রাজনৈতিক কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের ভাতা দেওয়ার প্রকল্প বন্ধ করে দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। শনিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১৯৭৭-এ প্রকল্পটি চালু করেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। বেছে বেছে সিপিএমের লোকেদেরই এই ভাতা দেওয়া হত বলে বর্তমান রাজ্য সরকারের দাবি। তাই ওই ভাতা বন্ধ করা হল।
তবে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জন্য যে পেনশন প্রকল্প চালু রয়েছে, তা অপরিবর্তিত থাকবে। তাঁদের পেনশনের টাকার পরিমাণও বাড়বে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ দিন মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র জানান, ১৯৭৭-এ স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পেনশনের সঙ্গে রাজনৈতিক কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের ভাতাও চালু হয়। ঠিক হয়েছে, এই ভাতা আর দেবে না সরকার।
তবে স্বাধীনতা সংগ্রামীরা পেনশন পাবেন। তিনি মারা গেলে তাঁর স্ত্রী বা নির্ভরশীলরা ওই পেনশন পাবেন। এখন প্রায় ৮০০০ স্বাধীনতা সংগ্রামীর তালিকা রয়েছে। এঁদের মধ্যে বেশির ভাগই মারা গিয়েছেন। কেন্দ্র ও রাজ্য, দুই সরকারই এঁদের পেনশন দেয়। কেন্দ্রীয় সাহায্যের পরিমাণ মাসে ৩২৫০ টাকা। রাজ্য দেয় মাসে ৩০৫০ টাকা। সেটা ২৫০ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক ক্ষতিগ্রস্তদের ভাতা তুলে দেওয়ার কারণ কী? রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু বলেন, “আমরা তালিকা ধরে ধরে খোঁজ নিয়ে দেখেছি, প্রায় একশো শতাংশ ভাতা-প্রাপকই সিপিএমের লোক। যাঁরা ভাতা পান, তাঁদের মধ্যে অনেকে মারাও গিয়েছেন।” সিপিএমের প্রাক্তন মন্ত্রী সূর্যকান্ত মিশ্রকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “ওঁরা কী বলছেন জানি না। ভাল করে জেনে নিয়ে বলব।” সরকারের এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ফরওয়াডর্র্ ব্লকের প্রবীণ নেতা অশোক ঘোষ। |