চার বছরেও তল মিলল না, বিশ বাঁও জলে সুইমিং পুল
চার বছর আগে সুইমিং পুলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে গিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ (এডিডিএ) প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা খরচ করে সুইমিং পুল তৈরি করে। কিন্তু তার গেটে এখন মরচে পড়া তালা ঝুলছে। সুইমিং পুলের ভবিষ্যৎ বিশ বাঁও জলে।
আসানসোল ইন্ডোর স্টেডিয়ামের পাশে জলাশয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছিল ২০০৮ সালের ২২ ডিসেম্বর। স্টেডিয়াম কমিটি সূত্রে জানা যায়, সিপিএমের বিকাশ চৌধুরী সাংসদ থাকাকালীন ইন্ডোর স্টেডিয়াম করার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। প্রথমে ইন্ডোরের খরচ ধরা হয়েছিল ৪৭ লক্ষ টাকা। বিকাশবাবু ৪০ লক্ষ টাকা তাঁর তহবিল থেকে দিয়েছিলেন। এর পরে বাজেট ৭৪ লক্ষ টাকায় পৌঁছলে বাকি টাকা স্টেডিয়াম কমিটি দিয়েছিল। ইন্ডোর স্টেডিয়াম নির্মাণের সময়ে এডিডিএ-র তৎকালীন চেয়ারম্যান বংশগোপাল চৌধুরী ইন্ডোর স্টেডিয়ামের পাশে এডিডিএ-র খরচে একটি সুইমিং পুল করার সিদ্ধান্ত নেন। ইন্ডোর এবং সুইমিং পুল করার আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, সে দু:টি সম্পূর্ণ হওয়ার পরেই স্টেডিয়াম কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হবে।
সাঁতারুদের অপেক্ষায়। —নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের পরে বংশগোপাল চৌধুরীর জায়গায় এডিডিএ চেয়ারম্যান হন তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। স্টেডিয়াম কমিটির সম্পাদক অমল সরকার জানান, তাপসবাবু একই সঙ্গে আসানসোল পুরসভার মেয়রও থাকায় তাঁরা কাজ এগোনোর ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন। কিন্তু বংশবাবু যেমন সুইমিং পুল স্টেডিয়াম কমিটির হাতে তুলে দেননি, তাপসবাবুও কোনও পরিষ্কার সিদ্ধান্ত নেননি। সুইমিং পুলের জন্য জলের ব্যবস্থাও করেননি। অমলবাবু বলেন, “এই সুইমিং পুল কার্যত বড় ধরনের প্রহসন। কারণ সেখানে ১২ বছরের বেশি বয়সের কেউ প্রশিক্ষণ নিতে পারবে না। সুইমিং পুলের আকার নির্ধারিত মাপের অর্ধেক হওয়ায় সেখানে রাজ্য স্তরের কোনও প্রতিযোগিতাও সম্ভব নয়। এই সুইমিং পুলের কাজ শুরু হওয়ার পরে তৎকালীন জেলাশাসক কাজের মান দেখে তা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। অল্প দিনের মধ্যে ওই জেলাশাসক বদলি হয়ে যান। তার পরে আবার কাজ শুরু হয়।”
বংশবাবু বলেন, “বাচ্চাদের জন্য বিনা খরচে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করতে চেয়েছিলাম। সেই মতো কাজও করেছি। এখনও পর্যন্ত এডিডিএ কেন স্টেডিয়াম কমিটিকে সুইমিং পুল হস্তান্তর করেনি, তা আমার জানা নেই।” এডিডিএ চেয়ারম্যান নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “খোঁজখবর নিয়ে যাতে দ্রুত ব্যবস্থা করা যায়, তা দেখছি।” তাপসবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে যুবকল্যাণ ও ক্রীড়া দফতরের মেয়র পারিষদ অভিজিৎ ঘটক বলেন, “জলের ব্যবস্থা না করেই সেই সময়ে বংশবাবুরা সুইমিং পুল নির্মাণ করেন। তার পর দামোদর নদে নতুন জল প্রকল্প নির্মাণের দায়িত্ব ওরা নিয়েছিল। ২০০৯ সালে পুরসভায় ক্ষমতা বদল হলে বংশবাবুরা এডিডিএ থেকে জলপ্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দেন। এখন ওই জলপ্রকল্প শেষ করার কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। তা হয়ে গেলেই সুইমিং পুলও চালু হবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.