চিরাচরিত ‘সরকারি’ মনোভাব থেকে বেরিয়ে এসে পেশাদারিত্বের দিকে ঝুঁকছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
কলকাতা বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে ঢুকলে এখনও সেই পরিচিত অপরিষ্কার চেহারা, কর্মীদের গয়ংগচ্ছ মনোভাব, ট্রলি-র অভাব। সঙ্গে আসন্ন কর্মী ইউনিয়নের নির্বাচনের পোস্টার, দলাদলি।
কিন্তু, ২৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের পরে সম্ভবত এ কথা কর্তৃপক্ষের মাথায়ও ঢুকেছে, সম্পূর্ণ পেশাদারি মনোভাব না দেখালে রক্ষণাবেক্ষণ করা যাবে না নতুন এই টার্মিনাল। প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে হবে মুম্বই-দিল্লি-বেঙ্গালুরু-হায়দরাবাদের থেকে। শনিবার কলকাতায় নতুন টার্মিনালের ভিতরে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে সেই বার্তাই দিতে চাইলেন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বেদপ্রকাশ অগ্রবাল। |
নতুন টার্মিনালের ক্ষেত্রে পেশাদারি মনোভাবের নমুনা আগেই দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। টার্মিনাল পরিষ্কার করার ভার দেওয়া হয়েছে বেসরকারি হাতে। শনিবার নতুন টার্মিনালের শৌচালয় পরিষ্কারে ব্যস্ত এমনই এক কর্মী জানিয়েছেন, উড়ান চালু না হওয়া সত্ত্বেও গত ১ জানুয়ারি থেকে তিন শিফটে ৯০ জন কর্মী সাফাই কাজ শুরু করে দিয়েছেন। একেবারে ফাঁকা টার্মিনালে রাত দশটা থেকে সকাল সাতটা পর্যন্তও চলছে ডিউটি। সামনের মাস থেকে আরও ৬০ জন কর্মী এই কাজে নিযুক্ত হবেন।
কলকাতা ও চেন্নাইয়ের নতুন টার্মিনালের সমগ্র পরিচালনাও যে সরকারি কর্মী-অফিসারদের দিয়ে সম্ভব নয়, তাও সম্ভবত বুঝতে পেরেছেন কর্তৃপক্ষ। তাই, এই দুই টার্মিনালের পরিচালনার একটি বড় অংশ বিশেষজ্ঞদের দিয়ে করানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যে কারণে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি এবং সুইৎজারল্যান্ডের জুরিখ বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন বেদপ্রকাশ।
প্রশ্ন হল, এত কিছুর পরেও কলকাতা থেকে উড়ান সংখ্যা বাড়বে? ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ বা লুফৎহানসা কী ফিরে আসবে?
বেদপ্রকাশ বলেন, “সারা দেশে বিমান-জ্বালানির উপরে সব চেয়ে বেশি বিক্রয়-কর নেয় পশ্চিমবঙ্গ। ২৮ শতাংশ। দিল্লি-মুম্বই-সহ প্রায় সমস্ত রাজ্যেরই কর এর চেয়ে কম। সেটা কমলেই অনেক বিমানসংস্থা এখান থেকে উড়ান চালাতে আগ্রহ
প্রকাশ করবে।”
কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা বি পি শর্মা জানান, কলকাতা থেকে উড়ান চালানো নিয়ে তুরস্ক ও জাপানের বিমানসংস্থার সঙ্গে আলোচনা চলছে। দুবাইয়ের সস্তার সংস্থা ফ্লাই-দুবাই এবং গাল্ফ-এয়ারও আগ্রহ দেখিয়েছে। |
নতুন টার্মিনাল |
• এলাকা ১ লক্ষ ৯০ হাজার বর্গ মিটার
• যাত্রী ধরতে পারে বছরে ২ কোটি। (আন্তর্জাতিক ৪০ লক্ষ এবং অভ্যন্তরীণ ১ কোটি ৬০ লক্ষ)
• একসঙ্গে ধারণ করতে পারে সর্বোচ্চ ৭৪৫০ জন যাত্রী।
• চেক-ইন কাউন্টার ১২৮টি
• অভিবাসন কাউন্টার ৫৬টি
• শুল্ক কাউন্টার ১৮টি
• এরোব্রিজ ১২ টি
• লিফট ২৭টি
• এসক্যালেটর ১৬টি
• ওয়াকালেটর (চলন্ত ফুটপাত) ১৩টি
• বিমানের দাঁড়ানোর অতিরিক্ত বে ২৪ টি (সব মিলিয়ে ৫৯টি)
• বিমান রাখার জন্য নতুন হ্যাঙ্গার - ৪টি |
|
যৌনপল্লি থেকে উদ্ধার নাবালিকা
নিজস্ব সংবাদদাতা |
নয়াদিল্লির যৌনপল্লিতে বিক্রি হওয়া কলকাতার এক নাবালিকাকে শুক্রবার উদ্ধার করল কালীঘাট থানার পুলিশ। গ্রেফতার হয়েছে চারজন। পুলিশ জানায়, বছর পনেরোর ওই কিশোরী মাসখানেক আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে কালীঘাট রোডে বন্ধু মুন্নির কাছে ‘আশ্রয়’ নেয়। ওই সময়ে তারকজিৎ নামে এক যুবককে বিয়ে করে। তার সঙ্গে মালা হালদার নামে এক তরুণীর আলাপ করায় মুন্নি। অভিযোগ, কাজের প্রলোভন দেখিয়ে দিল্লি নিয়ে গিয়ে তাকে দেহব্যবসায় নামায় মালা। কিশোরীর পরিজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়। মুন্নি ও তারকজিৎকে গ্রেফতার করে মালার কথা জানতে পারে পুলিশ। তার মোবাইল ‘ট্র্যাক’ করে কিশোরীর খোঁজ মেলে। গ্রেফতার হয় মালা ও তার স্বামী বান্টি। দু’জনকে কলকাতায় আনা হচ্ছে। |