শনিবারের ঘটনার পর সিপিএমের ১২ সদস্যের একটি দল কালনা ১ ব্লকের বুলবুলিতলা বাজার সংলগ্ন এলাকা পরিদর্শন করলেন সোমবার। প্রতিনিধি দলে ছিলেন বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অনুপকুমার সাহা, সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য তথা প্রাক্তন বিধায়ক অঞ্জলি মণ্ডল ও কালনা জোনাল কমিটির সম্পাদক করুণা ভট্টাচার্য ও মন্তেশ্বরের বিধায়ক চৌধুরী মহম্মদ হেদায়তুল্লা।
শনিবার সকালে সুলতানপুর পঞ্চায়েতের গোপালপুর গ্রামে তৃণমূলের একটি কার্যালয় পুড়ে যায়। তৃণমূলের অভিযোগ, সিপিএমই এর জন্য দায়ী। তৃণমূলের কালনা ১ ব্লকের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি সুকুর আলি শেখকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের অভিযোগ, কালনা ১ দক্ষিণ লোকাল কমিটির মদতেই আদিবাসী পাড়া থেকে সশস্ত্র অবস্থায় বেশ কিছু লোকজন উত্তেজনা ছড়ায়। সিপিএমও তৃণমূলের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলার অভিযোগ করে। |
এ দিন ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা আদিবাসী পাড়ায় বেশ কিছু বাড়িতে যান। বেশ কিছু পরিবার তাদের কাছে অভিযোগ করে, তৃণমূলের হামলায় তাদের ঘরের নানা জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘটনায় বেশ কয়েক জনকে পুলিশ গ্রেফতার করার পর তাদের আতঙ্ক বেড়েছে। খেতের কাজেও বাড়ির বাইরে যেতে ভয় পাচ্ছেন তারা। সন্ধ্যে থেকেই আশপাশের গ্রাম থেকে বোমাবাজির শব্দ শোনা যাচ্ছে। প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা ‘ক্ষতিগ্রস্ত’ পরিবারগুলিকে আট হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য করেছেন। করুণাবাবুর কথায়, “আদিবাসী পরিবারের সদস্যেরা চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তারা মাঠে যেতে পারছেন না। তাই দলের তরফে তাদের আর্থিক সাহায্য করা হচ্ছে।’’ অঞ্জু দেবীর বক্তব্য, “দল আক্রান্ত মানুষদের পাশে রয়েছে, তা জানাতেই এই পরিদর্শন।” অনুপবাবুর কথায়, ‘‘পরিস্থিতির ব্যাপারে দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।”
এ দিন নতুন করে কোনও উত্তেজনা ছড়ায়নি ঠিকই। কিন্তু বুলবুলিতলা বাজারের চারপাশে অনেক তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা জড়ো হয়েছিলেন এ দিন। এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। এলাকা পরিদর্শনের পর সিপিএমের প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা কথা বলেন কালনার এসডিপিও ইন্দ্রজিৎ সরকারের বিরুদ্ধে। ইন্দ্রজিৎবাবু তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এ বিষয়ে অবশ্য তৃণমূলের বর্ধমান জেলা কিষাণ মজদুরের সভাপতি রাজকুমার পান্ডের কটাক্ষ, “আমাদের দলের নেতা মার খেল আর ওরা পরিদর্শন করল!” |