হাতে গোনা বাস ভরসা কসবায়
রাস্তা মোটামুটি রয়েছে, কিন্তু বাস প্রায় নেইই। ফলে সময়ে গন্তব্যে পোঁছনো প্রায় অলীক কসবা থেকে সিলামপুরের হাজার হাজার মানুষের কাছে। তাঁদের অভিযোগ, এমনিতেই বাস কম। তার উপর কসবা থেকে পানাগড় বা গুসকরা যাওয়ার রাস্তার হালও খারাপ। ফলে চলাফেরাটাই সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাসের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
এই চলা তো নয় চলা
চিত্তরঞ্জন যাওয়ার রাস্তা। ছবি: শৈলেন সরকার।
কসবা থেকে সিলামপুরের মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি গ্রাম। তার বেশিরভাগ লোকই যাতায়াতের জন্য এই রুটে চলা বাসের উপর নির্ভর করেন। এলাকার বাসিন্দা তপন রুইদাস বলেন, “বাইরে থেকে আমাদের কোনও আত্মীয়কে আসতে হলে বাসের জন্য অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। তা না হলে গাড়ি ভাড়া করে আসতে হয়।” বাসিন্দারা আরও জানান, বিশেষ করে স্কুলে যাওয়ার সময় বা স্কুল ছুটির সময় খুব অসুবিধার সৃষ্টি হয়। পর্যাপ্ত বাস না থাকায় যকটি বাস আছে তাতে প্রচণ্ড ভিড় হয়। সিলামপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুকুমার পাল বলেন, “স্কুল পড়ুয়াদের খুবই অসুবিধা হয়। বাস বাড়ানো গেলে সবারই সুবিধা হবে।” রণডিহার বাসিন্দা অরূপ জানা বলেন, “ট্রেন ধরার তাড়া থাকলে সময় মতো বাস না থাকায় বাইকে করে অথবা সাইকেলে পানাগড় যেতে হয়।”
কসবা থেকে পানাগড়, গুসকরা, বর্ধমান বা দুর্গাপুর যাওয়ার জন্য বাসই ভরসা এই এলাকার মানুষের কাছে। বেশ কয়েকটি স্কুল, ব্যাঙ্ক, বিভিন্ন সরকারি দফতরও রয়েছে। কাজেই বাইরে থেকেও অনেকে কর্মসূত্রেও এখানে আসেন। এই এলাকার বড় বাজার বলতে পানাগড়। ফলে সেখানে যাওয়ার জন্যও তাঁদের বাসের উপর নির্ভর করতে হয়। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় বাস চললেও তা পর্যাপ্ত নয়। সারাদিনে যাতায়াতের জন্য এই গুটিকয়েক বাসই ভরসা। তাও সব সময় বাস মেলে না। ফলে যে ক’টি বাস আছে তাতেই বাদুরঝোলা হয়ে যেতে হয়। বয়স্ক বা রোগীদের ক্ষেত্রে সমস্যা আর বেশি। এছাড়া রাস্তার অবস্থা খারাপ বলে অনেক বাস মাঝেমধ্যেই বন্ধও হয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা ইসমাইল মিদ্দা বলেন, “এমনিতেই বাস কম। আবার রাস্তার অবস্থা খারাপ বলে প্রায়ই বাস বন্ধ হয়ে যায়। তখন আমরা খুব সমস্যায় পড়ি।”
শীত হোক বা বসন্ত এ ছবি পাল্টায় না। বুদবুদের ভরতপুর এলাকায় বিকাশ মশানের তোলা ছবি।
শুধু নিত্যযাত্রী বা স্কুল পড়ুয়া নয়, সমস্যায় পড়েন চাষিরাও। কসবার মানা থেকে প্রচুর চাষী সব্জি নিয়ে বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করতে যান। বাসের সংখ্যা বেশি না হওয়ায় একটা বাস ধরতে না পারলে বাজারে দেরিতে পৌঁছান তাঁরা। ফলে অনেক দিনই বিক্রিতে ভাটা পড়ে। নিকুঞ্জ সমাদ্দার নামে এক চাষি বলেন, “বাস চলে গেলে অন্য গাড়ি ভাড়া করে সব্জি বিক্রি করা সম্ভব নয়। আবার আরেকটা বাসের অপেক্ষা মানে পৌঁছতে আরও দেরি।”
কিন্তু বাসের এই আকাল নিয়ে প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন? গলসী ১ এর বিডিও ব্রততী মিত্রকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা না বলে তিনি কিছু বলতে পারবেন না।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.