|
|
|
|
রামপুরহাটে ডাক্তারকে মারধর, রেল অবরোধ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগকে ঘিরে দুই এলাকার বিবাদ। তার জেরে শুক্রবার দুপুরে রামপুরহাট শহরে অচিন্ত্য চক্রবর্তী নামে এক চিকিৎসককে মারধর করল শহর সংলগ্ন সুন্দিপুর গ্রামের কিছু বাসিন্দা। ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত গোবরা শেখ স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ বলে এলাকায় পরিচিত।
রাত পর্যন্ত পুলিশের কাছে অভিযোগ না হলেও চিকিৎসককে মারধরের প্রতিবাদে এ দিন বিকালে রামপুরহাট শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের রেলপাড় থেকে সুন্দিপুর মোড় যাওয়ার রাস্তা অবরোধ করেন এলাকাবাসীদের একাংশ। পরে পুলিশ অবরোধ তুলে দিলেও সন্ধ্যায় চাঁদমারি রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় ফের রেল অবরোধ শুরু হয়। অবরোধকারীদের দাবি, হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। রাত সাড়ে ৮টায় অবরোধ ওঠে। এর জেরে বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রামপুরহাট রেলওয়ে আদর্শ বিদ্যামন্দির হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে নবম শ্রেণির এক ছাত্র চুলির মুঠি ধরে মারধর করে বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগকে ঘিরে এলাকায় তখন একপ্রস্ত উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে ওই ছাত্রীর বাবা নবম শ্রেণির ছাত্রটির বিরুদ্ধে মেয়েকে মারধরের অভিযোগও করেন। প্রধান শিক্ষক গোপীনাথ ঘোষ বলেন, “এ বিষয়ে খুব শীঘ্রই অভিভাবক প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনায় বসা হবে।” |
|
জখম চিকিৎসক। —নিজস্ব চিত্র। |
শুক্রবার সকালে সুন্দিপুরের বাসিন্দা, অভিযুক্ত সেই স্কুলছাত্রের এক বন্ধু রেলপাড়ের চল্লিশ কোয়ার্টার এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিল। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই ছেলেটি স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্দেশে হুমকি দিচ্ছিল। তাই তাঁরা ওই ছেলেটিকে আটকে রাখেন। অচিন্ত্যবাবুর (এলাকায় পরিচিত ‘ডাক্তারবাবু’ নামেই) দাবি, “এলাকাবাসী ওই ছেলেটিকে মারধর করার উপক্রম করছিল। তাই দেখে আমি ছেলেটিকে নিজের কাছে রাখি। পুলিশের হাতে দেওয়ার জন্য থানায় খবর দিই।” ইতিমধ্যে এলাকার ছেলেকে রেলপাড়ের লোকজন ধরে রেখেছে, এই খবর পেয়ে সুন্দিপুর থেকে ২৫-৩০ জন বাসিন্দা রেলপাড় এলাকার লোকজনের উপরে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। অচিন্ত্যবাবুর অভিযোগ, “গোবরা শেখের নেতৃত্বে সুন্দিপুরের লোকজন এসে বাঁশ, পাথর দিয়ে আমাকে যথেচ্ছ ভাবে পিটিয়ে ছেলেটিকে নিয়ে যায়।” ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মীরা মাহাতো, শ্রীকুমারী মাহাতোদের আরও অভিযোগ, সুন্দিপুরের ওই লোকজন মহিলাদেরও নিগ্রহ করেছেন। অন্য দিকে, গোবরা শেখের দাবি, “এলাকার একটি ছেলেকে বিনা অপরাধে ডাক্তারবাবুর নির্দেশে হাত বেঁধে এলাকায় ঘুরিয়ে মারধর করা হয়েছে। সুন্দিপুরের কিছু বাসিন্দা আমাকে ছেলেটিকে উদ্ধার করার জন্য সঙ্গে যেতে বলেন। তাঁদের অনুরোধে একটি নিরপরাধ ছেলেকে বাঁচাতেই আমি এগিয়ে গিয়েছিলাম।” তাঁর অভিযোগ, ছেলেটিকে উদ্ধার করতে গেলে ডাক্তারবাবু ও তাঁর সঙ্গে থাকা মহিলারা গালিগালাজ করেন। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ডাক্তারবাবুকে মারধরের ঘটনা ঘটে। তবে তাতে তিনি যুক্ত ছিলেন না বলে গোবরার দাবি। |
|
|
|
|
|