টুকরো খবর
পর্ষদের আওতায় আসছে শিক্ষাকেন্দ্র
পঞ্চায়েতের আওতায় থাকা শিশুশিক্ষা কেন্দ্র ও মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রগুলিকে মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের আওতায় আনছে রাজ্য সরকার। শনিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “এগুলিকে এ বার পর্ষদই আনুমোদন দেবে। কিন্তু শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী নিয়োগ ও পরিচালনার খরচ বহন করবে পঞ্চায়েত দফতর।’’ শিক্ষামন্ত্রী জানান, এত দিন এই ধরনের বেশির ভাগ শিক্ষাকেন্দ্রের কোনও স্বীকৃতি ছিল না। এ বার থেকে পরীক্ষাও নেবে পর্ষদ। তবে এগুলি পরিচালনার বিষয়ে কী পদ্ধতি নেওয়া হবে পঞ্চায়েত দফতর সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে। এ নিয়ে পঞ্চায়েত মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর একাধিক বার কথাও হয়েছে। ব্রাত্য বলেন, “আর একটি বৈঠকের পরে পঞ্চায়েত মন্ত্রী চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন।” পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার এই ধরনের শিক্ষাকেন্দ্রগুলিকে বিধিবদ্ধ শিক্ষা ব্যবস্থার আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছে। আমরা নতুন কোনও পর্ষদ না করে মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” তাঁর বক্তব্য, বামফ্রন্টের সময় যত শিশুশিক্ষা কেন্দ্র বা মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্র আছে বলে জানানো হত, তার বেশির ভাগেরই অস্তিত্ব নেই। নেই পরিচালন কমিটিও। যাদের এখন পরিচালন সমিতি রয়েছে, সরকারের নতুন সিদ্ধান্তে সেগুলির সমিতিও বাতিল হয়ে যাবে। রাজ্যে এখন কত এ রকম শিক্ষাকেন্দ্র রয়েছে, তা জানতে সমীক্ষা করা হচ্ছে।

পঞ্চায়েত ভোট ভয়ঙ্কর হবে, শঙ্কা সিপিআইয়ের
এ বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক দল চরম সন্ত্রাসের রাস্তায় যেতে পারে বলে আশঙ্কা বাম শরিক দল সিপিআইয়ের। শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীদের তেমনই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে বলে তাদের অভিমত। তবে তৃণমূল মনোনয়ন জমা দিতে বাধা না-দিলে নিজেদের আসনে লড়াই করার মতো জায়গায় তারা আছে বলে সিপিআইয়ের দাবি। দলের রাজ্য কার্যনিবাহী কমিটি ও রাজ্য পরিষদে আলোচনার পরে সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মঞ্জুকুমার মজুমদার শনিবার বলেছেন, “যে রকম বক্তৃতা হচ্ছে, যে ভাবে বিরোধীদের মঞ্চ ভেঙে দেওয়া হচ্ছে, এর থেকেই বোঝা যায় নির্বাচনের পরিবেশ কেমন হবে। মন্ত্রীদের কথাবার্তা থেকেই আশঙ্কা করছি, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে না।” গত বারের চেয়ে এ বার কিছু বেশি আসনে লড়তে চায় সিপিআই। তবে বামফ্রন্টের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতেই আসনের দাবির নিষ্পত্তি চান মঞ্জুবাবুরা। পাঁচ বছর আগে প্রায় ৭-৮ হাজার আসনে বাম ঐক্য হয়নি। গোঁজ প্রার্থীও ছিল বিস্তর। এ বার তার পুনরাবৃত্তি চাইছে না সিপিআই। তবে যেখানে ফ্রন্টের প্রার্থী দেওয়ার মতো অবস্থা থাকবে না, সেখানে এসইউসি, সিপিআই (এমএল) লিবারেশন, পিডিএসের মতো ফ্রন্টের বাইরের বাম শক্তিকে সমর্থনে আপত্তি নেই সিপিআইয়ের। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি চ্যাপলিন স্কোয়ারে সমাবেশ করবে সিপিআই।

