লড়ার কথা বলে মহেশ জিইয়ে রাখলেন গডকড়ী-বিতর্ক
ভোটে দাঁড়ালে জিতবেন না। খারিজ হয়ে যেতে পারে মনোনয়ন পত্রও। তবু বিজেপি সভাপতি পদে লড়ার কথা বলে যাচ্ছেন মহেশ জেঠমলানী। বলছেন যাতে, দ্বিতীয় দফায় নিতিন গডকড়ীর সভাপতি হওয়াটা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হয়েছে, এই বার্তাটা না যায়।
দলের নেতারা মনে করছেন, হুমকি দিলেও মহেশ হয়তো শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ের ময়দানে নামবেন না। রবিশঙ্কর প্রসাদ আজ এ-ও জানান যে, মহেশের বাবা রাম জেঠমলানী জানিয়েছেন তাঁদের পরিবারের কেউ ভোটে দাঁড়াচ্ছেন না। কিন্তু বিড়ম্বনা তাতে কমছে না। মহেশের লোকজন প্রার্থী হওয়ার প্রক্রিয়া সম্পর্কে খোঁজখবরও নিয়েছেন এ দিন।
শেষ পর্যন্ত যদি না-ও দাঁড়ান, তবু দিনভর লড়াইয়ের কথা বলে মহেশ এই বিষয়টিকে ফের সামনে আনতে পেরেছেন যে, গডকড়ী আদৌ দলের সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য নেতা নন। এবং এই কারণেই ক্ষুব্ধ গডকড়ী-ঘনিষ্ঠরা বলছেন, “নিজেও জানেন জেতার কোনও সম্ভাবনা নেই। তবু প্রকাশ্যে ভোটে লড়ার কথা বলে গডকড়ীকে খাটো করছেন।”
মহেশ নিজেও বলেছেন, “বিজেপি সভাপতি হওয়ার কোনও ইচ্ছা আমার নেই। কিন্তু গডকড়ী যদি ফের প্রার্থী হন, তবে আমি একটি প্রতীকী লড়াই লড়তে চাই।” সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবত চাইছিলেন, আর দু’দিন পরে বিজেপি-র সভাপতি পদে নির্বিরোধে জয়ী হন গডকড়ী। লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলীমনোহর জোশীর মতো গডকড়ী-বিরোধী নেতাদেরও তিনি কথা বলে রাজি করানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু বিজেপি-র শীর্ষ সূত্রই বলছে, এ ভাবে গডকড়ীর অস্বস্তি বাড়ানোর পিছনে দলের কিছু নেতার মদত রয়েছে। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, সভাপতি পদে প্রার্থী হতে হলে অন্তত ৫টি রাজ্য থেকে ২০টি করে সমর্থন জোগাড় করতে হবে। মহেশকে সমর্থন করে কে সঙ্ঘের বিরাগভাজন হবেন? ফলে শেষ পর্যন্ত মহেশ মনোনয়ন পত্র পেশ করলেও তা খারিজ হয়ে যাবে।
গডকড়ীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আসার পর এই মহেশই প্রথম মুখ খুলেছিলেন সভাপতির বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে দলের জাতীয় কর্মসমিতি থেকেও ইস্তফাও দেন তিনি। এর পর তাঁর বাবা রাম জেঠমলানীও প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করলে দল তাঁকে বহিষ্কারের নোটিস দেয়। কিন্তু জেঠমলানী পরিবারকে নিরস্ত করতে সঙ্ঘের হস্তক্ষেপে রাম জেঠমলানীকে দলে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছেন গডকড়ী। কিন্তু মহেশ আজ বুঝিয়ে দিলেন, পথের কাঁটা দূর হয়নি তাতেও।
দলের অনেক নেতাই মনে করেন, গত তিন বছরের সাফল্যের ভিত্তিতে নয়, স্রেফ বিজেপি-র উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতেই নিজেদের পছন্দের লোককে সভাপতি পদে রাখতে চাইছে সঙ্ঘ। গডকড়ী-ঘনিষ্ঠ নেতারা অবশ্য বলছেন, এর আগে অনেক রাজ্যে ভরাডুবি হয়েছে ঠিকই, কিন্তু ঘুরে দাঁড়ানোর প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে দলে। আজই লখনউয়ে সভা করেছেন গডকড়ী। সেখানে কল্যাণ সিংহের দল বিজেপিতে ফিরে এসেছেন। সাংসদ পদ বাঁচাতে কল্যাণ নিজে অবশ্য এখনই ফিরছেন না। এই অনুষ্ঠানে রাজনাথ সিংহের পাশাপাশি মুরলীমনোহরও উপস্থিত ছিলেন, যিনি গডকড়ীর মেয়াদ বাড়ানোর ঘোরতর বিরোধী ছিলেন। গডকড়ী ফিরিয়ে এনেছেন উমা ভারতী, যশোবন্ত সিংহকেও। বিধানসভা ভোটে ভালো ফল আনতে না পারুন, সংগঠনকে মজবুত করেছেন সভাপতি।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.