতিতে, যখন পাক সরকারের রাজনৈতিক কর্তৃত্ব দুর্বল হয়ে পড়েছে, তখন হাফিজ আরও বেশি করে ভারত-বিরোধী হাওয়া তুলে প্রচার বাড়াতে চাইছেন।
বিজেপি-আরএসএসের বক্তব্য, তাঁরা ঠিক এই আশঙ্কাটাই করছিলেন। রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, “এই ঘটনায় পাকিস্তানের হাত আরও শক্ত হবে। আমরা কখনও সন্ত্রাসবাদকে ধর্মের সঙ্গে যোগ করিনি। কংগ্রেস বরাবর নরম মনোভাব নিয়েছে সন্ত্রাসবাদীদের প্রসঙ্গে।” বিজেপির দাবি, শিন্দের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চান মনমোহন সিংহ ও সনিয়া গাঁধী। তাঁকে বরখাস্ত করারও দাবি উঠেছে। বিজেপি সভাপতি নিতিন গডকড়ী বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। আরএসএস-এর মুখপাত্র রাম মাধব বলেন, “হাফিজকে ‘সাহেব’, লাদেনকে ‘ওসামাজি’, দাউদকে ‘ভাইয়া’ বলেন কংগ্রেস নেতারা। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁরা সন্ত্রাসবাদীদের প্রিয়পাত্র হয়ে উঠেছেন।” |
|
|
|
|
|