বেলুড় মঠে আজ প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত
আজ, রবিবার বেলুড় মঠে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মের সার্ধশতবর্ষ পূর্তির মূল অনুষ্ঠান। তাই এ দিন সাধারণ দর্শনার্থীদের মঠে প্রবেশ বন্ধ রাখা হচ্ছে। রামকৃষ্ণ মিশনের তরফে স্বামী শুভকরানন্দ বলেন, “সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত এই প্রবেশ বন্ধ থাকবে। শুধু আমন্ত্রিত ও প্রতিনিধিরা প্রবেশ করতে পারবেন।”রামকৃষ্ণ মিশন সূত্রের খবর, মূল মন্দিরের পাশের সভা মণ্ডপে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তিনটি ভাগে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হবে। বিকেলে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি, উপস্থিত থাকবেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী আত্মস্থানন্দ। প্রায় ১৫ হাজার প্রতিনিধি এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।

ভোটের দায়িত্ব থেকে রেহাই চান শিক্ষকেরা
সামনেই ছাত্র সংসদ নির্বাচন। কিন্তু অভিযোগ, মারধর করে এসএফআই সমর্থক ছাত্রদের কাছ থেকে মনোনয়নপত্র কেড়ে নেওয়া হয়েছে। অভিযোগের আঙুল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) দিকে। ঘটনাটি ঘটেছে জয়পুরিয়া কলেজের দিবা বিভাগে। প্রতিবাদে শুক্রবার অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়ে নির্বাচন কমিটি থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন কলেজের দিবা বিভাগের ২১জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে এসএফআই। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি মধুজা সেন রায় শনিবার বলেন, “টিএমসিপি ভয় পেয়ে আমাদের মনোনয়নপত্র তুলতে বাধা দিয়েছে।” নির্বাচন কমিটি থেকে শিক্ষকরা এ বার অব্যাহতি চাইলেন। তাঁদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার কিছু ছাত্রছাত্রীকে ভয় দেখিয়ে, মারধর করে তাঁদের ব্যাগ থেকে মনোনয়নপত্র কেড়ে নিয়েছেন একদল পড়ুয়া। পুলিশের সামনেই এই ঘটনা ঘটেছে।

পরিদর্শনে ইচ্ছুক উচ্চশিক্ষা দফতর
রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলিতে সরকারি পরিদর্শনের ব্যবস্থা করতে চায় উচ্চশিক্ষা দফতর। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলি পশ্চিমবঙ্গ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন। এমনকী বিশ্ববিদ্যালয় সময়ে সময়ে কলেজগুলিতে পরিদর্শনও করে। তবে ওই সব কলেজের বিরুদ্ধে পঠনপাঠনের মান, পরিকাঠামো ইত্যাদি নিয়ে অভিযোগ রয়েছে। পরিদর্শনের সময় সেগুলি খতিয়ে দেখে বিশ্ববিদ্যালয়। তার পাশাপাশি কলেজের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপ বা নির্ধারিত সীমার থেকে বেশি ফি নেওয়ার যে সব অভিযোগ ওঠে তা-ও খতিয়ে দেখতে চায় সরকার। তবে সরকারি পরিদর্শন চালু করতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বদলাতে হবে। কারণ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে কলেজে সরকারি পরিদর্শনের সংস্থান নেই। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু অবশ্য বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানাতে চাননি। শনিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে মহাকরণে তিনি বলেন, “বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলির উপরে সরকারি নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা চলছে। সে জন্য সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধন করা হবে।”

স্বাগত বেসরকারি উদ্যোগকে
রাজ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির নীতিকে শনিবার অনুমোদন দিল রাজ্য মন্ত্রিসভা। রাজ্যে ইতিমধ্যেই দু’টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। আরও অনেক আবেদন উচ্চশিক্ষা দফতরের কাছে জমা পড়েছে বলে রাজ্য সরকারি সূত্রের খবর। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য একটি খসড়া নীতি তৈরি করেছিল উচ্চশিক্ষা দফতর। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “খসড়া নীতিটি ওয়েবসাইটে দিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে মতামত চাওয়া হয়েছিল। সেই মতামত দেখে উচ্চশিক্ষা স্বার্থে নীতি তৈরি হয়েছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.