কলকাতার প্রাক্তন মেয়র কমল বসু প্রয়াত হলেন। সোমবার শহরের একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। বয়স হয়েছিল ৯৪। মৃত্যুর আগে কোমায় চলে গিয়েছিলেন তিনি। পরিবার-সূত্রে খবর, তিনি দেহদান করে গিয়েছেন।
১৯১৮-এ কুমোরটুলিতে জন্ম কমল বসুর। ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি, বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী
|
কমল বসু |
ভূপেন্দ্রনাথ বসুর নাতি কমলবাবুও তরুণ বয়সেই রাজনীতিতে সাফল্য অর্জন করেন। তিনি সরাসরি কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৫২-তে মাত্র ৩৪ বছর বয়সে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। তখন তিনিই ছিলেন ভারতের তরুণতম সাংসদ। ১৯৮৫-১৯৯০ পর্যন্ত কলকাতার মেয়র ছিলেন। এ ছাড়াও এ রাজ্যের বহু সংস্থা ও সংগঠনের সভাপতি ছিলেন।
আজীবন উত্তর কলকাতার বাসিন্দা কমল বসু জড়িয়ে ছিলেন তার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে। সঙ্কীর্ণতা ছিল না এতটুকু। পেশায় আইনজীবী কমলবাবু ভালবাসতেন গানবাজনা, পুরনো কলকাতার গল্পসল্প। খেলাধুলোতেও সমান উৎসাহ ছিল। তাঁদের ‘বসুবাটী’ থেকেই প্রতিষ্ঠা হয় মোহনবাগান ক্লাবের। তাঁর দাদু ভূপেন্দ্রনাথ ছিলেন তার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও জ্যাঠামশাই যতীন্দ্রনাথ বসু প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। পারিবারিক সেই ঐতিহ্য মেনে কমল বসুও কলেজজীবনে ফুটবল-টেনিস খেলতেন, পরে আগ্রহী হন ক্রিকেটে।
দিশি গান আর বিলিতি খেলা, এ শহরের মেজাজ-জড়ানো লুপ্তপ্রায় সেই বাঙালিদের আরও এক জন কমে গেল, বদলে যেতে থাকা এই কলকাতায়। |