ভোটে আর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অনিচ্ছুক সন্তোষমোহন
সাত বারের সাংসদ, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সন্তোষমোহন দেব আর নির্বাচনে দাঁড়াবেন না। রাজনীতিতে বহু উত্থানপতনের সাক্ষী সন্তোষবাবু আজ নিজেই জানিয়েছেন এ কথা। এ বার তিনি চান ‘উপযুক্ত’ কন্যা সুস্মিতাই তাঁর স্থান নিক।
কেন এমন সিদ্ধান্ত? গত নির্বাচনে বিজেপি-র কবীন্দ্র পুরকায়স্থের কাছে হেরে যাওয়াতেই কি এ ভাবনা? কিন্তু ফুটবল রেফারি সন্তোষবাবুর জীবনে সেটাই তো প্রথম পরাজয় নয়। আগেও তিনি ভোটে হেরেছেন, আর কবীন্দ্রবাবুর কাছেই। সন্তোষমোহনবাবুর কথায়, ‘‘২০০৯-র লোকসভা ভোটের প্রচারেই জানিয়েছিলাম, শেষ বারের মতো নিজের জন্য ভোট চাইছি। সে কথাই চূড়ান্ত। তিন মাস বাদে ৮০-তে পা রাখব। আর কত! এখন নতুনরা আসুক।”
নতুন মুখ হিসেবে মেয়ে সুস্মিতাই যে তাঁর প্রথম পছন্দ, সে কথা গোপন রাখেননি সন্তোষবাবু। কন্তু এই শিলচর আসনের জন্য দীনেশপ্রসাদ গোয়ালা- গৌতম রায়ের মতো নেতারা যে ভাবে নিত্য ছক কষছেন চল্লিশ অনূর্ধ্ব মেয়ের পক্ষে কি তাঁদের সঙ্গে টক্কর দেওয়া সম্ভব? এ প্রশ্নের উত্তরে মেয়ের প্রতি অগাধ আস্থা প্রকাশ করে প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘‘আমার আর দাঁড়ানোর কথা ওঠে না। আগেই বলেছিলাম, সুস্মিতা ঘরে-বাইরে লড়াইয়ের উপযুক্ত। টিকিটের জন্য সে ঘরের লড়াইয়ে জিতে যাবে।‘আর পারবে নাই-বা কেন! সে ব্যারিস্টার, দুই বছর ওকালতি করেছে। এখন পুরপ্রধানের মেয়াদ পূরণ হতে চলেছে। বিধায়কেরও দায়িত্ব পালন করছে। মুখ্যমন্ত্রীও তাঁকে খুব ভালবাসেন। ”
গত নির্বাচনে সন্তোষবাবুর মতো কবীন্দ্রবাবুও শেষ বারের মতো নিজের জন্য ভোট চেয়েছিলেন। পরে সাংসদ হয়ে জানিয়ে দেন, পুরোনো সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন বটে তবে দল চাইলে তা পুনর্বিবেচনা করতে হবে। তাঁর কথায়, ‘দলই সর্বশেষ সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকারী।’
সন্তোষবাবুও এ দিন গুরুত্ব দিয়ে দলের কথা শোনান। তবে ভিন্ন ঢঙে। তিনি জানান, ভোটে না দাঁড়ালেও রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নিচ্ছেন না। বরং দলকে আরও বেশি সময় দিতে চান। প্রতিদিন শিলচরে জেলা কংগ্রেসের অফিসে আসেন। সংগঠনের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন।
প্রাক্তন মন্ত্রী, প্রয়াত সতীন্দ্রমোহন দেবের ছেলে সন্তোষমোহনের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় পুরসভার সদস্য হিসেবে। টানা দশ বছর পুরপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। প্রথম সাংসদ হন ১৯৮০-তে। পাঁচ বার জেতেন শিলচর আসনে। দুই বার পশ্চিম ত্রিপুরায়। কেন্দ্রে পর্যটন, যোগাযোগ, স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা দফতরে ছিলেন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে। ইস্পাত দফতর সামলান স্বতন্ত্র ভাবে। সবশেষে ২০০৪-০৯ সলে ছিলেন ভারী শিল্প দফতরের পূর্ণমন্ত্রী।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.